• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

সাড়ে ১৩ কেজি মাছের দাম লাখ টাকা!

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১  

বাগেরহাটে একটি সামুদ্রিক 'জাভা ভোল' মাছ এক লাখ আট হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। এতে ভাগ্য খুলেছে জেলের। একটি মাছ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পেরে বেজায় খুশি জেলে মাসুম।

এক সপ্তাহ আগে বঙ্গোপসাগরে বরগুনা জেলার মৎস্য ব্যবসায়ী মাসুম কম্পানির জালে মাছটি ধরা পড়ে। মাছটি নিয়ে মাসুমের ট্রলার রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) কেবি বাজার ঘাটে ভিড়লে উৎসুক জনতা মাছটি দেখতে ভিড় জমায়।

রবিবার সকালে সাড়ে ১৩ কেজি ওজনের ওই জাভা ভোল মাছটিকে বাগেরহাট সামুদ্রিক মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে কেবি বাজারের পাইকারি আড়তে তোলা হয়। এরপর খোলা বাজারে একে একে মাছটি বিক্রির জন্য ডাক উঠতে থাকে। বেশ কয়েকজন ক্রেতা ডাকে অংশগ্রহণ করেন। শেষ পর্যন্ত সর্বোচ্চ এক লাখ আট হাজার টাকা দিয়ে স্থানীয় ক্রেতা আল-আমিন মাছটি ক্রয় করে নেন।

জাভা ভোল বা সোনা ভোলের বৈজ্ঞানিক নাম 'প্রোটোনিবিয়া ডায়াকানথুস'। সাধারণত থাইল্যান্ড, মালেশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর এবং হংকেং এই মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। মাছের পেটের মধ্যে যে পুটকা (প্যাটা বা বালিশ) থাকে তা অনেক দামি এবং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয় বলে জানা গেছে।

বাগেরহাট কেবি বাজারের আড়তদার অনুপম সাংবাদিকদের জানান, সমুদ্র থেকে ট্রলারযোগে মাসুম কম্পানির জেলেরা মাছটি নিয়ে রবিবার ঘাটে ভিড়ে। এরপর মাছটি বিক্রির জন্য তার আড়তে তোলা হয়। সাড়ে ১৩ কেজি ওজনের জাভা ভোল মাছটি ডাকে সর্বোচ্চ এক লাখ আট হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।

ক্রেতা আল-আমিন হাজি সাংবাদিকদের জানান, এই মাছ অনেক দামি। ডাকে সর্বোচ্চ দাম দিয়ে তিনি এই মাছটি ক্রয় করেন। উচ্চমূল্যে মাছটি বিক্রির জন্য চিটাগংয়ে বড় মাছ ব্যবসায়ীদের কাছে পাঠানো হবে। সামুদ্রিক এই জাভা ভোল মাছটি ২৫ থেকে ৩০ কেজি ওজনের হলে তা প্রায় ২৫ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হতো। মাছের পেটের মধ্যে যে পুটকা (প্যাটা বা বালিশ) থাকে তা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয় বলে তিনি শুনেছেন।

 

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা