• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

দেশে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অনেক উন্নয়ন হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ৩০ জুলাই ২০২১  

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। শিশুমৃত্যুর হার, মাতৃমৃত্যুর হার কমিয়ে আমরা এমডিজি অর্জন করেছি।

বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো ‘বিশ্ব পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধ দিবস’ পালন উপলক্ষে ভার্চুয়াল সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ বিভাগ এই সভার আয়োজন করে। জাতিসংঘ ২৫ জুলাইকে ‘বিশ্ব পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। ঈদের ছুটির কারণে অনুষ্ঠানটি আজ বৃহস্পতিবার আয়োজন করা হয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা জানি পানিতে ডোবা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে মৃত্যুর অন্যতম কারণ। এ বিষয়ে আমরা সেভাবে গুরুত্ব দিতে পারিনি। আমরা সব সময়ই বিভিন্ন রোগ নিয়ে কাজ করে আসছি। বর্তমানে আমরা করোনা নিয়ে ব্যস্ত। আমরা করোনা রোগীদের সেবা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। দেশকে করোনামুক্ত করার চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, অসংক্রামক ব্যাধি যেমন, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ক্যান্সার, কিডনি রোগ- এগুলো নিয়ে আমরা কথাবার্তা বলি, এগুলোর উপর কাজকর্ম বেশি হয়। এর বাইরেও মৃত্যু হয়, সেগুলোর দিকে আমাদের নজর কম। এর মধ্যে পানিতে ডুবে মারা যাওয়াটাও আমাদের দেশে অনেক। সেদিকে আমাদের নজরও অবশ্য কম।

মন্ত্রী বলেন, আমি জানতে পেরেছি আমাদের দেশে বছরে প্রায় ১৯ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় পানিতে ডুবে। এদের বেশিরভাগই অল্প বয়সের শিশু। বেশিরভাগ মারা যায় পুকুর ও নদীতে। পানিতে ডুবে মারা যাওয়াটা দুঃখজনক। আমরা এটাকে রোধ করতে পারি, কমিয়ে আনতে পারি।

তিনি বলেন, এটা কামানোর উপায় কী? উপায় হলো ছোট বাচ্চাটা যাতে কখনোই একা না থাকে। তার সঙ্গে যাতে কেউ থাকে। এটা যদি করা যায়, এ বিষয়ে যদি প্রচার প্রচারণা চালানো যায়, এটা একটা উপায় হতে পারে।

ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে যেখানে মায়েরা কাজ করে, সেখানে যদি একটা সেন্টার করা যায় জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, বিদেশে এটা আছে, কর্মমুখী মায়েদের জন্য বাচ্চাদের রাখার জায়গা। বাচ্চাকে নিরাপদে কারো কাছে রেখে যেতে হবে। তাহলেই শিশুমৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, করোনায় অনেক প্রোগ্রামকে অ্যাফেক্ট করেছে। করোনা মোকাবিলার কারণে ধীর গতিতে যেতে হচ্ছে। কাজেই আমরা অনেক কিছুতে নজর একটু কম দিতে পারছি। আগামীতে যথাযথ গুরুত্ব দেবো। আমাদের ছেলেমেয়েকে সাঁতার শেখানোর পদক্ষেপ নেবো।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা