• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

রামপালে আমন চাষিদের ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০২২  

রামপালে বর্ষা বিহীন তীব্র খরায়ও ভালো ফলনের আশা করছেন আমন চাষিরা। সার্বিকভাবে এবার আমন আবাদ কম হলেও আবাদ মৌসুমের শেষ সময়ে কৃষকেরা মাঠে নেমে আমন আবাদ করেছেন। এতে চলতি মৌসুমের আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের কাছাকাছি পৌঁছেছে।

শেষ চাষীরা একদম হাল ছেড়ে হতাশ হয়ে হাতপা গুটিয়ে বসে ছিলেন। সময় মতো মৌসুমি বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এবং পানি তীব্র লবনাক্ত থাকায় এবার হয়তো আমন আবাদ হবেই না এমনটা মনে করেই। বর্ষা মৌসুমের শেষ সময়ে এসে কিছুটা বৃষ্টিপাত হওয়ায় আশার আলো দেখতে পান কৃষকেরা।

রামপাল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষ্ণা রাণী মন্ডল তার সহকারী কর্মকর্তাদের নিয়ে মাঠে নেমে পড়েন। তিনি কৃষকদের প্রশিক্ষণ, পরামর্শ, কৃষি উপকরণ ও হাইব্রিড ও উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান বীজ বিতরণসহ সরকারের সকল সহায়তা প্রদান করেন। মাঠে নেমে কৃষকদের উৎসাহিত করেন। এতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি চলে যান। উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৮ হাজার ২৫০ হেক্টর। এর মধ্যে উফশী ৪ হাজার ২২০ হেক্টর, হাইব্রিড ৭০ হেক্টর ও স্থানীয় ৩ হাজার ৯৬০ হেক্টর। কিন্তু আবাদ হয়েছে উফশী ৫ হাজার ৪৬৮ হেক্টর, হাইব্রিড ২৯৫ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ২ হাজার ৭৫ হেক্টর আবাদ হয়েছে। মাত্র পাঁচ ভাগ আবাদ কম হয়েছে।

উপজেলার বড়দিয়া গ্রামের কৃষক মো. ফিরোজ কবির জানান, কৃষি কর্মকর্তা কৃষ্ণা রাণী মহোদয়ের প্রেরণা পেয়ে শেষ সময়ে আমন চাষে উৎসাহিত হই। আমি প্রায় পাঁচ একর জমিতে আমন আবাদ করেছি। আবাদ ও আশাব্যঞ্জক। এখনো কোন রোগবালাই লাগেনি। আশা করি ফলন ভালো হবে। একই অনূভুতি ব্যক্ত করেন সিংগড়বুনিয়া গ্রামের সাইফুল মোল্লা। তিনি বলেন আমি ৪/৫ বিঘা জমিতে আবাদ করেছি। আবাদ মোটামুটি ভালো। দেখা যাক কি হয় ?

কৃষি কর্মকর্তা কৃষ্ণা রাণী মন্ডল বলেন, আমরা আমাদের অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি যাতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হয়। যে কোন প্রয়োজনে কৃষকগণ আমাদের কাছ থেকে পরামর্শ বা সেবা নিতে পারবেন।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা