• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে : প্রধানমন্ত্রী

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০২৩  

দেশের আগামী সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের বিদায়ি রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড তার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।

সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়নের পর সরকার সার্চ কমিটির মাধ্যমে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে। বিদেশি পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন তদারক করতে আসবে এবং তারা স্বাধীনভাবে তাদের কাজ করবে।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং এর ওপর এবং এর বাজেটের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল, যার ভিত্তি তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত রয়েছে। এই রাজনৈতিক দলের জন্ম গণমানুষ থেকে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেনানিবাস থেকে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির জন্ম হয়েছে। এ দুই দল প্রথমে অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে রাষ্ট্রপতি হন, পরে তারা তাদের রাজনৈতিক দল গঠন করেন। জনগণের মধ্যে তাদের কোনো ভিত্তি নেই।

জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে তিনি বলেন, তারা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিল। জনগণের মধ্যে তাদের কোনো ভিত্তি নেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে সরকার গঠন করবে।

শেখ হাসিনা বলেন, সরকার গত ১৪ বছরে দেশকে ব্যাপকভাবে উন্নীত করেছে। এটা সম্ভব হয়েছে কারণ জনগণ ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও তার জোটকে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ভোট দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করে এবং গণতন্ত্রের বিকাশে কাজ করে।

রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১০ লাখের বেশি মিয়ানমারের নাগরিকের বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য বোঝা।

তিনি পশ্চিমা সব দেশকে রোহিঙ্গাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান জানান।

তিনি আরো বলেন, কোভিড-১৯ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এ দুটি উপাদান- কোভিড এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোকে কষ্টে পড়তে বাধ্য করেছে। আমরা এ প্রভাব কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি।

প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, এ যুদ্ধ থেকে কারা লাভবান হচ্ছে, শুধু অস্ত্র বিক্রেতারাই লাভবান হচ্ছে। বিশ্বের উচিত অবিলম্বে এ যুদ্ধ বন্ধ করা।

সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হচ্ছে। তার বাংলাদেশকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।

তিনি বলেন, আমি সব সময় বাংলাদেশের শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে থাকব।

তিনি জানান, বাংলাদেশের প্রতিটি কোণ তিনি পরিদর্শন করেছেন। বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য এবং চিত্তাকর্ষক উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করে মুগ্ধ হয়েছেন।

নাথালি চুয়ার্ড বলেন, বাংলাদেশকে কোভিড-১৯ মহামারী, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং জলবায়ু পরিবর্তনসহ কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। আমি আশা করছি যে বাংলাদেশ এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আরো এগিয়ে যেতে পারবে।

তিনি গণতন্ত্রের মান এর স্থিতিশীলতা এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্কের প্রশংসা করেন।

সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের অগ্রগতিরও ভূয়সী প্রশংসা করেন। রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে তিনি মনে করেন, তাদের দ্রুত স্বদেশে ফিরে যাওয়া উচিত।

এ সময় রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা