• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

শেষ গল্পটি আর বলা হলো না রতনের

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ২১ আগস্ট ২০২০  

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় মারা যান নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার গাবতলী এলাকার রতন সিকদার। ১৬ বছর আগের নৃশংস সেই ঘটনায় রতনের মৃত্যুর পর পরিবারে নেমে আসে অন্ধকার। তারপর দেশের সার্বিক পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটলেও কান্না থামেনি রতনের পরিবারের সদস্যদের।

‘বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রচণ্ড পছন্দ ও ভালোবাসতেন রতন শিকদার। শেখ হাসিনা ভাষণ দেবেন খবরটি জানলেই নাওয়া-খাওয়া আর রুটি-রোজগার ভুলে চলে যেতেন ভাষণ শুনতে। ভাষণ শেষে রাতে বাড়ি ফিরে সেই গল্পও করতেন। তবে শেষ গল্পটি আর পরিবারের কাছে বলা হয়নি রতন শিকদারের।

রতনের ছোট ভাই কবির উদ্দিন শিকদার টুটুল জানান, বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ অন্ধভক্ত ছিলেন রতন শিকদার। ক্ষুদ্র ব্যবসার স্বল্প উপার্জনে সংসার চালানো দায় হলেও শেখ হাসিনার কোনো সমাবেশ হলেই নিজের টাকা খরচ করে সেখানে ছুটে যেতেন তিনি।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট নেত্রীর টানে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছুটে গিয়েছিলেন রতন। বিকেলে শেখ হাসিনার বক্তব্য চলার সময় গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে নেয়ার পথেও সঙ্গীদের কাছে বারবার জিজ্ঞেস করছিলেন ‘আমার নেত্রী বেঁচে আছে তো’। একথা বলতে বলতে এক সময়ে ঢলে পড়েন মৃত্যুর কোলে।

ছেলের ছবি নিয়ে আজো কাঁদেন রতনের মা মমতাজ বেগম।

রতন শিকদার ফতুল্লার বিভিন্ন টেক্সটাইল মিল থেকে কাপড় কিনে দোকানে বিক্রি করতেন। রতনের স্ত্রী রোজিনা আক্তার দুই সন্তান নিয়ে বাবার বাড়ি যাত্রাবাড়িতেই থাকেন। ছেলে আনন্দ শিকদার দেশের বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে এখন বেসরকারি একটি কোম্পানিতে চাকরি করছে। আর মেয়ে লেখাপড়া করছে।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ইতিহাসের বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় মারা যান ২২ জন, আহত হন ১২০ জন। নিহতদের মধ্যে রতন সিকদার একজন।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা