• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

বাদাম ও তেতুল চা বানিয়ে মানুষের মন কেড়েছেন অজিয়ার

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২  

অজিয়ার শেখ মোংলা মেরিন ড্রাইভ রোড়ের একজন চা বিক্রেতা। প্রায় দুই বছর ধরে তিনি সড়কের পাশে বসে চা বিক্রি করেন। প্রথমে শুধু মাত্র রং চা দিয়ে ব্যাবসা শুরু করলেও বর্তমানে তার দোকানে কয় এক প্রকার চা বিক্রয় করা হয়। তার ভীতরে কাজু বাদাম চা এবং তেতুল চা অন্যতম। ইতোমধ্যে চা প্রেমি মানুষের মাঝে বেশ পরিচিতি লাভ করেছে অজিয়ার শেখের সপ্ন টি এন্ড কফি শপ।

অজিয়ার শেখ বলেন, এই টং দোকানের উপর নির্ভর করে বর্তমানে আমার সংসার চলছে। প্রতিদিন প্রায় তিন থেকে চার হাজার টাকা বেচা কেনা করি। বিভিন্ন বয়সের লোকজন দুর দুরন্ত থেকে আমার এখানে চা খেতে আসে। আমার এখানে সর্বচ্চ ৫০ টাকা থেকে সর্বনিম্ন ৬ দরে চা বিক্রি হয়, কাজু বাদাম চা এবং তেতুল চাটাই মানুষ খেতে বেশি পছন্দ করে। আমার এখানে প্রায় ১৫ আইটেমের চা বিক্রিকরা হয়। যেমন শাহি স্পেসাল কাজু চা, মাশরুম চা, রেগুলার কাজু বাদাম চা, চকলেট চা, তেতুল চা,
গরুর দুধের স্পেসাল চা, মসলা চা, মালটা চা,ডে- নাইট লাল চা, লেমন চা, আধা চা, মসলা লাল চা, দুধ কফি এবং ব্লাক কফি, হরলিক্স চা।

চা খেতে আসা সজিব হাসান নামে এক ব্যক্তি জানান, আমি মোংলাতে চাকরির সুবাধে থাকি। এখানকার চা আমার খুবই পছন্দ। ফ্রি সময় চা খেতে এখানে চলে আসি। এখানকার তেতুল চা আমার খুবই পছন্দের।

নাজমুল হাসান নামের ওপর এক ব্যক্তি বলেন, এই দোকানের কাজু বাদাম চা আমার খেতে খুবই ভালো লাগে। প্রতিদিন আমি একবার হলেও এখানে চা খেতে আসি। মোংলাতে আর কোথাও এমন চা পাওয়া যায়না। তাই এখানে আসি। আর এখানকার পরিবেশটাও বেশ সুন্দর।

তহমিনা আক্তার নামের এক নারী বলেন, নদীর পাড়ে ঘুরতে আসলেই এখানে চা খেতে আসি। বিশেষ করে মাটির কাপের কাজু বাদাম চা এবং তেতুল চা আমার খুবই ভালো লেগেছে। বাসায় বসে এমন করে চা বানানোর চেস্টা করেছি কিন্তু পারিনি। আর এখানে বসে নদীর সৌন্দর্য্য উপভোগ করা এবং বসে বসে চা খাওয়ার মজাটাই আলাদা।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা