• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

মোংলা-পাকশি পর্যন্ত নৌরুটে নাব্যতা উন্নয়নের উদ্যোগ

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০২২  

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল পরিবহনে মোংলা থেকে চাঁদপুর-মাওয়া-গোয়ালন্দ হয়ে পাকশি পর্যন্ত নৌরুটের নাব্যতা উন্নয়ন করবে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। মালামাল পরিবহনে নিরাপত্তা নিশ্চিত ও সময়ক্ষেপণ এড়াতে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘মোংলা থেকে চাঁদপুর-মাওয়া-গোয়লন্দ হয়ে পাকশি পর্যন্ত নৌরুটের নব্যতা উন্নয়ন (১ম সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পটি সম্পূর্ণ দেশীয় অর্থে ১২৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ৩০ জুন মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর তারিখে একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। সে প্রেক্ষিতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে ২০২২ সালের ১৮ জানুয়ারি তারিখে ১ম সংশোধিত ডিপিপি অনুমোদনের প্রশাসনিক আদেশ জারি করা হয়।

সূত্র জানায়, প্রকল্পের ডিপিপিতে ডব্লিউডি-২ প্যাকেজের আওতায় ১৬০.৩৭ লাখ ঘনমিটার সংরক্ষণ ড্রেজিং কাজের সংস্থান রয়েছে। অনুমোদিত প্রকল্প দলিল অনুযায়ী ১৬০.৩৭ লাখ ঘনমিটার ড্রেজিং কাজ ৪টি লটের কাজ এককভাবে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছ থেকে ক্রয়ের উল্লেখ আছে। এই ড্রেজিং কাজের জন্য ডিপিপিতে ৩৬২ কোটি টাকার সংস্থান রয়েছে। প্রকল্পের ক্রয় পরিকল্পনায় প্যাকেজের ৪টি লটের কাজ এককভাবে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মাধ্যমেই করানোর কথা উল্লেখ থাকায় সরসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণ করে একটি চুক্তির মাধ্যমেই করা যায় বলে সূত্র জানিয়েছে।

প্রকল্পের অনুমোদিত মূল ডিপিপি অনুযায়ী ক্যাপিটাল ড্রেজিং ও সংরক্ষণ খনন বাবাদ ৩৫০ লাখ ঘনমিটার ড্রেজিং কাজ ডিপিএম পদ্ধতিতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, প্রকল্পের নৌপথটি খুবই স্পর্শকাতর এবং পরিবর্তনশীল মোংলা-ঘষিয়াখালী, পদ্মা/গঙ্গা, মেঘনা, কচাসহ বিভিন্ন নদীর প্রত্যন্ত দুর্গম ও চরাঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দুর্গম চরাঞ্চল এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রবাহিত পরিবর্তনশীল প্রমত্তা পদ্মা/গঙ্গা নদীর ড্রেজিং কাজে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনী বিশেষ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ ও ন্যেপরিবহন কাজে পারদর্শী এবং রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভারী ও স্পর্শকাতর মালামাল পরিবহনের নিরাপত্তার বিষয়টিও তারা বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখেন। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অনুমোদিত ১ম সংশোধিত ডিপিপিতে ডব্লিউ ডি-২ প্যাকেজের আওতায় ১৬০.৩৭ লাখ ঘনমিটার সংরক্ষণ খনন কাজ ডিপিএম পদ্ধতিতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে দেওয়ার বিষয়ে একনেক-এর অনুমোদন রয়েছে।

সূত্র জানায়, ড্রেজিং কাজটি সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মাধমে বাস্তবায়নের জন্য সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। খনন কাজটি বাংলাদেশ নৌবাহিনী দিয়ে করা হলে যথযথভাবে প্রকল্পের নির্ধারিত সময়ে সম্পাদন করা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০২২-২০২৩ থেকে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছর পর্যন্ত বর্র্ণিত নৌপথে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভারী ও স্পর্শকাতর মালামালের নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করতে জরুরি ভিত্তিতে ড্রেজিং কাজটি সম্পাদন করা প্রয়োজন।

সূত্র জানায়, প্রকল্পের আনুমানিক প্রাক্কলিত ব্যয় ৩৬২ কোটি টাকা হওয়ায় পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন-২০০৬ এর ৬৮(১) ধারা এবং পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা-২০০৮ এর ৭৬(২) বিধি অনুসারে জরুরি প্রয়োজনে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি প্রয়োগের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সুপারিশ প্রয়োজন।

এ অবস্থায় বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভায় এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা