• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

হেফাজতের মামুনুলকে মুখোশধারী বলে ডায়েরিতে যা লিখেছেন সেই নারী

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল ২০২১  

হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা নিয়মিত ডায়েরি লিখতেন। সম্প্রতি তার লেখা ২০০ পৃষ্ঠার ৩টি ডায়েরির সন্ধান পাওয়া গেছে। ডাইরিতে হেফাজতের মামুনুলকে মুখোশধারী বলে উল্লেখ করে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন জান্নাত।

শহীদুল ও জান্নাত দম্পতির বড় ছেলে আব্দুর রহমান জামি একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডায়েরিগুলো তার মায়ের বলে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, তার মা শেষবার যখন খুলনায় এসেছিলেন যখন আমাকে এই ডাইরির কথা জানান। ডায়রিতে মা তার জীবনের অন্যতম ঘৃণিত ব্যক্তি মামুনুল বলে উল্লেখ করেছেন।

প্রথম ডাইরিতে জান্নাত লিখেছেন, ‘আমাকে নিয়ে কারো মাথা ব্যথা নেই, শরীরের দাবিদার আছে।’ এরপর লিখেছেন, ‘মামুন সাহেব আমার শরীরটা কিনেছে কেনো আল্লাহ’ সব জেনে মামুন সাহেব যা করেছেন আমি শুধু তার টাকা ফেরত দিতে চাই, আল্লাহ কবুল করো।’

দ্বিতীয় ডাইরিতে জান্নাত লিখেছেন, ‘আমাদের সঙ্গে শুধু প্রেম হয়েছিলো। কোনো ভালোবাসা ছিলো না। ছিলো শুধু ক্ষণিকের আবদার পূরণের আমেজ।’ অনুশোচনা থেকে লিখেছেন, ‘আল্লাহ আমি কী করবো? কী করলে পাপমুক্ত হবো?’

হেফাজতের মামুনুলকে মুখোশধারী বলে ডায়েরিতে যা লিখেছেন সেই নারী

দ্বিতীয় ডাইরির শেষ পাতায় লিখেছেন, এম, ২০/০২/১৯, এগ্রিম্যান্ট স্টার্ট। এই সংক্ষিপ্ত লেখার ব্যাখ্যা চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারিতে লেখা তৃতীয় ডাইরিতে দিয়েছেন জান্নাত। সেখানে তিনি লিখেছেন, স্বপ্নে দেখলাম হেল্প চাচ্ছি। বাট সে হাতটা বাড়িয়ে জড়িয়ে ধরেছে। ভাবছিলাম ঘুমের মাঝে বিয়ে না করে জড়িয়ে কোনো ধরেছে? ‘এবার বাস্তবতা শুরু ঠিক ফেব্রুয়ারির ১৯ বা বিশ হবে এখন চলছে। মাঝে মাঝে মনে হয়, আমি তাকে খুব ঘৃণা করি। আবার কখনো মনে হয় ভালোবাসি, তবে হ্যাঁ, আমার লাইফটা নরক বানিয়ে ফেলেছে।’

অর্থাৎ দুই বছর আগে মামুনুল বিয়ের কথা বললেও গণমাধ্যমের কাছে আসা জান্নাতের তিনটি ডাইরির তথ্য বলছে, চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাদের বিয়ে হয়নি। এরপর জান্নাত লিখেছেন, ‘সাদা সাদা জামা পরলেই আর বড় মাওলানা হলেই মানুষ হয় না। মুখোশধারিও হয়।’

তৃতীয় ডায়রির আরেক পাতায় লিখেছেন, ‘কী ভাবে এখান থেকে বের হবো? আমার জীবনের অর্থ কী?

চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি লিখেছেন, ‘টাকা দিয়ে আমার দেহ কিনেছিলেন। আজ আপনার টাকা আমি ফেরত দিতে চাই। শুধু আমার সময় ফেরত চাই। কেন করেছিলেন এমন? আপনার অনেক টাকা ছিলো, পাওয়ার ছিলো তাই?’

বার বার বিভিন্ন পাতায় লিখেছেন, ‘আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করে দাও।’ মামুনুলের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে হতাশা থেকে ডায়রিতে কয়েকবার আত্মহত্যার চিন্তার কথাও লিখেছেন জন্নাত।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা