• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

চিতলমারীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত-প্রতারণা মামলা

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২  

বিয়ের নামে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ বাদশা মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক নারী। বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে (চিতলমারী) ভুক্তভোগী ওই নারী বুধবার (২০সেপ্টেম্বর) এই মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মোঃ খোকন হোসেন মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বাগেরহাট কার্যালয়কে তদন্তের নির্দেষ দিয়েছেন। সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভুক্তভোগী নারীর আইনজীবী এ্যাড. শেখ বাহাদুর ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।

চিতলমারী উপজেলার বাসিন্দা ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, আমার স্বামী সৌদি আরব থাকায় ২০১২ সালের দিকে কলাতলা ইউনিয়নের চরচিংগুরি গ্রামের মৃত ছালাম শেখের ছেলে মোঃ বাদশা মিয়ার সাথে সুসম্পর্ক হয়। একই বছর ১৯ সেপ্টেম্বর মোঃ বাদশা মিয়া আমার কাছ থেকে এক লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ধার নেয়। বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে আমাকে প্রবাসী স্বামীকে তালাক দেওয়ায় কথা বলে। পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ১০ অক্টোবর খুলনার অজ্ঞাত এক কাজী অফিসে ৩ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য্য করে বিয়ে করেন। একই সাথে খুলনা শহরের টুটপাড়া এলাকার মাওলানা আব্দুল জব্বারের মাধ্যমে কলমা পড়িয়ে বিয়ে সম্পন্ন করেন।

বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে ঢাকা শহরে ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করি। স্বামী-স্ত্রী হওয়ার সুবাদে মোঃ বাদশা মিয়া বিভিন্ন সময় ব্যবসা করার জন্য আমার কাছ থেকে আরও ১০ লক্ষ টাকা নেয়। এভাবে আমাদের সংসার চলতে থাকে। কিন্তু হঠাৎ করে মোঃ বাদশা মিয়া কলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আমার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। বিয়ের কথা অস্বীকার করে। কিন্তু তার সাথে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে আমার ছবি আছে। আমরা এক সাথে ভাড়া বাসায় ও হোটেলে থেকেছি, তা অনেক মানুষ জানে। বাদশা মিয়াকে বিয়ের জন্য আমি স্বামীকে তালাক দিয়েছি, আর এখন সে আমাকে অস্বীকার করে। আমি কোথায় যাব, এই বলে কান্না করতে থাকেন ওই নারী।

এ বিষয়ে কলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ বাদশা মিয়া বলেন, ওই নারীর সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। তার কাছ থেকে কোন টাকা নেইনি। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য এই মিথ্যা মামলা করিয়েছে।

ছবির বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ বাদশা মিয়া বলেন, ওই নারী সম্পর্কে আমার নাতী হয়। কোন এক বিয়ের অনুষ্ঠানে এই ছবি তোলা ছিল মনে হয়।

ভুক্তভোগী নারীর আইনজীবী এ্যাড. শেখ বাহাদুর ইসলাম বলেন, বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেষ দিয়েছেন।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা