বাগেরহাট থেকে খুলনায় এনে তরুণীকে পতিতালয়ে বিক্রি,গ্রেফতার ৩

বাগেরহাট থেকে বিয়ের নামে প্রতারণার মাধ্যমে তরুণীকে খুলনায় এনে পতিতালয়ে বিক্রির ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬। ভারতে পাচারের পরিকল্পনাকালে গতকাল তাদের গ্রেফতার করা হয়। আজ রবিবার (৭ নভেম্বর) গ্রেফতারকৃতদের রামপাল থানায় হস্তান্তর করে মামলা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হল- বাগেরহাটের রামপালের তেঘরিয়া এলাকার সৈয়দ ইলিয়াসের ছেলে সৈয়দ আজিজুল হাকিম বাপ্পি (২৪), খুলনার বয়রা সেন্টাল রোডের মান্নান কাজীর মেয়ে লাভলী বেগম (৪০) ও মেহেরপুরের গাংনির মোহাব্বতপুরের সাবুর আলীর মেয়ে শাহীনা খাতুন (২০)।

র‌্যাব-৬ সূত্রে জানা গেছে, গত এপ্রিলে বাগেরহাটের রামপাল সদর ইউনিয়নের মালিডাঙ্গা এলাকায় বাড়ী থেকে ভিকটিমকে খুলনায় নিয়ে আসে সৈয়দ আজিজুল হাকিম বাপ্পি (২৪)। বাপ্পি ভিকটিমকে খুলনা এনে মিথ্যা কাগজের মাধ্যমে বিবাহ করে। বিয়ের কিছুদিন ভিকটিমকে কাজের কথা বলে নগরীর বয়রা এলাকায় এই চক্রের মূল হোতা মোঃ লাভলী বেগমের কাছে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। লাভলী বেগম তার অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন মহিলা সহযোগীর মাধ্যমে ভিকটিমকে জোরপূর্বক দেহ পতিতাবৃত্তি করতে বাধ্য করে। প্রায় ৬ মাস লাভলী বেগমের নিয়ন্ত্রণে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে পতিতাবৃত্তি করে সে।

র‌্যাব সূত্র আরও জানায়, অভিযুক্ত সৈয়দ আজিজুল হাকিম বাপ্পি (২৪) এবং জনৈকা লাভলী বেগম ভিকটিমকে ভারতের পাচার করার উদ্দেশ্যে কথাবার্তা বলে। ভিকটিম এই পাচার চক্রের পরিকল্পনা বুঝতে পেরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কৌশলে পালিয়ে তার পিতার বাড়িতে আশ্রয় নেয়।

ভিকটিম র‌্যাবকে জানায় যে, সৈয়দ আজিজুল হাকিম বাপ্পি বিভিন্ন সময় ভিকটিমের নগ্ন ভিডিও তার মোবাইল ফোনে সংরক্ষণ করে ভিমটিমকে ব্লাকমেইল করাসহ ভিকটিমের এলাকার কতিপয় ব্যক্তির নিকট ছড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে ভিকটিমের ভাই মোঃ শেখ রাজুর (২৫) লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে র‌্যাব-৬ সদর কোম্পানীর একটি আভিযানিক দল ঘটনা সংক্রান্তে ছায়া তদন্ত শুরু করে। গতকাল রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।