• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

অনুদানের সিনেমায় আগ্রহ বাড়ছে শিল্পীদের

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০২১  

১৯৭৬-৭৭ অর্থবছর থেকে দেশীয় চলচ্চিত্রে সরকারি অনুদানের প্রথা চালু হয়। মাঝখানে বন্ধ থাকলেও ২০০৭ সাল থেকে নিয়মিতভাবে চলচ্চিত্রে অনুদান দেয়া হচ্ছে। তবে সেসব সিনেমায় চলচ্চিত্রের মূল ধারার তারকা শিল্পীদের তুলনামূলক কম দেখা যেতো। কিন্তু ইদানীং অনুদানের সিনেমায় আগ্রহ বাড়ছে চলচ্চিত্রের মূল ধারার শিল্পীদের। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে মোট ২০টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অনুদান দিয়েছে সরকার। গত বছরের চেয়ে এবার সিনেমার সংখ্যা ৪টি বাড়িয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি অনুদানের সিনেমার কাজ চলমান রয়েছে। এগুলো হলো- মুশফিকুর রহমান গুলজারের ‘টুঙ্গিপাড়ার দুঃসাহসী খোকা’, অরুণ চৌধুরীর ‘জ্বলে জ্বলে তারা’, মীর্জা সাখাওয়াত হোসেনের ‘ভাঙন’, আশুতোষ সুজনের ‘দেশান্তর’, কাজী হায়াতের ‘জয় বাংলা’, জাহিদ হোসেনের ‘সোনার চর’, এস এ হক অলিকের ‘গলুই’ ও কবিরুল ইসলাম রানার (অপূর্ব রানা) ‘জলরঙ’।লকডাউনের পর মূলত অনুদানের সিনেমাতেই ব্যস্ত চলচ্চিত্র শিল্পীরা। জামালপুর জেলার চর ও যমুনার আশপাশে শুটিং চলছে ‘গলুই’ সিনেমার। এস এ হক অলিকের পরিচালনায় প্রথমবারের মতো কোনো অনুদানের সিনেমায় অভিনয় করছেন ঢালিউডের শীর্ষ নায়ক শাকিব খান। তিনি বলেন,  প্রথমে কিন্তু সিনেমাটা করতে চাইনি। কারণ আমরা তো বেশির ভাগ সময় অনুদান মানেই মনে করি যে টাকাটা দেয় তার মধ্যে হয়তো একটা অংশ নিয়ে শুটিং করে। বাকিটা হয়তো পকেটেই রেখে দেয়। অনেক সময় তো অনুদানের সিনেমা হয়ই না। তবে এখন সেটা পরিবর্তন হচ্ছে অনেকটা। গল্প শুনে ভেবে দেখলাম আমাদেরও অনুদানের সিনেমায় আসা উচিত। সঠিকভাবে যারা সিনেমা বানাতে পারবেন তাদেরই অনুদান দেয়া উচিত বলেও মত দিয়েছেন শাকিব। তিনি বলেন, অনুদানের সিনেমাও যে ভালোভাবে করা যায় সেটা ‘গলুই’য়ে দেখা যাবে। এদিকে, এরই মধ্যে বন্ধন বিশ্বাসের পরিচালনায় ‘ছায়াবৃক্ষ’- নামের একটি সরকারি অনুদানের সিনেমার শুটিং শেষ করেছেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। তিনি মনে করেন, আগে একটা ধারণা ছিল, শুধু বাণিজ্যিক ছবিই দর্শক বেশি দেখে। তবে এখন সে ধারণা থেকে বেরিয়ে এসেছেন অনেকেই। অনুদানের সিনেমায় আগ্রহ বাড়ছে দিনকে দিন। যেমন আমি নিজেও অনুদানের সিনেমা ‘ছায়াবৃক্ষ’তে কাজ করেছি। আমার গল্পটা খুব মনে ধরেছে। এ রকম করে হয়তো বাকি শিল্পীরাও বিভিন্ন ভালো লাগা-আস্থার জায়গা থেকে কাজটা করছে। সেইসঙ্গে সরকার আগের থেকে আনুদানের পরিমাণটাও বাড়িয়েছে। দুটি অনুদানের সিনেমায় অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক নিরব। একটি বন্ধন বিশ্বাসের ‘ছায়াবৃক্ষ’, অন্যটি রোজিনার ‘ফিরে দেখা’। চলচ্চিত্রের এই ক্রান্তিকালে কোনো চলচ্চিত্রের অনুদান পাওয়া বিশাল সহযোগিতাই বলে মনে করছেন তিনি। এ নায়ক বলেন, আমরা যারা মূলাধারার চলচ্চিত্রে কাজ করছি তাদেরকে নিয়ে নির্মাতারা অনুদানের সিনেমার কাজ করার চিন্তাটাও করতেন না আগে। এখন তারা সে ধারণা থেকে বেরিয়ে এসেছেন। আমরাও আগ্রহী হচ্ছি কাজ করতে। বিষয়টি খুবই ইতিবাচক। চিত্রনায়িকা পূজা চেরিও দুটি অনুদানের সিনেমায় অভিনয় করেছেন। একটি ইস্পাহানী আরিফ জাহান পরিচালিত ‘হৃদিতা’, অন্যটি এস এ হক অলিক পরিচালিত ‘গলুই’। ‘টুঙ্গিপাড়ার দুঃসাহসী খোকা’- নামের একটি অনুদানের সিনেমা নির্মাণ করছেন পরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজার। তিনি বলেন, অনুদানের সিনেমা ভালো গল্প নিয়ে নির্মিত হচ্ছে। এই সিনেমাগুলোতে অভিনয়ের স্কোপ আছে। আবার পুরস্কার পাওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। এসব কারণেই শিল্পীদের অনুদানের সিনেমার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা