• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

বাগেরহাটে চেয়ারম্যানের বিরুদ্বে ভিজিডি‘র চাল আত্মসাতের অভিযোগ

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ৪ মে ২০২৩  

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার জিউধরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর বাদশা‘র বিরুদ্ধে বস্তা থেকে ভিজিডি‘র চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (০৩ মে) বেলা ১১টায় কাকড়াতলী বাজারে অবস্থিত জিউধরা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে চাল বিতরণের সময় এই অভিযোগ তোলেন কয়েকজন ইউপি সদস্য। তখন বস্তায় চাল কম থাকায় উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণ বন্ধ করে গুদামে তালা মেরে দেন সরকারি ট্যাগ অফিসার উপ-সহকারি প্রকৌশলী মোঃ মনিরুল ইসলাম।

এদিকে চাল আত্মসাতসহ চেয়ারম্যানের অন্যান্য অনিয়মের সঠিক তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ইউপি সদস্যরা।

জিউধরা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য সাইদুল ইসলাম বলেন, ট্যাগ অফিসারের নির্দেশে কয়েকটি বস্তা পরিমাপ করা হয়। কোন বস্তায়ই ৩০ কেজি চাল ছিল না। ২৪ কেজি থেকে ২৭ কেজি পর্যন্ত চাল পাওয়া গেছে। পরিষদের সদস্য হিসেবে দরিদ্রদের মাঝে কম চাল বিতরণ না করার জন্য অনুরোধ করলে চেয়ারম্যান আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়। আমাকে মারধর করার হুমকি দেয়।

৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য মোকছেদ আলী হাওলাদার বলেন, চেয়ারম্যান তার লোকজন দিয়ে রাতের আঁধারে বস্তায় বোমা মেরে চাল নামিয়ে রেখেছে। বস্তা ভেদে ৩ কেজি থেকে ৬ কেজি পর্যন্ত চাল কম রয়েছে। আমরা সদস্যরা বিষয়টির প্রতিবাদ করলে সে ইউপি সদস্য সাইদুল ইসলামসহ অন্যান্যের দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।

সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য মায়া মন্ডল বলেন, শুধু চাল নয়, চেয়ারম্যান পরিষদে নানা ধরণের অনিয়ম করেন। আমাদের কোন কাজে সম্পৃক্ত করেন না। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে সহ¯্রাধিক মানুষের কাছ থেকে ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ নিয়েছেন। ওই পানির ট্যাংকি বিতরণের রেজুলেশনে আমরা তেমন কেউ স্বাক্ষর করিনি। ইউপি সদস্য মোঃ হারুণ হাওলাদারের স্বাক্ষর জাল করেছেন চেয়ারম্যান।

৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ শাহজাহান মৃধা বলেন, চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর বাদশা টিআর কাবিখা ও সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ না করে টাকা আত্মসাতসহ নানা ধরণের অনিয়ম ও দূর্নীতি করেন। তার অনিয়মের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্চিত হতে। চেয়ারম্যান আমাকেও একবার মারধর করেছে। চেয়ারম্যানের ‍এসব অনিয়ম ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান এই জনপ্রতিনিধি।

চাল বিতরণের সময় থাকা সরকারি ট্যাগ অফিসার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর মোরেলগঞ্জ উপজেলার উপ-সহকারি প্রকৌশলী মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, বস্তায় চাল কম থাকায় আমি বিতরণ বন্ধ করে দিয়েছি। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।

চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর বাদশা বলেন, আমি কোন দূর্নীতি করিনা। চাল চুরির তো প্রশ্নই আসে না। আমার কয়েকজন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা এই ধরণের অপপ্রচার চালাচ্ছেন।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি জানার পরে জিউধরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে সতর্ক করা হয়েছে। যদি ওই ইউনিয়নের কোন উপকারভোগী নির্দিষ্ট পরিমানের থেকে কম চাল পেয়েছে এমন অভিযোগ থাকে তাহলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা