কচুয়ায় চলছে ঢিলেঢালা লকডাউন

উপজেলা ব্যাপি চলছে লকডাউনের প্রথম দিন। আজ (বৃহস্পতিবার) ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়েছে ৭ দিনের কঠোর লকডাউন। লকডাউনের প্রথম দিনে দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ ছিলো। উপজেলার মধ্যে প্রধান সড়ক দিয়ে চলাচলকৃত গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে।

উপজেলার অভ্যান্তরে ইজিবাইক ও ব্যাটারী চালিত রিকসা চলাচল করছে। উপজেলা সদরের দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রায় সবই খোলা রয়েছে। তবে মাইকিং করে বেলা ৩টার পর বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। বেলা ৩টার পর কচুয়া সদরের বাজারের মধ্যের দোকান গুলি বন্ধ থাকলেও আশপাশের দোকান গুলো খোলা রাখতে দেখা গেছে।

উপজেলা সদরের অধিকাংশ চায়ের দোকানসহ প্রায় সব দোকান খোলা দেখা গেছে। সাপ্তাহিক হাটের কারনে উপজেলা সদর সহ কয়েকটি বাজারের চিত্র ছিলো স্বাভাবিক। লকডাউনের প্রথম দিনেই সাধারন মানুষের মাঝে স্বাস্থ্য বিধি মানার অনিহা দেখা গেছে। সকাল থেকেই উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

এদিকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মনিশংকর পাইক ও মেডিকেল অফিসার ডা.রথিন বৈদ্য করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এ দুজন চিকিৎসক আক্রান্ত হওয়ায় রোগীদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ছে।

লোকজন মাস্ক ছাড়াই ঘোরা ফেরা করছে। লাকডাউন কার্যকরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জীনাত মহলের নেতৃত্বে কিছু সময় বেশ কিছু জায়গায় ঘুরলেও তেমন কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের খবর পাওয়া যায়নি। এসময়ে উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) নাজমা সরোয়ার,উপজেলা আ.লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি মো.সাইফুল ইসলাম,সহ-সভাপতি হাজরা ওবায়দুর রেজা সেলিম, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শিকদার কামরুল হাসান কচি সহ অংগ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে ছিলেন।

এদিকে কচুয়া থানা পুলিশের পক্ষথেকে লকডাউন কার্যকরে বিভিন্ন এলাকায় মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। দোকানপাট ও রিকসা,ভ্যান ও বিভিন্ন ধরনের যানচলাচল বন্ধ রাখতে পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন।

কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.মনিরুল ইসলাম বলেন, লকডাউন বাস্তবায়নে থানা পুলিশ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করছে। পাশাপাশি মাস্ক বিতরণ ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রচারনা অব্যাহত রয়েছে।

কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জীনাত মহল বলেন, কঠোর স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করছে। জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রচারনা ও আইন প্রয়োগের মাধ্যমে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সেই সাথে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নে সহযোগীতার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান, থানা পুলিশ, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সহ সকলকে ধন্যবাদ জানান। সবার কাছথেকে এধরনের সহযোগীতা অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বাগেরহাট জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ৪০ থেকে ৭৩ শতাংশের মধ্যে ওঠানামা করায় বুধবার বিকালে জেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা মনিটরিং কমিটির সভা শেষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান ৭ দিনের লকডাউন জারি করেন।