• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

মুক্তিপণ দিয়ে বাড়ি ফিরলেন বঙ্গোপসাগরে অপহৃত ৭ জেলে

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০২১  

বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুদের হাতে অপহরণের শিকার সাত জেলে মুক্তিপণ দিয়ে ৬০ ঘণ্টা পর ছাড়া পেয়ছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) সকালে অপহৃত জেলেরা তাদের নিজ নিজ বাড়ি এসে পৌঁছান। এ সময় পরিবারের স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

গত ২১ নভেম্বর রাত ৯টায় বঙ্গোপসাগর থেকে এসব জেলেদের অপহরণ করে জলদস্যুরা। এরপর মুক্তিপণ দাবি করে দস্যুরা। মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পাওয়া জেলেরা হলেন- বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার লোকমান হোসেন (৬০), জাকির হোসেন (৫০), বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার জেলে নেছার খান (৫০), কামাল হোসেন (৪৫), জামাল হোসেন (৪৮) ও পিরোজপুরের হেলাল (৩৫) ও জাহাঙ্গীর  (৪০)।

ফিরে আসা জেলে লোকমান ও জাকির হোসেন জানান, অপহরণের পর দস্যুরা সারারাত ট্রলার চালিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় তাদের। কোনও খাবার না দিয়ে বেদম মারধর করে। অপহরণের একদিন পর মোবাইল ফোনে জেলেদের মালিকদের কাছে তিন লাখ টাকা চাঁদা পরিশোধ করতে বলে জলদস্যুরা।

এ সময় জেলেদের মারধর করা হয়। পরে জেলে লোকমানের আত্মীয়-স্বজন বিকাশের মাধ্যমে জলদস্যুদের কাছে মুক্তিপণের টাকা পাঠান। এরপর বাকিদের পরিবারও একইভাবে জলদস্যুরদের টাকা পাঠায়। দস্যুরা মুক্তিপণের তিন লাখ টাকা পাওয়ার পর ২৪ নভেম্বর ভোরে সাত জেলেকে ফিশিং ট্রলারের আইসকুঠুরিতে আটক অবস্থায় রেখে অপর একটি ট্রলারে করে পালিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে বের হয়ে জেলেরা জানতে পারেন, তাদের অবস্থান ভোলা জেলার চর-মমতাজ এলাকায়।

ছাড়া পাওয়া জেলেরা সেখান থেকে ট্রলার চালিয়ে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় এসে নৌ-পুলিশকে ঘটনার বর্ণনা দেন। এরপর থানা পুলিশের সহায়তায় জেলেরা বাগেরহাটের শরণখোল, বরগুনার পাথরঘাটা ও পিরোজপুরের গ্রামের বাড়িতে ফেরেন।

বাগেরহাটের শরণখোলা থানার ওসি মো. সাইদুর রহমান জানান, জলদস্যুদের ব্যবহৃত ফিশিং ট্রলারে করে জেলেরা ফিরে আসায় কুয়াকাটার জেলেরা তাদের ডাকাত সন্দেহ করে। পরে বাগেরহাট, বরগুনা ও পিরোজপুর পুলিশ রিপোর্ট দেওয়ার পরে সেখানের নৌ-পুলিশ ও র‍্যাব জেলেদের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করে।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা