• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

মৌ চাষে সফল মোরেলগঞ্জের আরিফুল

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ২৪ জুলাই ২০২১  

বাগেরহাট জেলায় মৌ চাষে সাড়া জাগিয়েছে মোরেলগঞ্জের সফল চাষি আরিফুল ইসলাম। বানিজ্যিক ভিত্তিতে এপিস মেলিফেরা মৌ মাছির চাষ করে ৬ মাসে ২ মন মধু উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছেন। যে হারে মধু উৎপাদন হচ্ছে সেই হারে বিক্রি না হওয়ায় বিপাকে পড়েছে মৌ চাষি আরিফুল।

 

 

উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের গড়ঘাটা গ্রামের সবজি চাষী মোকছেদ আলী খানের ছেলে আরিফুল ইসলাম খান। ২০১১ সালে আলিম পাশ করে পারিবারিকভাবে আর্থিক সংকটে পড়ে। কর্মের তাগিদে গ্রাম ছেড়ে শহরমুখি হন। বেকার জীবনের অভিশপ্ততা ঘুচাতে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) বাগেরহাট, খুলনা বিসিক ও পিরোজপুরের বিসিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে মৌ-চাষের উপর একাধিকবার প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন। পরে তিনি কর্মসংস্থান ব্যাংকের মাধ্যমে ২ লাখ টাকা লোন নিয়ে ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে ১৮টি বাক্স নিয়ে বানিজ্যিক ভিত্তিতে মৌ চাষের যাত্রা শুরু করেন।

 

ভ্রাম্যমান এ চাষি মানিকগঞ্জ, নাটোর, মাদারীপুর, শরিয়তপুর ও ঈশ্বরদীতে সরিষা, ধুনিয়া, কালোজিরা , লিচু, বরই ফুল তরমুজ ক্ষেতের পাশে বাক্স স্থাপন ও ১৫-২০ দিন সেখানে অবস্থান করে মধু সংগ্রহ করেন। তিনি এ নিয়ে ৬ মাসে ২ মনের অধিক মধুূ সংগ্রহ করছেন।

 

 

আরিফুর ইসলাম জানান, লিচু ফুলের প্রতিমন মধু ১৬ হাজার টাকা , সরিষা ফুলের মধু ৮-৯ হাজার, তরমুজ ফুলের মধু ১৩ হাজার টাকা, কালোজিরা প্রতিমন মধু ৩২ থেকে ৩৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সাধারণ ফুলের মধু ৬শ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে । বর্তমানে তিনি ১১০ টি মৌ বাক্স স্থাপন করে মধু সংগ্রহ করছেন। বর্ষা মৌসুমে ফুল না থাকায় মৌ মাছিদের খাবার হিসেবে বাজারের চিনি দেয়া হচ্ছে।

 

ইউনিয়ন উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের মাধ্যমে এ সফল চাষি আরিফুলকে মধু চাষে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তবে সরিষা ফসলের ক্ষেতের পাশে মৌ চাষ হলে সরিষা ক্ষেতে ফলন ১৫-২৫ ভাগ বৃদ্ধি হয়। পাশাপশি ক্ষতিকারক পোকার আক্রমন থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

 

 

উপজেলা কৃষি অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) সিফাত আল মারুফ বলেন, এ অঞ্চলে এই প্রথম মৌ চাষ শুরু করেছেন চাষি আরিফুল ইসলাম। সরিষা ফসলে চাষিদেরকে প্রশিক্ষনের মাধ্যমে এ মৌ চাষে উদ্ভুদ্ধ করার পরিকল্পনা রয়েছে। ইতোমধ্যে সফল চাষি আরিফুলের মাধ্যমে প্রশিক্ষন দেওয়ার চিন্তাও করছেন তারা। কৃষি দপ্তরের মাধ্যমে তাকে সহায়তার আওতায় নেয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে বলে এ কর্মকর্তা জানান।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা