ফকিরহাটের মরাপশুর পুন:খননে কৃষকের চোখে স্বপ্নের ঝিলিক
ষাট গম্বুজ টাইমস
প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২৩
বাগেরহাটের ফকিরহাটের খননের অভাবে ভরাট হয়ে দীর্ঘদিন ধরে নাব্যতা হারিয়ে মৃত প্রায় ছিল বেতাগা ইউনিয়নের মরা পশুরসহ সাত খাল। দীর্ঘ দিন ধরে মরাপশুর খালসহ বেতাগা ইউনিয়নের ৭টি খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় কৃষিজমিতে সেচসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পানি সংকট ছিল ওই এলাকায়। এছাড়া প্রতিবছর জলাবদ্ধতার শিকার হয়ে নানা ভোগান্তিতে পড়ত হাজার হাজার মানুষ। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)-র খননে ভোগান্তি বাড়ানো মরা পশুরসহ এসব খালে প্রাণ ফিরেছে। নাব্যতা হারিয়ে মৃতপ্রায় খালগুলোর এখন ভরা যৌবন। পানির স্বাভাবিক প্রবাহের ফলে এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন ও সেচ সুবিধা সহজ হওয়ায় খুশি চাষী ও স্থানীয়রা।
এলজিইডি, বাগেরহাট কার্যালয় সূত্রে জানাযায়, জন সাধারণের ভোগান্তি লাঘব ও অর্থনৈতিক ভাবে উন্নয়নের কথা চিন্তা করে ২০২২ সালে টেকসই ক্ষুদ্রকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় খালগুলো খননের উদ্যোগ নেয় এলজিইডি। ২ কোটি ৩৬ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা ব্যয়ে মরা পশুর, খুমারখালী, ফ্যাইস্যাখালী, দাত্নেমারী, বাসাবাড়ি, গজার ও চাকুলির খাল নামের ৭টি খালের প্রায় ২০ কিলোমিটার খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়। স্থানীয় অংশিদারিত্বের ভিত্তিতে কুমারখালী পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিঃ এর মাধ্যমে এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে খালগুলো খনন শুরু হয়। ইতোমধ্যে খননের প্রায় ৭৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। অবশিষ্ট কাজ খুব দ্রুত শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। নিয়মিত খনন কাজ দেখভাল করছেন এলজিইডির কর্মকর্তারা। ইতোমধ্যে খাল সংলগ্ন ৯টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ খননের সুবিধা ভোগ করতে শুরু করেছে। এছাড়া খালের আশপাশের প্রকৃতিতেও প্রাণ ফিরেছে। খাল খনন শেষ হলে এলাকার অন্তত এক হাজার হেক্টর জমিতে সহজে সেচ দিতে পারবেন চাষীরা। খাল খননের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষক ও উপকারভোগীরা।
বেতাগা ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের নিরাপদ বিশ্বাস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার খালগুলো মৃতপ্রায় ছিল। এর ফলে আমরা শুকনো মৌসুমে যেমন পানি পেতাম না, তেমনি বৃষ্টির মৌসুমে পানি নিস্কাশিত না হওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হত। খননের ফলে এখন খালগুলোতে যেমন পানির প্রবাহ স্বাভাবিক হয়েছে, তেমনি আমাদেরও অনেক উপকার হচ্ছে।
বেতাগা গ্রামের ইনসান শেখ নামের এক কৃষক বলেন, পানি হচ্ছে চাষাবাদের প্রাণ। কিন্তু নদী-খাল যদি মৃত থাকে তাহলে পানি কোথা থেকে আসবে। খালগুলো খননে আমাদের যে কি উপকার হয়েছে তা বলে বুঝানো যাবে না।
কুদ্দুস শেখ নামের এক ব্যক্তি বলেন, একটা সময় ছিল আমরা মরা পশুরে গোসল করতাম, মাছ ধরতাম। কিন্তু ১০-১২ বছর ধরে মরা পশুরে বেশিরভাগ সময় পানি থাকে না। খননের পরে নতুন পানি এসেছে। অনেক ভাল লাগছে, এখন আবার গোসল করতে পারব, মাছ ধরতে পারব। তবে খালগুলো যাতে দখল না হয়ে যায়, এদিকেও খেয়াল রাখার অনুরোধ করেন ষাটোর্ধ এই কৃষক।
কুমারখালী পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিঃ-এর সাধারণ সম্পদক নাজমুল হুদা বলেন, সমিতির তত্ত্বাবধয়ানেই সদস্যরা মিলে খালগুলো খনন করেছে। কোথাও নিজেরা হাতে মাটি কেটেছে, আবার কোথাও স্কেভেটর মেশিন ব্যবহার করা হয়েছে। যেখান থেকে যেভাবে খনন করা প্রয়োজন, এলাকার সকলকে সাথে আমরা এলজিইডির কর্মকর্তাদের নির্দেশনা মত খনন করিয়েছে। খননের ফলে এলাকার মানুষ খুব খুশি হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) বাগেরহাট জেলা কমিটির সদস্য এমএ সবুর রানা বলেন, শুধু একটি ইউনিয়নের খাল খনন করে এলাকার মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন করা যাবে না। জেলার সকল নদী খাল দখল মুক্ত করে, খননের মাধ্যমে নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে হবে। তাহলে সুদিন ফিরবে চাষাবাদে, সেই সাথে প্রাকৃতিকভাবে মাছের উৎপাদন বাড়বে।
এলজিইডি, বাগেরহাটের সহকারী প্রকৌশলী মিনহাজুল ইসলাম মেহেদী বলেন, সব ধরেণর নিয়ম মেনে এবং এলাকাবাসীর সুবিধার কথা চিন্তা করে আমরা খাল খনন করেছি। এলজিইডির এই কাজে এলাকাবাসী অনেক খুশি হয়েছে।
এলজিইডি, বাগেরহারে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শরিফুজ্জামান বলেন, জলাবদ্ধতার কবল থেকে মুক্তি ও জমিতে সেচ সুবিধার জন্য এই খালগুলো খনন কাজ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৭টি খালের ২০ কিলোমিটারের ৮০ শতাংশ কাজ শেষে হয়েছে। অবশিষ্ট কাজ খুব দ্রুত শেষ হয়ে যাবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
- নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, উত্তাল ইসরাইল
- মুক্তির আগেই ইতিহাস গড়ে ১০০০ কোটির ব্যবসা পুষ্পার
- কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনে উৎপাদিত শাক-সবজি উপহার শেখ হাসিনার
- ইসরায়েল হামলা চালালে এবার বৃহত্তর পাল্টা হামলা হবে: ইরান
- শাওয়ালের ৬ রোজার গুরুত্ব
- ‘ও সাকি সাকি’ গান: এখনো ফিজিওথেরাপি নেন নোরা ফাতেহি
- গরম আরও বাড়তে পারে, আগামী সপ্তাহে বৃষ্টিপাত বাড়ার আভাস
- সুপারির খোলের পরিবেশবান্ধব প্লেট, বাটি, ট্রে, ফুড বক্স
- শ্রীলঙ্কার রানপাহাড়, বিশ্বরেকর্ড গড়ে জিততে হবে বাংলাদেশকে
- বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চলবে : হাইকোর্ট
- স্যাটেলাইট ট্যাগ নিয়ে সুন্দরবনের কুমির ঘুরছে বরিশালের নদীতে
- শরীরের ওপর দিয়ে চলে গেল ট্রেন, ভাগ্যক্রমে বাঁচল কিশোরী
- ‘আম্মু, তোমাকে ভালোবাসি’, ডেঙ্গুতে মৃত মাকে ছোট্ট আইয়ানের চিঠি
- বিয়ে করছেন কঙ্গনা, পাত্র কে?
- মেঘনায় ট্রলারডুবির ঘটনায় ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার
- হার্ভার্ডের অধ্যাপক ও বিখ্যাত বিজ্ঞানীর ইসলাম গ্রহণ
- বিগ বস` বিজয়ী এলভিশ গ্রেপ্তার
- মুশতাক দম্পতি টিকটক করলে সমস্যা নেই
- শৈলকুপায় মাটি খুঁড়ে মিলল ১৫ পবিত্র কোরআন শরিফ
- মুক্তিযুদ্ধে বিজয় এনে দেয় ৭ মার্চের ভাষণ: প্রধানমন্ত্রী
- দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অন্যদের নিষেধাজ্ঞা গ্রহণযোগ্য নয়
- চলতি মাসেই কমছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম
- রমজানে ভোক্তাদের যেন হয়রানি না হয়: প্রধানমন্ত্রী
- ভোমরা স্থলবন্দরের কাস্টমস অফিস এখন অনিয়ম, দুর্নীতি ও হয়রানির আখড়া
- ভোমরা স্থলবন্দরে দুর্নীতি, ডেপুটি কমিশনারকে প্রত্যাহারের দাবি
- আগুনে পুড়লো পরিবারের পাঁচ সদস্য, পড়ে রইলো ভিসা-পাসপোর্ট
- সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি আয়োজন না করার নির্দেশ
- আমাদের পুলিশ আরও স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠবে: প্রধানমন্ত্রী
- কমিশনের আশায় অবাস্তব প্রকল্প নেবেন না: প্রধানমন্ত্রী
- বঙ্গবন্ধু অ্যাপ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- গরম আরও বাড়তে পারে, আগামী সপ্তাহে বৃষ্টিপাত বাড়ার আভাস
- স্যাটেলাইট ট্যাগ নিয়ে সুন্দরবনের কুমির ঘুরছে বরিশালের নদীতে
- ‘ও সাকি সাকি’ গান: এখনো ফিজিওথেরাপি নেন নোরা ফাতেহি
- সুপারির খোলের পরিবেশবান্ধব প্লেট, বাটি, ট্রে, ফুড বক্স
- শরীরের ওপর দিয়ে চলে গেল ট্রেন, ভাগ্যক্রমে বাঁচল কিশোরী
- বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চলবে : হাইকোর্ট
- বিয়ে করছেন কঙ্গনা, পাত্র কে?
- শ্রীলঙ্কার রানপাহাড়, বিশ্বরেকর্ড গড়ে জিততে হবে বাংলাদেশকে
- মেঘনায় ট্রলারডুবির ঘটনায় ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার
- ইসরায়েল হামলা চালালে এবার বৃহত্তর পাল্টা হামলা হবে: ইরান
- ‘আম্মু, তোমাকে ভালোবাসি’, ডেঙ্গুতে মৃত মাকে ছোট্ট আইয়ানের চিঠি
- শাওয়ালের ৬ রোজার গুরুত্ব
- কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনে উৎপাদিত শাক-সবজি উপহার শেখ হাসিনার
- মুক্তির আগেই ইতিহাস গড়ে ১০০০ কোটির ব্যবসা পুষ্পার
- নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, উত্তাল ইসরাইল