• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

নির্বাচন নিয়ে ইসি মুরব্বিয়ানা করবে না: সিইসি

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ২ মার্চ ২০২৩  

নির্বাচনে আসতে রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐকমত্যে পৌঁছাতে নির্বাচন কমিশন মুরব্বিয়ানা করতে পারে না, শুধু সবাইকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানাতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় ভোটার দিবসের র‌্যালি শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি এ মন্তব্য করেন।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আপনারা সামনে এগোচ্ছেন, দলগুলো কি ভোটের দিকে এগোচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোকে আমরা আগেও বলেছি, তাদের প্রতি আমরা বারবার আবেদন জানাচ্ছি আপনারা আসুন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। আপনাদের মধ্যে যদি মতপার্থক্য থাকে, সেটা আপনারা নিরসনের চেষ্টা করুন। কারণ নির্বাচন কমিশন মুরব্বিয়ানা করতে পারবে না।’

রাজনৈতিক দলগুলোকে ভোটে আসার আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, আমরা বিনীতভাবে সব রাজনৈতিক দলকে বলব, আপনারা যেকোনো প্রকারেই হোক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ভোটকেন্দ্রগুলোয় ভারসাম্য সৃষ্টি করুন। যাতে এ ভারসাম্যের মাধ্যমে ভোটকেন্দ্রে এক ধরনের নিরপেক্ষতা এবং যথার্থতা প্রতিষ্ঠিত হয়।

কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম, অনেক দলও ভোটে আসছে না। তাই ভোটার দিবস করে লাভটা কী? এর জবাবে সিইসি বলেন, আমার সহকর্মীরা ইতোমধ্যে জানিয়েছেন কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে। সার্বিকভাবে মোটেই কম হয়নি। এটা সঠিক তথ্য নয়।

সিইসি বলেন, আমরা যেটা অনুমান করেছি, বাস্তবতার নিরিখে, ভোট যখন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়, ব্যাপকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়, তখন ভোটার উপস্থিতি বেশি থাকে। জাতীয় সংসদ উপ-নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম হয়েছে কারণ সেখানে সময় বাকি আছে মাত্র ১০ মাস। আর সত্যিকার অর্থে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়নি। আপনারা ইউনিয়ন কাউন্সিলর ভোট দেখেছেন সেখানে কিন্তু উপস্থিতি সন্তোষজনক ছিল এবং ইভিএমে হয়েছে। ইভিএমে ভোটে বলা হয় ধীরগতি, সেখানেও উপস্থিতি যথেষ্ট ভালো ছিল। আমরা আশা করি আগামীতে ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে। সেখানে উপস্থিতি যথার্থ হবে। জেলা পরিষদে আমাদের উপস্থিতি ছিল ৯৯ শতাংশ, সেখানে ইলেকটোরাল কলেজের মাধ্যমে ভোট হয়েছে।

ভোটার উপস্থিতি কম থাকার কারণ হিসেবে কাজী হাবিবুল আউয়ালের ধারণা, বিভিন্ন কারণেই ভোটার উপস্থিতি কম হতে পারে। আবহাওয়াগত কারণ হতে পারে, দুর্যোগের কারণে হতে পারে, শীতের কারণে হতে পারে; বিভিন্ন কারণেই হতে পারে। কিন্তু যেটা গুরুত্বপূর্ণ, ভোটাররা এসেছেন কি না, তাদের বাধা দেওয়া হয়েছে কি না, তারা ভোট দিতে পেরেছেন কি না—সেটাই বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য আমাদের কাছে।

কেন্দ্রে ভোটার আনার দায়িত্ব কার? জানতে চাইলে সিইসি বলেন, কেন্দ্রে ভোটার আনার দায়িত্ব হচ্ছে প্রথমত ভোটারের নিজের। রাজনৈতিকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা যদি হয়, তাহলে রাজনৈতিক দলগুলোর একটা দায়িত্ব রয়েছে। তাদের সে দায়িত্ব পালন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন আমরা ভোটটা আয়োজন করব। আমরা আপনাদের ব্যালট পেপার সাপ্লাই করব, বক্স সাপ্লাই করব এবং আমরা আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক যে সংস্থাগুলো আছে তাদের সোজা বলে থাকি আপনারা ভোটকেন্দ্রের চারপাশে প্রত্যাশিত যে আইনশৃঙ্খলা এবং অনুকূল পরিবেশ, সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করবেন। তাই দায়িত্বটি সামগ্রিক সমন্বয়ের। এটা আপনাদের অনুধাবন করতে হবে। এককভাবে এ দায়িত্ব কখনই নির্বাচন কমিশনের নয়।

এর আগে, ভোটার দিবস উপলক্ষে আগারগাঁও নির্বাচন ভবন থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে একটি র‌্যালি বের হয়। এ সময় অন্য নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ঢাকা জেলাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা যোগ দেন।

এদিন পঞ্চমবারের মতো সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় ভোটার দিবস পালন করা হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হলো- ‘ভোটার হবো নিয়ম মেনে, ভোট দেব যোগ্যজনে’।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা