• মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

মহাসড়কে পণ্যবাহী যানবাহনের চাপ কমাতে কাজ করছে সরকার

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ১৪ মে ২০২২  

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, মহাসড়কে পণ্যবাহী যানবাহনের চাপ কমাতে দেশের নৌপথের সক্ষমতা নিয়ে কাজ করছে সরকার। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে নৌপথের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।

শনিবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ অঞ্চলের নৌ-করিডোরের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য নৌপথ খনন সংক্রান্ত চুক্তিপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের উন্নয়নকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে থমকে দেওয়া হয়েছিল।

পচাত্তর পরবর্তী সরকার দেশের নৌপথসহ কোনো পথেই উন্নয়ন করেনি। এরপর শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে দেশের নৌপথ পুনরায় উদ্ধার ও উন্নয়নে হাত দেয়। আজ যেই দুটি চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে তার কাজ শেষ হলে বাংলাদেশের নৌপথের যে অগ্রগতি হবে, তাতে দেশের নৌপথ ব্যবহারকারী পণ‍্যবাহী যান ও যাত্রীরা আরও সাচ্ছন্দ্যে নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন।

মন্ত্রীর উপস্থিতিতে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন প্রকল্প পরিচালক বিআইডব্লিউটিএ’র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আইউব আলী, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গালফ কবলা-কর্ণফুলী যৌথ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রশিদ, অপর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ধারতি-বঙ্গ যৌথ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে বঙ্গ ড্রেজার্স লিমিটেডের পরিচালক মো. আইনুল ইসলাম।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম‍্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক উপস্থিত ছিলেন। চুক্তিপত্র অনুযায়ী ১৩টি নৌরুটের উন্নয়ন ও সংরক্ষণ খনন কাজ করবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গালফ কবলা-কর্ণফুলী যৌথ প্রতিষ্ঠান এবং ধারতি-বঙ্গ যৌথ প্রতিষ্ঠান। এজন্য ব্যয় হবে ৪৩০ কোটি টাকা।

প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৯০০ কিলোমিটার নৌপথ খনন, ৬ স্থানে নৌযানগুলোর ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, ৩টি ফেরি ক্রসিং এলাকা সংরক্ষণ-ড্রেজিং, ৪টি প্যাসেঞ্জার ও ২টি কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ ও উন্নয়ন, ১৫টি ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণ এবং ২টি মাল্টিপারপাস ভেসেল সংগ্রহ করা হবে।প্রকল্পের আওতায় ঢাকা-চট্টগ্রাম করিডোরের আশুগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও বরিশালে মূল নদী এবং শাখাগুলো (প্রায় ৯০০ কিলোমিটার নৌপথ) পারফরম্যান্স বেইজড কন্ট্রাক্ট ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে রক্ষণাবেক্ষণ এবং নাব্যতা সংরক্ষণ করা হবে।

এ নৌ-করিডোর মধ্যে ৬টি স্থানে নৌযানগুলো ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত স্থানসমূহ হচ্ছে- ষাটনল, চরভৈরবী, চাঁদপুর, মেহেন্দীগঞ্জ, সন্দ্বীপ এবং নলচিরা; ওই নৌরুটের ৩টি ফেরি ক্রসিং (চাঁদপুর-শরিয়তপুর, লক্ষ্মীপুর-ভোলা এবং ভেদুরিয়া-লাহারহাট) এলাকায় সংরক্ষণ ড্রেজিং; ৪টি প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল নির্মাণ ও উন্নয়ন (ঢাকা শ্মশানঘাট, নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর এবং বরিশাল) এবং ২টি কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ ও উন্নয়ন (পানগাঁও ও আশুগঞ্জ); নৌকরিডোরটির বিভিন্ন স্থানে (ভৈরব বাজার, আলু বাজার, হরিণা, হিজলা, মজুচৌধুরী, ইলিশা (ভোলা), ভেদুরিয়া,  লাহারহাট, বদ্দারহাট, দৌলতখাঁ, চেয়ারম্যানঘাট (চর বাটা), সন্দ্বীপ, তজুমদ্দিন, মনপুরা এবং তমুরুদ্দিন) ১৫টি ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণ এবং ২টি মাল্টিপারপাস ভেসেল সংগ্রহ করা হবে।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা