হজের বিধান: প্রভুপ্রেমে মাতোয়ারা মুসলিম জাহান
ষাট গম্বুজ টাইমস
প্রকাশিত: ১৩ জুলাই ২০২১
বছর ঘুরে আবার এলো প্রভুপ্রেমের সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। হৃদয় উজাড় করে গভীর প্রণয়ে ডুব দেয়ার পবিত্র সময় জ্বিলহজ মাস। হজ মহান আল্লাহ তায়ালার এক অনুপম বিধান, যা পালন করতে যেয়ে মানুষ ভুলে যায় ভেদাভেদের সকল প্রাচীর। মানুষে মানুষে তৈরি হয় অনুপম ভ্রাতৃত্বের মেলবন্ধন। দূর হয় মনের সকল কালিমা-বিদ্বেষ। পরিণত হয় শুভ্র-সফেদ মানবের বিকশিত রূপ মহিমায়।
ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের একটি হলো হজ। মহান আল্লাহর পক্ষ হতে বান্দার ওপর অর্পিত এক গুরুত্বপূর্ণ বিধান। মুমিন মাত্রই মনের গহীনে দৃঢ় সংকল্প থাকে জীবনে একটিবার হলেও আল্লাহর ঘর জিয়ারতের। প্রিয় নবিজীর (সা.) রওজা পাকে উপস্থিত হয়ে সালাম পৌঁছানোর। আকুল মনে সদা ব্যাকুল; হজরে আসওয়াদ চুমু খেয়ে গুনাহ মার্জন করার।
ইসলামে হজের গুরুত্ব : হজের গুরুত্ব অনেক। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘নিঃসন্দেহে মানুষের জন্য সর্বপ্রথম যে ইবাদত গৃহটি নির্মিত হয়, সেটি মক্কায় অবস্থিত। তাকে কল্যাণ ও বরকত দান করা হয়েছিল এবং সমগ্র বিশ্ববাসীর হেদায়েতের কেন্দ্রে পরিণত করা হয়েছিল। তার মধ্যে রয়েছে সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ এবং ইব্রাহিমের ইবাদতের স্থান। আর তার অবস্থা হচ্ছে এই, যে তার মধ্যে প্রবেশ করেছে সে নিরাপত্তা লাভ করেছে। মানুষের মধ্য থেকে যারা সেখানে পৌঁছার সামর্থ্য রাখে, তারা যেন এই গৃহে হজ সম্পন্ন করে। এটি তাদের ওপর আল্লাহর অধিকার। আর যে ব্যক্তি এ নির্দেশ মেনে চলতে অস্বীকার করে তার জেনে রাখা উচিত, আল্লাহ তায়ালা বিশ্ববাসীর মুখাপেক্ষী নন।’ (সুরা আলে-ইমরান: আয়াত-৯৬, ৯৭)
অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর তুমি মানুষের মাঝে হজের ঘোষণা প্রচার করে দাও। তারা তোমার কাছে আসবে পায়ে হেঁটে এবং সকল প্রকার (পথশ্রান্ত) কৃশকায় উটের উপর সওয়ার হয়ে দূর-দূরান্ত থেকে। যাতে তারা তাদের (দুনিয়া ও আখেরাতের) কল্যাণের জন্য সেখানে উপস্থিত হতে পারে এবং রিজিক হিসাবে তাদের দেওয়া গবাদিপশুসমূহ জবেহ করার সময় নির্দিষ্ট দিনগুলিতে তাদের উপর আল্লাহর নাম উচ্চারণ করতে পারে।’ (সুরা হজ: ২২/২৭-২৮)
রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘হে মানবমন্ডলী, তোমাদের ওপর হজ ফরজ করা হয়েছে, সুতরাং তোমরা সবাই হজ আদায় করো।’ (মিশকাত: ২০০৭)
হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,ইয়াজুজ-মাজুজ বের হওয়ার পরও বাইতুল্লাহর হজ ও ওমরাহ পালিত হবে। (বুখারি:১৫৯৩) হজ্জ এমন গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতেও তা সম্পাদন করতে হয়। অন্য বর্ণনায় আছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘বাইতুল্লাহর হজ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হবে না। (বুখারি: ১৫৯৪)
হজের তাৎপর্য: হজ পরকালীন সফরের একটি মহড়া। হজের সময় হাজিরা যেমন সাদা কাপড়ে আবৃত হয়, মৃত্যুর পরও বান্দা সাদা কাপড়ে আবৃত্ত হয়। আরাফায় সমবেত হওয়ার মতো কবরের জীবনের পর হাশরের ময়দানে সবাই সমবেত হবে ভেদাভেদহীনভাবে। হজ আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, এহরামের কাপড়ের মতো স্বচ্ছ-সাদা হৃদয় নিয়েই আল্লাহর দরবারে যেতে হবে। এহরাম অবস্থায় সকল বিধি-নিষেধ মেনে চলা স্পষ্ট ইঙ্গিত বহন করে, মুমিনের জীবন বল্গাহীন নয় বরং আল্লাহর রশিতে বাঁধা। আল্লাহ যেদিকে টান দেন, সে সেদিকেই যেতে প্রস্তুত।
হজের ফজিলত: হজের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হজ করল এবং হজ সম্পাদনকালে কোনো প্রকার অশ্লীল কথা ও কাজ কিংবা গোনাহের কাজে লিপ্ত হয়নি, সে সদ্যোজাত নিষ্পাপ শিশুর ন্যায় প্রত্যাবর্তন করল। (বুখারি: ৮৫৬৭)
অন্য হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, হজে মাবরুর বা কবুল হজের বিনিময় হলো (আল্লাহর) জান্নাত।’ (মিশকাত: ২০১০)
এক সাহাবি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে জিজ্ঞেস করলেন, সর্বোত্তম আমল কোনটি? রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘আল্লাহ ও তার রাসূলের প্রতি ঈমান আনয়ন। সাহাবি আবার জিজ্ঞেস করলেন, ‘তারপর কোনটি? রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, আল্লাহর পথে জিহাদ। সাহাবি আবারো জিজ্ঞেস করলেন, তারপর কোনটি? রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, মাবরুর হজ। (মিশকাত: ২০১৩)
হজের বিধিবিধান: হজের আভিধানিক অর্থ হলো ইচ্ছে করা, সংকল্প করা। পরিভাষায় হজ বলা হয়, আল্লাহ তায়ালাকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে শরিয়তের নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট স্থান তথা বায়তুল্লাহ এবং সংশ্লিষ্ট স্থানসমূহ নির্ধারিত কাজের মাধ্যমে সম্পন্ন করাই ইসলামের পরিভাষায় হজ।
হজের মাস হলো, শাওয়াল, জিলকদ ও জিলহজের দশ দিন। বিশুদ্ধ বর্ণনা মতে হজ যখন ওয়াজিব হয় তখনই পালন করা এবং একবারই পালন করা ফরজ।
হজ ফরজ হওয়ার শর্তাবলী: (১) মুসলমান হওয়া (২) জ্ঞানসম্পন্ন হওয়া (৩) বালেগ হওয়া (৪) স্বাধীন হওয়া (৫) হজের সময় হওয়া (৬) মধ্যম ধরনের ব্যয় বহনের সামর্থ্য থাকা (৭) যারা মক্কা শরিফের বাইরে থাকেন তাদের জন্য হজ পালনের শর্ত হলো মালিকানা বা ভাড়া সূত্রে স্বতন্ত্রভাবে একটি বাহন বা অন্য কিছু ব্যবহারের সামর্থ্য থাকা; যেমন : আমাদের দেশের হাজীরা বিমান ব্যবহার করে থাকেন। তবে কেউ যদি বিনিময় ছাড়া তার বাহন বা সওয়ারি ব্যবহারের অনুমতি দেয় তাহলে তা সামর্থ্য হিসেবে গণ্য হবে। (৮) অমুসলিম দেশে ইসলাম গ্রহণকারী ব্যক্তির ‘হজ ইসলামের একটি রুকন (ফরজ)’ এ কথা জানা থাকা বা সে ব্যক্তি মুসলিম দেশের অধিবাসী।
হজ ওয়াজিব হওয়ার পাঁচটি শর্ত : (১) সুস্থ থাকা (২) হজে যাওয়ার বাহ্যিক কোনো বাধা না থাকা (৩) রাস্তাঘাট নিরাপদ থাকা (৪) মহিলারা তাদের ইদ্দত অবস্থায় না থাকা (৫) নারীর বেলায় হজে তার সঙ্গে একজন মুসলমান আস্থাভাজন, জ্ঞানসম্পন্ন, বালেগ মাহরাম পুরুষ বা স্বামী থাকা। মাহরাম ব্যক্তি স্তন্য সূত্রে মাহরাম হতে পারে অথবা বৈবাহিক সূত্রেও হতে পারে।
হজের চারটি ফরজ: চারটি কাজ করলে স্বাধীন ব্যক্তির হজের ফরজ বিশুদ্ধভাবে পালিত হয়। (১) ইহরাম। (২) ইসলাম। (৩) জিলহজের নবম তারিখে সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলে যাওয়ার পর থেকে কোরবানির দিনের ফজর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে অন্তত এক মুহূর্ত আরাফার ময়দানে ইহরাম অবস্থায় থাকা। তবে শর্ত হলো এর আগে ইহরাম অবস্থায় স্ত্রী সহবাস না করা। (৪) তাওয়াফে জিয়ারতের বেশিরভাগ চক্কর যথাসময়ে অর্থাৎ দশম তারিখের ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পর পালন করা।
হজের ওয়াজিবসমূহ: (১) মিকাত থেকে ইহরাম বাঁধা (২) সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফার ময়দানে অবস্থান করা (৩) জিলহজের দশ তারিখে ফজরের সময় শুরু হওয়ার পর এবং সূর্যোদয়ের আগে মুজদালিফায় অবস্থান করা (৪) পাথর নিক্ষেপ করা (৫) হজে কেরান ও হজে তামাত্তু পালনকারীর পশু জবেহ করা (৬) মাথা মুন্ডানো বা চুল ছোট করা (৭) মাথা মুন্ডানোর কাজটি হারাম শরিফে এবং কোরবানির দিনগুলোতে সম্পন্ন করা (৮) মাথা মুন্ডানোর আগে পাথর নিক্ষেপ করা (৯) হজে কেরান ও হজে তামাত্তু পালনকারীর পাথর নিক্ষেপ ও মাথা মুন্ডানোর মধ্যবর্তী সময়ে পশু জবাই করা (১০) কোরবানির দিনগুলোতে তাওয়াফে জিয়ারত সম্পন্ন করা (১১) হজের মাসগুলোতে সাফা-মারওয়ার মধ্যখানে সায়ী করা (১২) তাওয়াফের পর সায়ী করা (১৩) ওজর না থাকলে হেঁটে সায়ী করা (১৪) সাফা থেকে সায়ী আরম্ভ করা (১৫) বিদায়ী তাওয়াফ করা (১৬) বায়তুল্লাহ শরিফের সব ক’টি তাওয়াফ হজরে আসওয়াদ থেকে শুরু করা (১৭) ডান দিক থেকে তাওয়াফ শুরু করা (১৮) ওজর না থাকলে হেঁটে তাওয়াফ করা (১৯) ছোট-বড় উভয় ধরনের অপবিত্রতা থেকে পবিত্র থাকা (২০) সতর ঢাকা (২১) তাওয়াফে জিয়ারতের বেশির ভাগ চক্কর কোরবানির দিনগুলোতে সম্পন্ন করার পর অবশিষ্ট চক্করগুলো সম্পন্ন করা ও (২২) নিষিদ্ধ কাজ থেকে বিরত থাকা; যেমন, পুরুষরা সেলাইকৃত কাপড় পরিধান না করা, মাথা ও চেহারা না ঢাকা, নারীরা চেহারা না ঢাকা, যৌন উত্তেজক কথাবার্তা, গুনাহের কাজ, ঝগড়া-বিবাদ, শিকার বা কাউকে শিকার দেখিয়ে দেয়া থেকে বিরত থাকা প্রভৃতি।
যেভাবে আদায় করবেন হজের কার্যাবলী:
হজ পালনকারী ব্যক্তি মিকাত থেকে ইহরাম বাঁধবে। ইহরাম বাঁধার আগে নখ, গোঁফ, বগল ও নাভির নিচের লোম পরিষ্কার করে গোসল কিংবা ওজু করে নিবে। তবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য গোসলই উত্তম। কাজেই হায়েজ ও নেফাসগ্রস্ত নারীর যদি গোসল করলে ক্ষতি না হয় তাহলে গোসল করবে। পুরুষরা একটি ইজার ও চাদর পরিধান করবে। নতুন ও সাদা কাপড় উত্তম। চাদরটি বোতামবিহীন হতে হবে। কোনো ধরনের জোড়া বা কাপড় ছিঁড়ে গলায় ঝুলিয়ে রাখা মাকরুহ। তবে এ কারণে তার ওপর ক্ষতিপূরণ হিসেবে কোনো কিছু ওয়াজিব হবে না। নারীরা সমস্ত শরীর ঢেকে মুখ খোলা রাখবে।
এবার দুই রাকাত নামাজ পড়ে নিবে। নামাজের পর তালবিয়া পড়বে, ‘লাব্বায়িক আল্লাহুম্মা লাব্বায়িক, লাব্বায়িক লা শারিকালাকা লাব্বায়িক, ইন্নাল হামদা, ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাকা’।
হজ বা ওমরার নিয়তে তালবিয়া পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইহরাম বাঁধা হয়ে গেল। সুতরাং এ সময় থেকে রাফাস তথা স্ত্রীসম্ভোগ থেকে বিরত থাকতে হবে। এরপর থেকে সবসময় তালবিয়া পড়তে থাকবে, তবে চিৎকার দেয়ার প্রয়োজন নেই। কেননা এর দ্বারা নিজের বা অন্যের ক্ষতি হতে পারে। মক্কায় পৌঁছুনোর পর দরজায়ে মুআল্লা দিয়ে প্রবেশ করা মুস্তাহাব।
হজের প্রকার সমূহ: হজ মোট তিন প্রকার। যথা: ১. হজে ইফরাদ ২. হজে তামাত্তু ও ৩. হজে কেরান।
ইফরাদ হজের পরিচয়: ইফরাদ শব্দের আভিধানিক অর্থ একা বা পৃথক। শরিয়তের পরিভাষায় মিকাত থেকে শুধু হজের নিয়ত করে ইহরাম বেঁধে হজ সম্পন্ন করার নাম ইফরাদ।
তামাত্তু হজের পরিচয়: তামাত্তুর আভিধানিক অর্থ উপকারিতা অর্জন করা, উপভোগ করা। পরিভাষায় মিকাত থেকে প্রথমে ওমরার ইহরাম বেঁধে তার কার্যাবলি সমাপন করে হালাল হওয়ার পর হজের সময় হজের ইহরাম বেঁধে তার আহকামগুলো সম্পাদন করাকে তামাত্তু বলে।
তামাত্তু আদায়কারী হাজরে আসওয়াদ চুম্বনের পর ওমরাহর তাওয়াফ শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে তালবিয়া পাঠ বন্ধ করে দেবে। রাসূলুল্লাহ (সা.) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে। ইমাম আবু হানিফা (রা.) বলেন, ‘বাইতুল্লাহ শরিফের প্রতি দৃষ্টি পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তালবিয়া পাঠ বন্ধ করে দেবে।’
দমের হুকুম: তামাত্তু আদায়কারীর ওপর শুকরিয়াস্বরূপ কিরান আদায়কারীর মতো একটি কোরবানি করা ওয়াজিব। যদি সে কোরবানি করতে অক্ষম হয় তাহলে কোরবানির দিনের আগে তিনটি এবং বাকি সাতটি রোজা পরে রাখতে হবে।
হজে তামাত্তু বাতিল হওয়ার কারণ: তামাত্তুকারী হাদি (কোরবানির পশু) প্রেরণ না করে হজের মাসে ওমরাহর কাজ সমাপন করে যদি নিজ দেশে ফিরে যায়, তাহলে তার তামাত্তু বাতিল হয়ে যাবে।
কেরান হজের পরিচয়: কেরানের শাব্দিক অর্থ মেলানো, মিশ্রণ করা। পরিভাষায় মিকাত থেকে একসঙ্গে হজ ও ওমরার নিয়ত করে ইহরাম বেঁধে উভয়টিকে একই ইহরামে সমাপ্ত করাকে কেরান বলে।
কেরান হজের প্রথম কাজ: কেরানের মধ্যে সর্বপ্রথম ওমরার কাজ সম্পন্ন করে হজের কাজ শুরু করতে হবে। এ কারণে কোনো ব্যক্তি প্রথমে হজের নিয়তে তাওয়াফ করলেও ওমরাহর তাওয়াফই হবে।
কেরানকারীর কোরবানির বিধান: কেরানকারীরা কোরবানির দিবসে হজ ও ওমরাহ উভয়ের জন্য কোরবানি করবে। কেননা আল্লাহ তায়ালা তাকে একই সময়ে একই ইহরামে হজ ও ওমরাহ দু’টিই আদায় করার সুযোগ দিয়েছেন। তাই আল্লাহর শুকরিয়া হিসেবে তার ওপর একটি কোরবানি ওয়াজিব হবে। আর যদি কোরবানির সামর্থ্য না থাকে তাহলে ১০টি রোজা রাখতে হবে। এগুলোর মধ্যে তিনটি হজের দিনগুলো তথা ৭, ৮ ও ৯ জ্বিলহজে রাখতে হবে।
কেরান পালনকারী যদি মক্কায় প্রবেশ না করে সোজা আরাফায় চলে যায়, তাহলে তার ওমরা বাতিল ও মুফরিদ হিসেবে গণ্য হবে। এ ওমরা ছেড়ে দেয়ার কারণে তার ওপর একটি দম ও একটি কাজা ওয়াজিব হবে। কেননা সে নিয়তের মাধ্যমে তার ওপর এটি ওয়াজিব করে নিয়েছিল। আর ওয়াজিব পরিত্যাগের জন্য কাজা ওয়াজিব হয়। আর যদি মক্কায় প্রবেশ করে ওমরার বেশিরভাগ কাজ করার আগেই আরাফায় চলে আসে তাহলেও উপরযুক্ত হুকুম প্রযোজ্য হবে।
- ইসরায়েল হামলা চালালে এবার বৃহত্তর পাল্টা হামলা হবে: ইরান
- শাওয়ালের ৬ রোজার গুরুত্ব
- ‘ও সাকি সাকি’ গান: এখনো ফিজিওথেরাপি নেন নোরা ফাতেহি
- গরম আরও বাড়তে পারে, আগামী সপ্তাহে বৃষ্টিপাত বাড়ার আভাস
- সুপারির খোলের পরিবেশবান্ধব প্লেট, বাটি, ট্রে, ফুড বক্স
- শ্রীলঙ্কার রানপাহাড়, বিশ্বরেকর্ড গড়ে জিততে হবে বাংলাদেশকে
- বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চলবে : হাইকোর্ট
- স্যাটেলাইট ট্যাগ নিয়ে সুন্দরবনের কুমির ঘুরছে বরিশালের নদীতে
- শরীরের ওপর দিয়ে চলে গেল ট্রেন, ভাগ্যক্রমে বাঁচল কিশোরী
- ‘আম্মু, তোমাকে ভালোবাসি’, ডেঙ্গুতে মৃত মাকে ছোট্ট আইয়ানের চিঠি
- বিয়ে করছেন কঙ্গনা, পাত্র কে?
- মেঘনায় ট্রলারডুবির ঘটনায় ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার
- হার্ভার্ডের অধ্যাপক ও বিখ্যাত বিজ্ঞানীর ইসলাম গ্রহণ
- বিগ বস` বিজয়ী এলভিশ গ্রেপ্তার
- মুশতাক দম্পতি টিকটক করলে সমস্যা নেই
- শৈলকুপায় মাটি খুঁড়ে মিলল ১৫ পবিত্র কোরআন শরিফ
- মুক্তিযুদ্ধে বিজয় এনে দেয় ৭ মার্চের ভাষণ: প্রধানমন্ত্রী
- দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অন্যদের নিষেধাজ্ঞা গ্রহণযোগ্য নয়
- চলতি মাসেই কমছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম
- রমজানে ভোক্তাদের যেন হয়রানি না হয়: প্রধানমন্ত্রী
- ভোমরা স্থলবন্দরের কাস্টমস অফিস এখন অনিয়ম, দুর্নীতি ও হয়রানির আখড়া
- ভোমরা স্থলবন্দরে দুর্নীতি, ডেপুটি কমিশনারকে প্রত্যাহারের দাবি
- আগুনে পুড়লো পরিবারের পাঁচ সদস্য, পড়ে রইলো ভিসা-পাসপোর্ট
- সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি আয়োজন না করার নির্দেশ
- আমাদের পুলিশ আরও স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠবে: প্রধানমন্ত্রী
- কমিশনের আশায় অবাস্তব প্রকল্প নেবেন না: প্রধানমন্ত্রী
- বঙ্গবন্ধু অ্যাপ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- অবৈধ মজুদকারীদের গণধোলাই দেয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী
- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ইউরোপীয়কমিশনের প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন
- শতাব্দীরচ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তরুণীদেরও এগিয়েআসতে হবে:প্রধানমন্ত্রী
- গরম আরও বাড়তে পারে, আগামী সপ্তাহে বৃষ্টিপাত বাড়ার আভাস
- স্যাটেলাইট ট্যাগ নিয়ে সুন্দরবনের কুমির ঘুরছে বরিশালের নদীতে
- ‘ও সাকি সাকি’ গান: এখনো ফিজিওথেরাপি নেন নোরা ফাতেহি
- হার্ভার্ডের অধ্যাপক ও বিখ্যাত বিজ্ঞানীর ইসলাম গ্রহণ
- বিগ বস` বিজয়ী এলভিশ গ্রেপ্তার
- শরীরের ওপর দিয়ে চলে গেল ট্রেন, ভাগ্যক্রমে বাঁচল কিশোরী
- সুপারির খোলের পরিবেশবান্ধব প্লেট, বাটি, ট্রে, ফুড বক্স
- বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চলবে : হাইকোর্ট
- মুশতাক দম্পতি টিকটক করলে সমস্যা নেই
- শ্রীলঙ্কার রানপাহাড়, বিশ্বরেকর্ড গড়ে জিততে হবে বাংলাদেশকে
- বিয়ে করছেন কঙ্গনা, পাত্র কে?
- মেঘনায় ট্রলারডুবির ঘটনায় ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার
- ‘আম্মু, তোমাকে ভালোবাসি’, ডেঙ্গুতে মৃত মাকে ছোট্ট আইয়ানের চিঠি
- শাওয়ালের ৬ রোজার গুরুত্ব
- ইসরায়েল হামলা চালালে এবার বৃহত্তর পাল্টা হামলা হবে: ইরান