• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

দেশে শীতজনিত রোগে মৃত্যু ৮১, আক্রান্ত তিন লক্ষাধিক

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ১৩ জানুয়ারি ২০২৩  

শৈত্যপ্রবাহের এলাকা যেমন বেড়েছে, তেমনি কমে গেছে তাপমাত্রা। বৃহস্পতিবার অনেক জেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রাও কমেছে প্রায় ৩ ডিগ্রির মতো। আগামী দুই দিন এই তাপমাত্রা অব্যাহত থাকতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, গতকাল ছিল রাজশাহী ও ঈশ্বরদীতে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দেশের ২৯ অঞ্চলের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির মধ্যে আছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এর মধ্যে বদলগাছিতে ৬ দশমিক ৮, তেঁতুলিয়ায় ৭ দশমিক ২,  রাজশাহীতে ৭ দশমিক ৪, ঈশ্বরদীতে ৭ দশমিক ৫, যশোরে ৮, বরিশাল ও দিনাজপুরে ৮ দশমিক ৪, রাজারহাট ও গোপালগঞ্জে ৮ দশমিক ৫, রংপুরে ৮ দশমিক ৬, বগুড়া ও মাদারিপুরে ৮ দশমিক ৮, ভোলা, কুমারখালি ও তাড়াশে ৯, ফরিদপুরে ৯ দশমিক ২, ডিমলা ও টাঙ্গাইলে ৯ দশমিক ৫, সৈয়দপুরে ৯ দশমিক ৮, খেপুপাড়া ১০,  সাতক্ষীরা ও নিকলিতে ১০ দশমিক ২, কুমিল­া, ফেনী, খুলনা, সীতাকুন্ড ও শ্রীমঙ্গলে ১০ দশমিক ৫, পটুয়াখালীতে ১০ দশমিক ৭,  ময়মনসিংহে ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, মানিকগগঞ্জ, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল এবং ভোলা জেলাসহ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু এলাকা থেকে কমতে পারে।আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় পূর্বাভাসে বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। কুয়াশার বিষয়ে বলা হয়, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
শীতজনিত রোগে মৃত্যু ৮১, আক্রান্ত তিন লাখের বেশি : শীতজনিত রোগে গত বছরের ১৪ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৮১ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৮৬ হাজার ২৯৫ জন।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এক হাজার ১৯৫ জন। গত বছরের ১৪ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা মোট ৫২ হাজার ৩৯৩ জন। একই সময়ে এ রোগে  মারা গেছেন ৭৮ জন।
পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দুই হাজার ৪৪৭ জন। গত বছরের ১৪ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা মোট তিন লাখ ৩৩ হাজার ৯০২ জন। একই সময়ে এ রোগে  মারা গেছেন তিন জন।
বিভাগ ভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত রোগী চট্টগ্রামে। এ বিভাগে ১৪ নভেম্বর থেকে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৮ হাজার ৭৬৫ জন রোগী এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৫১ জন মারা গেছেন। এছাড়া ঢাকা বিভাগে (মহানগর ব্যতীত) ১২ হাজার ৪১৫ জন শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন। ময়মনসিংহে তিন হাজার ৮৪৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ২৩ জন। রাজশাহীতে দুই হাজার ৫১ জন, রংপুরে এক হাজার ৭৪০ জন, খুলনায় সাত হাজার ৫৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন দুই জন। বরিশালে ৩ হাজার ৪৫২ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং দুই জন মারা গেছেন। সিলেট বিভাগে তিন হাজার ৬৭ জন শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ২ লাখ ২৯ হাজার ৬১০ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে ১৪ নভেম্বর থেকে ১২ জানুয়ারি সময়ের মধ্যে ঢাকা বিভাগে কেউ মারা যাননি। ময়মনসিংহ বিভাগে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৪১৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩২ হাজার ৯০ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং এ সময়ে ডায়রিয়ায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে, রাজশাহীতে ১৩ হাজার ৮০০ জন, রংপুরে নয় হাজার ১০৮ জন, খুলনায় ১৭ হাজার ৫২৬ জন, বরিশালে ১০ হাজার ৮৪৯ জন ও সিলেট বিভাগে সাত হাজার ৫০২ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা