• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ এফবি আব্দুল্লাহ, ফিরছেন অন্য ট্রলারের ১২ জেলে

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ২ অক্টোবর ২০২১  

সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে সাত দিন ধরে নিখোঁজ ৩২ জেলের মধ্যে ১২ জেলের সন্ধান পাওয়া গেলেও এফবি আব্দুল্লাহ নামের ট্রলারসহ ২০ জেলের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। আজ (২ সেপ্টেম্বর) বেলা ২টা নাগাদ ১২ জেলেসহ এফবি মায়ের দোয়া নামক ট্রলার পাথরঘাট বিএফডিসি মৎস্যঘাটে পৌঁছবে বলে নিশ্চিত করেছে জেলা ট্রলার মালিক সমিতি। সকল ট্রলার মালিকের বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলায়।

এফবি মায়ের দোয়া নামক ট্রলারের ছিলেন ১২ জন জেলে। এর মালিক মালিক আবদুর রহমান। এফবি আবদুল্লাহ নামক ট্রলারে ছিলেন ২০ জেলে, যার মালিকের নাম মো. লিটন মাহমুদ। 

গত ২৫ সেপ্টেম্বর পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্যঘাট থেকে অন্যান্য ট্রলারের সাথে মাছ ধরার জন্য সাগরে রওনা করে ট্রলার ২টি। কিন্তু হঠাৎ তারা যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয় মালিক ও পরিবারের সদস্যদের সাথে। দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ট্রলার মালিক মালিক সমিতি ও কোস্টগার্ডকে অবহিত করা হয় এ বিষয়ে। ছয়দিন পরে এফবি মায়ের দোয়া নামক ট্রলারের সন্ধান মেলে। তারা যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল বলে প্রাথমিক তথ্যে জানান। ট্রলারের সকল যাত্রী (১২ জন) সুস্থ আছেন বলে জেলা ট্রলার মলিক সমিতির সভাপতি তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে।

অপরদিকে, এফবি আবদুল্লাহ নামক ট্রলারের ২০ জেলের কোনো সন্ধান এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। যেকোনোভাবে তাদের ফিরে আসতে হবে, কারণ রবিবার মধ্যরাত থেকে সাগরে মা ইলিশ রক্ষার জন্য মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি হবে বলে বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির দ্বায়িত্বশীল সদস্যরা জানান।

কোস্টগার্ডের পাথরঘাটা স্টেশন ও সুন্দরবনের দুবলাচরের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার জানান, তাদের টহল বোট অনুসন্ধান করছে। কোনো খবর পেলে তাৎক্ষণিক জানানো হবে।

এদিকে, ১২ জেলে ফিরে আসার খবরে স্বজনের মনের দুশ্চিন্তা কমলেও আহাজারি করছে এফবি আবদুল্লাহ ট্রালারে থাকা শ্রমিকদের পরিবার। এই ট্রলারের সকল শ্রমিকের বাড়ি নোয়াখালী জেলার আলেকজান্ডার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।

নিখোঁজ জেলেরা হলেন, এফবি মায়ের দোয়া ট্রালারের পাথরঘাটা উপজেলার মঠেরখাল এলাকার নুর মোহাম্মাদ মিস্ত্রির ছেলে শাহ জাহান, ছত্তার মোল্লার ছেলে আব্দুর রশিদ, খালেক মিস্ত্রির ছেলে মাসুদ, আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে আমির হোসেন, আব্দুর রহমানের ছেলে মিরাজ, নুরু মিয়ার ছেলে ছগির, তাফালবাড়ি এলাকার খলিল গোলদারের ছেলে ফারুক, আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুস ছত্তার, আব্দুল লতিফের ছেলে নাসির, জ্ঞানপাড়া এলাকার আব্দুল গনির ছেলে খলিল, কুদ্দুসের ছেলে আবুল কালাম, বড় টেংরা এলাকার আবুল হাসেমের ছেলে ফুল মিয়া এবং এফবি আব্দুল্লাহ ট্রলারের খোকন মাঝি, হুমায়ুন, শাহজাহান ও রাসেল। এফবি আব্দুল্লাহ ট্রালারের অন্য জেলেদের নাম জানা যায়নি, তাদের সকলের বাড়ি নোয়াখালী জেলার আলেকজান্ডার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা