• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

শরণখোলায় ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন, ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ২ আগস্ট ২০২২  

বাগেরহাটের বিভিন্ন উপজেলায় নিষিদ্ধ বরিং ড্রেজার (স্থানীয় নাম আত্মঘাতী ড্রেজার) দিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে ভুগর্ভস্থ বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।  সমতল ফসলি জমি, পুকুর, খাল থেকে অবৈধভাবে বালু তোলার ফলে ভূমি ধসের আশঙ্কা রয়েছে। এর ফলে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে বাগেরহাটের পরিবেশ-প্রতিবেশ। 

শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের মধ্য নলবুনিয়া গ্রামে সোমবার দিনভর অন্যের ফসলি জমি থেকে জোর করে বরিং ড্রেজার দিয়ে বালু তোলার অভিযোগ উঠেছে। সেই বালু দিয়ে প্রায় দেড় হাজার ফুট দূরের একটি পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। 

ওই গ্রামের প্রভাবশালী রমজান হাওলাদার ও সোহাগ হাওলাদার অন্যের জমি থেকে জোরপূর্ব বালু তুলছেন বলে অভিযোগ করেছেন জমির প্রকৃত মালিকরা। 

আত্মঘাতী এই ড্রেজার দিয়ে সমতল মাটির তলদেশ থেকে বালু উত্তোলনের ফলে ফসলি জমি দেবে যাওয়াসহ আশপাশের পরিবেশেরও ভয়াবহ ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। 

জমির মালিক ইব্রাহীম হাওলাদার, জলিল হাওলাদার, খলিল হাওলাদার, লুৎফর হাওলাদার ও লোকমান হাওলাদার জানান, যে জমি থেকে বালু তোলা হচ্ছে সেই জমিসহ আশপাশের সমস্ত জমি তাদের। সেই জমিতে ১০-১২ দিন আগে স্থানীয় প্রভাবশালী রমজান ও সোহাগ জোরপূর্বক আত্মঘাতী ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু তোলা শুরু করেন। পরে শরণখোলা থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ এসে তা বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছেও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু তারা আইন অমান্য করে আজ সকাল থেকে আবার বালু উত্তোল শুরু করেন। 

জমির মালিকেরা জানান, তাদের জমি থেকে বালু তুলে প্রায় দেড় হাজার ফুট দূরের বিশাল পুকুর ভরাট করছেন তারা। বালু তোলার কারণে জমির তলদেশ ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। এতে যে কোনো সময় বিশাল এলাকা নিয়ে জমি দেবে যেতে পারে। বালু তোলা বন্ধ করতে বললে তারা কোনো কথাই শুনছেন না। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বালু উত্তোলকারী রমজান হাওলাদার জানান, যেখান থেকে বালু তোলা হচ্ছে সেই জমির মালিক তারা। তাদের জমি থেকেই তারা বালু তুলে পুকুর ভরাট করছেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো.আলমগীর হোসেন তালুকদার বলেন, বরিং ড্রেজার পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। শ্যালোমেশিনের মাধ্যমে কম্পন সৃষ্টি করে বালু তোলার ফলে মাটির তলদেশে ফাঁকা হয়ে যায়। এতে বড় ধরনের ভূমি ধসের আশঙ্কা দেখা দেবে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পরিবেশ বিধ্বংসী এই অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। পরিবেশ রক্ষায় প্রশাসনের এসব ড্রেজার দ্রুত বন্ধ করা উচিত।

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নূর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, বরিং ড্রেজার দিয়ে ভুগর্ভস্থ থেকে বালু উত্তোলন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ ব্যাপারে অবৈধ ড্রেজার মালিক ও বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা