• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

চিতলমারীতে অর্ধশত পরিবারের পক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধার সংবাদ সম্মেলন

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ১৩ মে ২০২৩  

বাগেহাটের চিতলমারীতে অর্ধশত পরিবারের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। শনিবার (১৩ মে) সকাল ১১টায় চিতলমারী উপজেলা প্রেসক্লাবে বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান তালুকদার এ সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান তালুকদার বলেন, ‘আমি ও আমার বংশীয় প্রায় অর্ধশত পরিবার হামলা, মামলা, লুটপাট ও নির্যাতনে জর্জারিত এবং নিংস্ব হয়ে পড়েছি। আমাদের উপর দিয়ে দিনের পর দিন অমানবিক বর্বরতা চলছে। আমরা উপজেলার চৌদ্দহাজারী গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী শওকাত তালুকদার, কাওছার তালুকদার, সাদেক তালুকদার, হারুন তালুকদারগংদের সাথে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধের জের ধরে মাঝে মধ্যে উভয় পক্ষের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটত। যা নিয়ে একাধিকবার থানায় মামলা ও স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠক হয়েছে। গত ১৫ জুন ২০১৯ তারিখ কাওছার তালুকদারের ছেলে শিশু খালিদ নিখোঁজ হয়। ১৭ জুন ২০১৯ তারিখ স্থানীয় একটি মৎস্য ঘেরে শিশু খালিদের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় আমাদের বংশের ১৯ জনের বিরুদ্ধে কাওছার তালুকদার বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করে। জামিনে আমাদের লোকজন আসতে শুরু করলে পুনরায় কাওছার তালুকদারের ছোট ভাই মান্নান তালুকদারের ছেলে শিশু রিফাত ২৬ নভেম্বর ২০১৯ তারিখ হত্যার শিকার হয়। এ মামলায় আমিসহ আমাদের ১৬ জনকে আসামী করা হয়। এই দুই মামলায় আমরা পলাতক থাকা অবস্থায় শওকত তালকুদারের ছেলে আমিন তালুকদার ও শওকত তালুকদারের চাচাতো ভাই রিয়াদ তালুকদারের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জনের একটি দল আমারসহ ২০টি পরিবারের বাড়ীতে লুটপাট, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে ব্যাপক তান্ডব চালায়। ওদের হামলা, মামলা ও লুটপাটের কারনে আমরা প্রায় অর্ধশত পরিবার আজ পথে পথে ঘুরছি। বউ ছেলে-মেয়ে নিয়ে মানবতার জীবন যাপন করছি। রিফাত হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে আমাদের এজাহার নামীয় আসামীদের নাম চার্জশীটে নেই। রিফাত হত্যা মামলার বাদীর ভাইপো আমিন তালুকদার, সাকিব তালুকদার, ইকবাল তালুকদার ও হাফিজুর রহমান ছোটর স্বীকারোক্তি মোতাবেক বাদীর ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট হয়েছে। এদেরমধ্যে রিয়াদ তালুকদারের দ্রæত বিচার আইনের একটি মামলায় ২ বছরের সাজা হয়েছে। আদালতের গ্রেপ্তারী পরোয়ানা থাকায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। এখন উক্ত শওকত তালুকদারগংদের হুমকি-ধামকিতে আমরা দুটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের লোকজনসহ অর্ধশত পরিবার ভীত সংন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছি।

সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বড়বাড়িয়া আইডিয়াল কমার্স কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ সবুর তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও সাবেক ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান তালুকদার, আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ শাহজাহান তালুকদারসহ ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর অনেক সদস্য।

এ ব্যাপারে মোঃ কাওছার তালুকদার বলেন, তাদের সাথে আমাদের জমি নিয়ে বিরোধ আছে। তারা আমার ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করে আমাকে নিংস্ব করতে চেয়েছিল। পরে আমার ছেলে লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় মামলা চলছে। 

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা