• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

রামপাল তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের দাবি নদী আন্দোলন নেতাদের

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ৭ জুলাই ২০২১  

রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নদী ও পরিবেশ আন্দোলনের নেতারা। আজ মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পরিবেশ-প্রতিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও সুন্দরবন রক্ষার স্বার্থে এই প্রকল্প বাতিলের আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, সুন্দরবনসংলগ্ন এলাকায় কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হলে তা সামুদ্রিক ঝড়-তুফান-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষার জন্য প্রাকৃতিক ঢাল সুন্দরবন ধ্বংসের কারণ হয়ে উঠবে। এমনিতেই ভৈরব নদে উজানের মিঠাপানির অভাবে শত বছর ধরে সুন্দরবনের পরিস্থিতি নাজুক। গাছপালা মাথামরা রোগে আক্রান্ত। এমন পরিস্থিতিতে রামপালে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প হবে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা।

যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন ভবদহ পানিনিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক রণজিৎ বাওয়ালী, ভৈরব সংস্কার আন্দোলনের আহ্বায়ক আফসার আলী, কপোতাক্ষ বাঁচাও আন্দোলনের আহ্বায়ক অনিল বিশ্বাস, চিত্রা বাঁচাও আন্দেলনের আহ্বায়ক মোফাজ্জেল হোসেন, মুক্তেশ্বরী বাঁচাও আন্দোলনের আহ্বায়ক অনিল চন্দ্র বিশ্বাস, দর্শনা ভৈরব-মাথাভাঙ্গা-কপোতাক্ষ সংযোগ আন্দোলন কমিটির সম্পাদক আকমত আলী, মাথাভাঙ্গা-ভৈরব সংযোগ বাস্তবায়ন কমিটি, জীবননগর উপজেলা সম্পাদক কাজী বদরুদ্দোজা এবং ভৈরব সংস্কার আন্দোলনের উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভারত থেকে নিম্নমানের কয়লা আমদানি করে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র চালানো হবে। আর এই কয়লা আসবে রায়মঙ্গল-চালনা-মোংলা রুটে। এই রুটে রয়েছে সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব-বলেশ্বর-শিবসা-শাকবাড়িয়া-আড়পাঙ্গাশিয়া-কালিন্দী-পানগুছি-রায়মঙ্গল নদী। প্রতি মাসে ভারত থেকে আসবে ৩০টি এবং আকরাম পয়েন্ট থেকে ৮০টি কয়লাবাহী জাহাজ।

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হলে এর দূষণের সঙ্গে কয়লা পরিবহনজনিত দূষণ যুক্ত হবে। তাতে সুন্দরবনের মাটি-পানি-গাছপালা ও প্রাণ-সম্পদের ক্ষতি হবে। সংকটের মুখে পড়বে বিশ্ব ঐতিহ্য ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রাকৃতিক ঢাল সুন্দরবন। বিপন্ন হবে এখানকার জীবন-জীবিকা।

বিবৃতিতে নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ বিষয়ে দেশি-বিদেশি পরিবেশবিদ ও বিশ্বনেতাদের আপত্তি উপেক্ষা করে সরকার রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে অনড় অবস্থানে রয়েছে। শুধু ভারতীয় করপোরেট পুঁজির স্বার্থ রক্ষার তাগিদে সরকার নতজানু নীতি অবলম্বন করে চলেছে।

অতিসম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রসহ জি-৭ ভুক্ত দেশগুলো বিশ্ব পরিবেশ রক্ষায় জৈব জ্বালানি, বিশেষ করে কয়লাভিত্তিক শিল্পকারখানা থেকে সরে আসতে মতৈক্যে পৌঁছেছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকা অযৌক্তিক, বিসদৃশ ও সাংঘর্ষিক বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা