• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

রামপালে আমন ধান ক্রয় অভিযানে ভাটা

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

সরকারের বেধে দেয়া দামের চেয়ে বাজারের ধানের দাম বেশি থাকায় বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় এবারও সরকারের আমন ধান ক্রয় অভিযান ভেস্তে যেতে বসেছে। গত ৫ মাসে এক কেজি আমন ধানও ক্রয় করতে পারেনি উপজেলা খাদ্য অধিদপ্তর। এবার এ উপজেলায় সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪২৪ মে.টন। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারী ধান সংগ্রহ অভিযানের সমাপ্তি টানা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে।
রামপাল উপজেলা খাদ্য অধিদপ্তরের একটি দায়িত্বশীল সুত্র জানায়, সরকারি ভাবে দেশব্যাপি আমন ধান ক্রয় শুরু হয় গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে। এরই অংশ হিসেবে এ উপজেলায়ও ঢাক ঢোল পিটিয়ে আমন ধান ক্রয় অভিযানে নামেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অধিদপ্তর। সুত্র বলছে ২৮ টাকা কেজি দরে প্রতিমন আমন ধান ১ হাজার ১৮০ টাকায় ক্রয় করতে সরকারি ভাবে দাম নির্ধারন করে দেয়া হয়। সরকারের বেধে দেয়া দামে এ উপজেলার কোন কৃষক ধান বিক্রি করতে আগ্রহী হয়নি। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারী আমন সংগ্রহ অভিযান শেষ হবে বলে জানা গেছে। এরই মধ্যে সময় পার হয়েছে প্রায় ৫ মাস। গতকাল ২২ ফেব্রুয়ারী বুধবার পর্যন্ত সংগ্রহ হয়নি এক কেজি আমনও। এবার এ উপজেলায় আমন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ৪২৪ মে.টন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের একটি সুত্র জানায় রামপাল উপজেলায় এবার ৭ হাজার ৮৩৮ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে ২০ হাজার ৯০৩.৫ মে.টন। উৎপাদন আশানুরূপ হলেও কেন কৃষকরা সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে আগ্রহ দেখায়নি এ প্রসঙ্গে উপজেলা খাদ্য অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেন সরকারের বেধে দেয়া দামের চেয়ে বাজারে ধানের দাম বেশি থাকায় কৃষকরা সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে চাননি। ওই কর্মকর্তার কথার সুত্র ধরে উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে ধান-চাল ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে এর সত্যতা মিলেছে। বাজারে এখন এক মন আমন ধান ১৩শ টাকা থেকে সাড়ে ১৩শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকরা সরকারের বেধে দেয়া দামে ধান বিক্রি করেনি।
কৃষকদের সাথে কথা বললে তারা যুক্তি দেখিয়ে বলেন সরকারের বেধে দেয়া দামে ধান বিক্রি করলে আমাদের লোকসান গুনতে হবে। উৎপাদন খরচ বেশি থাকায় আমরা সরকারের ওই দামে ধান বিক্রি করতে পারছিনা। সরকার প্রতি মন আসন ধান ১ হাজার ১৮০ টাকা নির্ধারন করে দিয়েছে। অথচ এখন বাজারে প্রতি মন আমন ধান ১৩শ থেকে সাড়ে ১৩শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ কারনে কৃষকরা সরকারের বেধে দেয়া দামে ধান বিক্রি করছে না। কৃষকরা বাজার মুল্যের সাথে মিল রেখে দাম নির্ধারনের দাবী করেন।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এসএম শামীম হাসান বলেন, আমন সংগ্রহ্র অভিযান শুরুর আগে আমরা কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক প্রচার প্রচারনা চালিয়েছি। তারপরও কৃষকরা আমাদের কাছে কোন ধান বিক্রি করেনি। তিনি বলেন সরকারের বেধে দেয়া দামের চেয়ে বাজারের ধানের দাম বেশি থাকায় সরকারের বেধে দেয়া দামে কোন কৃষক ধান বিক্রি করতে আগ্রহী হয়নি। এ কারনে মুলত এবার আমন সংগ্রহ অভিযান ব্যর্থ হতে বসেছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে ধান ক্রয় অভিযান শুরু হয়। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারী তা শেষ হবে। গতকাল ২২ ফেব্রুয়ারী বুধবার পর্যন্ত এক কেজি আমন সংগ্রহ হয়নি। ওই কর্মকর্তা স্বীকার করে বলেন, একই কারনে গত বছরও ্এ উপজেলায় কোন আমন সংগ্রহ হয়নি ।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা