বাংলাদেশের কাছে শেখার আছে যুক্তরাজ্যের, ব্লুমবার্গের নতুন রিপোর্ট
ষাট গম্বুজ টাইমস
প্রকাশিত: ৩১ মার্চ ২০২৩

জলবায়ু পরিবর্তন, বিশ্বজুড়েই বর্তমানে আলোচিত বিষয়। বিশ্বের সামনে এখন যেসব হুমকি রয়েছে, এটি সেগুলোর মধ্যে অন্যতম। ইতোমধ্যেই এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। তবে এটি মোকাবিলায় যেসব পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে, সেগুলোর খুব বেশি ফল মেলেনি।
এমতাবস্থায় জলবায়ু সংকটের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে পারে যুক্তরাজ্য- এক প্রতিবেদনে এমনটি দাবি করেছে মার্কিন প্রভাবশালী গণমাধ্যম ‘ব্লুমবার্গ’। শুক্রবার পত্রিকাটির মতামত বিভাগে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে এই দাবি করা হয়।
এতে বলা হয়েছে, ব্রিটেনে অনেকেই এখন রেকর্ড-উচ্চ তাপমাত্রায় বা বন্যার পানির কারণে কষ্ট পাচ্ছেন, তবে এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ ব্রিটেন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার জন্য ‘আশ্চর্যজনকভাবে অপ্রস্তুত’। ব্রিটিশ সরকারের জলবায়ু পরিবর্তন কমিটির গত বুধবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের উপসংহারে এই কথাই বলা হয়েছে। ওই কমিটি জলবায়ু নীতি সম্পর্কিত যুক্তরাজ্যের স্বাধীন উপদেষ্টা সংস্থা।
এটি বেশ আশ্চর্যজনক মনে হতে পারে যে, যুক্তরাজ্যের মতো একটি ধনী দেশ এই ধরনের চ্যালেঞ্জের জন্য এতটা প্রস্তুত নয়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঘন ঘন দুর্যোগসহ আবহাওয়া এখন আরও চরমভাবাপন্ন হয়ে উঠেছে। মূলত উন্নয়নশীল দেশগুলোর দুর্বল জনগোষ্ঠীই জলবায়ু পরিবর্তনের এই ক্ষতিকর প্রভাবের সম্মুখীন হয়েছে।
তবে এর বিপরীতে সাধারণত অভিযোজন বা মানিয়ে নেওয়ার বিষয়েও কথা শোনা যায়, যা মূলত জলবায়ু সংকটের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রভাব মোকাবিলা করার প্রক্রিয়া ও কাঠামোর পরিবর্তন বুঝিয়ে থাকে।
কিন্তু জার্মানির ইউনিভার্সিটি অব বনের উন্নয়নমূলক ভূগোলের অধ্যাপক লিসা শিপার এই ধরনের প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন। তিনি বলছেন, “বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এমন একটি ছবি আঁকা হয়েছে, যেখানে কার্যত দেখানো হয়েছে- দরিদ্র দেশগুলোতেই কেবল জলবায়ু বিপর্যয় ঘটে থাকে।” আর এটি মানুষকে আত্মতুষ্টির দিকে পরিচালিত করেছে যা থেকে আমরা সম্ভবত জেগে উঠছি।
তবে বেশিরভাগ সময়ই সংকটের মধ্যে থাকা দরিদ্র দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরেই এই ধরনের অভিযোজন প্রক্রিয়ায় আরও স্পষ্টভাবে নজর দিয়েছে। ২০২১ সালে জার্মানির বিপর্যয়কর বন্যায় ১৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই বন্যার প্রতিক্রিয়ায় ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ’র ডিরেক্টর সালেমুল হক পত্রিকার নিবন্ধে লিখেছিলেন, কীভাবে ধনী দেশগুলো তার নিজের দেশ (বাংলাদেশ) থেকে শিখতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় এবং বন্যা নিয়মিতভাবে আঘাত হানায় ওই ধরনের পরিস্থিতিতে মানুষের প্রাণহানি কমিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশ প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করেছে এবং মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে আনা ও আশ্রয় দেওয়ার সক্ষমতাসহ প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ‘সর্বোত্তম দুর্যোগ সতর্কীকরণ ব্যবস্থা’ নিশ্চিতের বিষয়টি বাংলাদেশ এখন গর্বের সঙ্গে বলে থাকে।
এর অর্থ এই নয় যে, উন্নয়নশীল দেশগুলোর টেকসই উন্নয়নের জন্য আরও সাহায্যের প্রয়োজন নেই, বা উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্য এই বিষয়ে ব্যাপকভাবে অপ্রস্তুত। সাম্প্রতিক ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ রিপোর্টের সারাংশ অনুযায়ী, নীতির ফাঁক-ফোকর সব জায়গায় জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা তৈরিতে বাধা দিচ্ছে।
যদিও অভিযোজন ব্যবস্থায় বিনিয়োগ বাড়ছে, তারপরও প্রয়োজনীয় অর্থের চেয়ে সেটি এখনও বেশ কম এবং হাতে থাকা বিশাল কাজের জন্য অপর্যাপ্তও। আমরা যেসব সমস্যা মোকাবিলা করার চেষ্টা করছি সেখানেও অর্থ আটকে থাকছে। এছাড়া ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়লে ভবিষ্যতের সুরক্ষা নিশ্চিতের চেয়ে ক্ষতি মেরামতের কাজেই আরও বেশি অর্থ ব্যয় হয়ে যায়।
চরম তাপমাত্রার কারণে একে অপরের ব্যাক আপ হিসেবে কাজ করার জন্য ডিজাইন করা দু’টি ডেটা সেন্টার এসময় অকার্যকর হয়ে যায়। এতে লন্ডনের বেশ কয়েকটি হাসপাতাল এবং কমিউনিটি পরিষেবা কেন্দ্রের বেশিরভাগ ক্লিনিকাল আইটি সিস্টেম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, যার ফলে রোগীর সেবা-যত্নে ব্যাপক ব্যাঘাত ঘটে। এমনকি অন্য দেশের পরিবর্তিত অবস্থার কারণেও ক্ষতির মুখে পড়েছে ইংল্যান্ড: যেমন, স্পেনে অসময়ের ঠাণ্ডা আবহাওয়ার কারণে মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন সালাদ পণ্যের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
উদ্বেগজনকভাবে, বর্তমানে যা দেখা যাচ্ছে তা কেবল শুরু। সিসিসি-এর অভিযোজন কমিটির প্রধান জুলিয়া কিং এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “তাপমাত্রার এই বৃদ্ধি আরও ক্রমবর্ধমান প্রভাব সৃষ্টি করবে এবং যতক্ষণ না আমরা নেট জিরো-তে না পৌঁছাই ততক্ষণ পর্যন্ত তাপমাত্রার এই বৃদ্ধি বন্ধ হবে না।”
আমরা মোটামুটি আরও তিন দশক ধরে ক্রমবর্ধমান জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলা করছি। আর তাই গ্রীষ্মে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়ায় ছাড়িয়ে যাওয়া মোটামুটি স্বাভাবিক হতে বেশি সময় লাগবে না।
অবশ্য পরিচিত এই ঝুঁকির জন্য প্রস্তুতি এবং সংকট মানিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য ‘একটি দশক’ হারিয়ে ফেলেছে বলে মনে করেন কিং। যুক্তরাজ্যে সরকারি ব্যয় বহু বছর ধরে অনেক কম, যার মানে হলো- অবকাঠামো এবং পরিষেবাগুলো পুরোনো ও দুর্বল। তবে জ্বালানিখাতে বিনিয়োগ বাড়ানো এবং নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের ব্যবহারকে ত্বরান্বিত করার জন্য বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা একটি সরকারি পরিকল্পনায় সামান্য কিছু নতুন ব্যয় রয়েছে।
বৈশ্বিকভাবে এবং অভ্যন্তরীণভাবে যেকোনও দুর্যোগে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইউনিভার্সিটি অব বনের অধ্যাপক লিসা শিপার জোর দিয়ে বলছেন, সকল অভিযোজন পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে হবে সমতা। আর সেটি না হলে ছোট অংশের লোকদের সাহায্য করতে গিয়ে সম্ভবত অন্যদের জন্য পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তোলার মতোই কাজ হবে।
সিসিসি-এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ক্রিস স্টার্কের মতে, যুক্তরাজ্যের লোকেরা ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন, বিশেষ করে যাদের অনেকেই প্লাবনভূমিতে বা অত্যধিক গরম হয়ে যাওয়া বাড়িতে বাস করেন এবং তারা এখন এই বিষয়ে পদক্ষেপ চাইছেন। আর তাই অর্থনীতিকে আরও জলবায়ু সহনশীল করার দায়িত্ব পরিবেশ, খাদ্য ও গ্রামীণ বিষয়ক বিভাগের।
যেমন শহুরে নকশায় গাছকে অন্তর্ভুক্ত করা হলে তা বন্যার ঝুঁকি কমাতে পারে, শহরকে শীতল রাখতে সাহায্য করতে পারে, সুস্থতা ও স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে এবং বায়ু দূষণও কমাতে পারে।
ব্রিটিশ সরকার ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে তার তৃতীয় জাতীয় অভিযোজন প্রোগ্রাম প্রকাশ করবে। আশা করা যায়, ওই প্রোগামে সিসিসি-এর সুপারিশগুলো গ্রহণ করা হবে এবং সেইসব দরিদ্র দেশগুলোর অভিজ্ঞতা থেকে সরকার শিখবে যারা এই বিষয়ে আদর্শ দেশে পরিণত হয়েছে। সূত্র: ব্লুমবার্গ

- শেখ তন্ময়ের উদ্যোগে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ
- বাগেরহাটের চুলকাটি বাজার থেকে ট্রাক চুরি
- শরণখোলায় কালবৈশাখীর ছোবল
- বাগেরহাটে আজমীর শরিফের সিনিয়র খাদেমের আগমনে দোয়া মাহফিল
- বাগেরহাট আদালতে বিশ্রামাগার ‘ন্যায় কুঞ্জ’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
- তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে শিশুদের রক্ষার উপায়
- চিতলমারীতে ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের উদ্বোধন
- বিয়ে করলেন ঐশী
- ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ফিলিস্তিনি শিশু গুরুতর আহত
- তীব্র দাবদাহ, প্রাথমিকের বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ স্থগিত
- ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় শেখ হাসিনার শোক
- ৩০০ আসনের সীমানা চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ
- এই বাজেট সংকটে ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট : কাদের
- ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনা : নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৮৮, আহত ৯০০
- আইএমএফের প্রেসক্রিপশনে বাজেট দিইনি: অর্থমন্ত্রী
- বাগেরহাটে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে
- ৫ জুন মোংলা বন্দরে নিলামে উঠছে ১৪৭ গাড়ি
- সুন্দরবনে ২৪ জেলে আটক
- খুলনা-মাওয়া মহাসড়কে আবারও ঝরল প্রাণ
- বাগেরহাটে বখাটেদের হামলায় ৮ পরীক্ষার্থী আহত
- কবিরাজের কাছে আঁচিল তুলতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী
- ছয় দিনের সরকারি সফরে তুরস্কে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন
- দেশে অন্তত ২ কোটি মানুষ আয়কর দিতে সক্ষম : তথ্যমন্ত্রী
- রাশিয়া থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টন সার আসবে
- ভারতের ওপর দিয়ে বাংলাদেশে আসছে নেপালের বিদ্যুৎ
- কোন স্যাংশন দিয়ে এ উন্নয়ন ব্যাহত করতে পারবেনা- কৃষিমন্ত্রী
- একনজরে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট
- বিকেলের নাস্তায় হয়ে যাক ‘চিকেন মালাই কাবাব’, রেসিপি...
- জাল সনদে ২৬ বছর ধরে শিক্ষকতা, বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ
- দুধ পানে রাসূল (সা.) এর তিন সুন্নত
- বিসিএস পরীক্ষায় ভুয়া পরীক্ষার্থী ঠেকাতে বিশেষ আইন পাস
- মাদ্রাসা ছাত্রীকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা
- চিতলমারীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকার সংবাদ সম্মেলন
- চিতলমারীতে বিসিআইসি সার ডিলারদের সংবাদ সম্মেলন
- বাগেরহাটে বৃদ্ধ নিবাস ও এতিমখানা ‘স্বপ্ননীড়’ এর কার্যক্রম শুরু
- মোংলায় বজ্রপাতে নিহত ১
- কোন স্যাংশন দিয়ে এ উন্নয়ন ব্যাহত করতে পারবেনা- কৃষিমন্ত্রী
- ফখরুলের বক্তব্য স্বাধীনতাবিরোধী অবস্থানের বহিঃপ্রকাশ : কাদের
- তিন দেশ সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
- সুন্দরবনে ৭টি ট্রলার ও নৌকাসহ ৭ জেলে আটক
- ঘূর্ণিঝড়ের আগে আরেক দফা তাপপ্রবাহ হতে পারে
- রামপালে পানির ট্যাংক পেল ৬৫০ পরিবার
- শরণখোলায় আম গাছে আম নয় যেন সফেদা ঝুলছে !
- শরণখোলায় গাছ থেকে পড়ে শিক্ষকের মৃত্যু
- ২০০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’
- মোরেলগঞ্জে পৃথক অভিযানে মাদকসহ ২ যুবক আটক
- মোরেলগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাল আত্মসাতের অভিযোগ
- পুলিশকে সহযোগিতা করুন, আইনশৃঙ্খলা ভালো থাকবে: ওসি রামপাল থানা
- অনির্বাচিত সরকারের সুযোগ নেই, নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে : রাষ্ট্রপতি
- ঘূর্ণিঝড় মোখা: ‘পরিস্থিতি বুঝে’ এসএসসি পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত
