• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

শরণখোলায় কোরবানীর পশু নিয়ে বিপাকে খামারীরা!

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ৭ জুলাই ২০২১  

দেশ জুড়ে চলমান লকডাউনে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সকল হাট-বাজার বন্ধ থাকায় আসন্ন কোরবানীর পশু বিক্রি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতা, খামারি ও ইজারাদার।

এছাড়া লাখ লাখ টাকায় পশুর হাটের ইজারা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন উপজেলার একাধিক ইজারাদার। কারন কোরবানির পশুর হাটই তাদের আয়ের একটা বড় উৎস। করোনা প্রকোপ বৃদ্ধির কারনে চলতি বছর উপজেলায় পশুর হাট না বসার কারনে লোকসানের আশঙ্কায় রয়েছেন সংশ্লিষ্ট ইজারাদারা।

তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুর হাট বসানোর দাবি তাদের। উপজেলার আমড়াগাছিয়া বাজারের পশুর হাটটি শরনখোলা উপজেলার মধ্যে অন্যমত। সপ্তাহে দুই দিন হাট বসে এখানে। কোরবানির আগে থেকেই জমে ওঠে এই হাট।

প্রতি হাটে ৬০০ থেকে ৭০০ গরু-ছাগল কেনা-বেচা হয় এখানে কিন্তু করোনার কারনে ওই হাট সহ উপজেলার সকল পশুর হাট বন্ধ রয়েছে। যার কারনে হতাশ পড়েছেন ব্যাবসায়ী সহ ইজারাদার সংশ্লিষ্টরা।

উপজেলার কয়েক জন ব্যবসায়ী জানান, কোরবানির আগ মুহুর্তে পশু বেচা-কেনা করে তারা বছরে অনেক টাকা আয় করতেন। কিন্তু করোনার কারনে এ বছর তা করতে পারছেন না। তাছাড়া চলচে কঠোর লকডাউন।যে কারনে হতাশা গ্রস্থ হয়ে পড়েছেন তারা।

উপজেলার খেজুর বাড়িয়া এলাকার এক খামারী বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি কোরবানির বাজার ধরতে গরু পালন করে আসছেন। বর্তমানে তার খামারে বিক্রির মতো ৯টি গরু আছে। হাট না বসার কারনে তিনি পশু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে আছেন।

আমড়া গাছিয়া পশুর হাটের ইজারাদার গ্রæপের সদস্য একজন মো. রুবেল মিয়া ও মো. মাসুদ মুন্সী বলেন, প্রায় ৫০ লাখ টাকায় তারা আমড়াগাছিয়া বাজারের হাট এ বছর ইজারা নিয়েছেন। কোরবানির হাটই তাদের আয়ের মুল উৎস। কিন্তু শুরু থেকে লকডাউন থাকায় তারা চরম লোকসানের মধ্যে রয়েছেন।

তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশু হাট খুলে না দিলে আমাদের (ইজারাদারদের) পথে বসতে হবে । তাই পশুর হাট খুলে দেওয়ার জন্য তারা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. তোফাজ্জেল হোসেন জানান, ছোট-বড় মিলিয়ে শরনখোলায় শতাধিক ক্ষুদ্র খামার রয়েছে।

ওই সব খামারিরা কোরবানির হাটে তাদের পশু বিক্রি করার চিন্তায় আছেন। কিন্তু হাট চালু না হলে তারা লোকসানের মুখে পড়বে। উপজেলা নবাগত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খাতুনে জান্নাত বলেন, করোনা পরিস্থিতি বৃদ্ধির কারনে পশুর হাট গুলো বন্ধ রয়েছে। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেলে হাট গুলো সীমিত আকারে খুলে দেওয়া হতে পারে।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা