• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

মোংলা বন্দরে ঢুকতে পারছে না পন্য বোঝাই দুটি বিদেশি জাহাজ

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ৪ অক্টোবর ২০২১  

সাগর মোহনায় গভীরতা কম থাকায় মোংলা বন্দর চ্যানেলে ঢুকতে পারছেনা দুইটি বিদেশী বানিজ্যিক জাহাজ। গত ৪ দিন যাবত বঙ্গোপসাগরের বন্দরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় পন্য নিয়ে নঙ্গরে অবস্থান করছে পানামা পতাকাবাহী এম ভি সি এস ফিউচার ও টুভ্যালু পতাকাবহী এমভি পাইওনিয়র ড্রিম নামের এ জাহাজ দুটি। পন্য নিয়ে খালাসের জন্য আসার সময় মোংলা বন্দরের আউটারবারে (বহিঃনোঙ্গরে) এখন পন্য খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে।

জাহাজ দুটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট পার্ক শিপিংয়ের সত্বাধিকারী হুমায়ুন কবির পাটোয়ারি এবং এফ এম এস মেরিটাইমের খুলনাস্থ ব্যবস্থাপক মোঃ বিপ্লব এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

 

তারা বলেন, পুর্বে মোংলা বন্দরে পন্য খালাসের জন্য জাহাজ নিয়ে আসলে চ্যানেলের নাব্যতা সংকটের কারনে চট্টগ্রাম বন্দরে কিছু পন্য খালাস করতে হতো। জাহাজের ড্রাপ্ট কমলে বাকি পন্যগুলো নিয়ে মোংলা বন্দরে আসতে হতো। যার কারনে বিদেশ খেকে পন্য বোঝাই করে মোংলা বন্দরে সরাসরি আসার জন্য এবং চ্যানেল মোহনায় নাব্যতা সংকট দুরীকরনে ৭শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে আউটাবার ড্রেজিং করা হয়। যার ফলে সাড়ে ৯ মিটার জাহাজ অনায়াসে মোংলা বন্দরে প্রবেশে করতে পারবে বলে বন্দর কর্তৃপক্ষের ঘোষনা থাকলেও তাদের জাহাজ দুটি সাড়ে ৯ মিটারেরও কম ড্রাপ্টের। কিন্ত জাহাজ দুইটি আসার পর মোংলা বন্দরে প্রবেশ করতে গেলে চ্যানেলের গভীরতা কম হওয়ায় ঢুকতে পারছেনা।

 

তাই লাইটা (কার্গো) জাহাজ নিয়ে পন্য খালাস করে জাহাজ খেকে পন্য কমিয়ে তারপর বন্দরে প্রবেশ করতে হবে। যার ফলে আমাদের এখন মোটা অংকের টাকা আর্থিক লোকসান দিয়ে পণ্য খালাস করতে হবে। কিছু পন্য খালাস করে জাহাজের ড্রাপ্ট কমিয়ে এর মোংলা বন্দরের হাবারিয়া নামক স্থানের বয়ায় নিয়ে নঙ্গর করতে হবে।

এ প্রসঙ্গে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন বলেন, ড্রেজিং করার পর ওই জায়গায় আবার পলি পড়ে ভরাট হয়ে যেতে পারে। আর বর্ষা মৌসুমে পলি পরে চ্যানেল আরও খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। চ্যানেল সচল রাখতে ৩ অক্টোবর বিকেলে আউটারবারে একটি হোপার ড্রেজার পাঠানো হয়েছে। তবে ওখানে লাইটার দিয়ে কিছু পণ্য খালাস করে বন্দরে জাহাজ দুটি অনায়াসে আসতে পারবে।

 

উলে­খ্য, গত ৩০ সেপ্টেম্বর মোংলা বন্দরের উদ্দেশ্য ২৩ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার নিয়ে নয় দশমিক তিন মিটারের পানামা পতাকাবাহী এম ভি সি এস ফিউচার জাহাজ হিরন পয়েন্টের আদুরে নোঙ্গর করে। এরপর ১ অক্টোবর ১১ হাজার মেট্রিক টন সিরামিক পণ্য নিয়ে আসে নয় দশমিক ২৫ মিটার গভীরতার টুভ্যালু পতাকাবাহী আরেক বিদেশি জাহাজ এম ভি পাইনিয়র ড্রিম।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী (সিভিল ও হাইড্রোলিক) ও আউটারবার এবং ইনারবার ড্রেজিংয়ের (প্রকল্প পরিচালক) মোঃ শওকত আলী বলেন, ২০২০ সালের ডিসেম্বর প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে আউটারবারে ড্রেজিং শেষ হয়। এখন সেখানে কিছুটা পলি পড়ে গভীরতা কমে যাওয়ার কারণে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও গত ১৩ মার্চ ৭৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ইনারবার ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে যা চলমান রয়েছে। এ ড্রেজিংয়ের কাজ শেষ হলে মোংলা বন্দর জেটি থেকে সাগর মোহনা পর্যন্ত সর্বক্ষনিক হোপার ড্রেজার দিয়ে ড্রেজিংয়ের কাজ চলমান রাখতে হবে। এছাড়া বর্তমানে একটি হোপার ড্রেজার দিয়ে সাগর মোহনায় পুনরায় খনন করে চ্যানেল সচল রাখার চেষ্টা চলছে বলেও জানায় বন্দরের ড্রেজিং প্রকল্পের এ কর্মকর্তা।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা