• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

মোংলায় পন্টুন ডুবি: উদ্ধারের আগেই যন্ত্রাংশ লোপাটের অভিযোগ

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ১০ মার্চ ২০২৩  

চার মাস পর ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে মোংলা নদীতে ডুবে যাওয়া বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসির) পন্টুনটির উত্তোলন কাজ শুরু হয়েছে। এতে ঝুঁকিমুক্ত হতে যাচ্ছে মোংলা-ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক বঙ্গবন্ধু নৌ-ক্যানেলে কার্গো-লাইটার জাহাজসহ নৌচলাচল। এদিকে পন্টুনটিকে নদী থেকে পুরোপুরি উদ্ধারের আগেই প্রায় অর্ধকোটি টাকার যন্ত্রাংশসহ বিভিন্ন মালামাল লোপাট হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। 
কর্তৃপক্ষ জানায়, গত বছরের ২৪ অক্টোবর রাতে সিত্রাংয়ের আঘাতে বিআইডব্লিউটিসির মোংলার কুমারখালীর পরিত্যক্ত স্টিমার ঘাটের পন্টুনটি ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক বঙ্গবন্ধু নৌ-ক্যানেলটির মাঝখানে ডুবে যায়। সেই থেকে অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে মোংলা সমুদ্র বন্দর হয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আন্তর্জাতিক এ চ্যানেলটি দিয়ে নৌযান চলাচল করে আসছে। এ অবস্থায় ডুবন্ত এ পন্টুনটি উত্তোলনের জন্য গত বছরের ২১ ডিসেম্বর দরপত্র আহ্বান করে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। 
গত ১২ ফেব্রুয়ারি এক অফিস আদেশের মাধ্যমে ঢাকার মেসার্স আনফিল্লা ট্রেডার্স নামের এক কোম্পানিকে পন্টুনটি উত্তোলন করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে কাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে, চোরাকারবারিরা স্টিমার ঘাটটির প্রায় অর্ধকোটি টাকার সরকারি যন্ত্রাংশ, পিলার, সিঁড়ি, শিকল ও অ্যাংকারসহ অন্যান্য মালামাল ট্রাকবোঝাই করে নিয়ে গেছে। এমন ঘটনা স্থানীয় লোকজনের নজরে আসে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানালে যন্ত্রাংশগুলো উদ্ধারের জন্য ২৬ ফেব্রুয়ারি মোংলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বিআইডব্লিউটিসির বরিশাল অঞ্চলের সহকারী ম্যানেজার ও নির্বাহী প্রকৌশলী সামছুল হক।
অভিযোগ রয়েছে, কাজ শুরুর পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির লোকজনও যন্ত্রাংশ লোপাট করেছে।
এ বিষয়ে মেসার্স আনফিল্লা ট্রেডার্সের মালিক অনন্যা হোসাইন মৌসুমীর স্বামী ও ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মো. বেলাল হোসাইন বলেন, ‘কাজ শুরুর পর কিছু মালামাল আমাদের লোকজন নিয়ে গেছে। এর জন্য সরকারিভাবে যে দায়ভার আসে তা আমরা বহন করবো। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আকারে জানানো হয়েছে।’
বিআইডব্লিউটিসি বরিশাল অঞ্চলের সহকারী ম্যানেজার ও নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সামছুল হক বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যে যন্ত্রাংশ নিয়েছে সে ব্যাপারে নিয়মানুযায়ী তার জামানত থেকে কেটে রাখা হবে। আর পাচার হওয়া অন্যান্য মালামালের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়াও শুরু করা হয়েছে।’
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু নৌ-ক্যানেলের মোংলা নদীতে ডুবন্ত পন্টুনটির মালামাল লোপাটের ঘটনায় অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর তদন্তও চলছে। মালামাল উদ্ধার ও দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা