• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান করল বাংলাদেশ

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০২১  

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ডে বাংলাদেশ তাদের শেষ ম্যাচে রেকর্ড স্কোর করল। মাহমুদউল্লাহর হাফ সেঞ্চুরি, সাকিব আল হাসানের কার্যকরী ইনিংসের পর আফিফ হোসেন ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ছোট্ট ঝড়ে ৭ উইকেটে ১৮১ রান করেছে তারা। ২০১৬ সালের বিশ্বকাপে ওমানের বিপক্ষে ২ উইকেটে করা ১৮০ রান এতদিন ছিল বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ।

ইনিংসের দ্বিতীয় বলে মোহাম্মদ নাঈম আউট। এই ধাক্কা দারুণভাবে সামলে নিয়ে বাংলাদেশকে খেলায় ফেরান সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস। কার্যকরী ইনিংসের ইঙ্গিত দিলেও হতাশ করেন লিটন। ৪১ বলে ৫০ রানের জুটি ভাঙে তার বিদায়ে, ২৩ বলে করেন ২৯ রান। এরপর সাকিব হাফ সেঞ্চুরির পথে ছুটতে গিয়েও ব্যর্থ হলেন। ৪৬ রান করেন তিনি। মাহমুদউল্লাহ ও আফিফ হোসেনের ২৩ বলে ৪৩ রানের জুটি ছিল দুর্দান্ত। বাংলাদেশের অধিনায়ক ২৭ বলে করেন হাফ সেঞ্চুরি। তার ৫০ রানের ইনিংস থামে আরেকটি বল খেলে। শেষ ওভারের শেষ দুটি বলে টানা দুটি ছয় মারেন। শেষ বলটি নো হলে চার মেরে ইনিংস শেষ করেন সাইফউদ্দিন। 

 

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৮১/৭ (সাইফউদ্দিন ১৯*, মেহেদী ২*) 

ঝড় তুলেই আফিফের বিদায়

 

মাহমুদউল্লাহ আউট হতেই টানা দুই বলে চার মেরেছিলেন আফিফ হোসেন। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে তৃতীয় বাউন্ডারি তার ব্যাটে। তার পরের বলেই রাভুকে ক্যাচ দেন। ১৪ বলে ২১ রানে থামেন আফিফ।

খালি হাতে ফিরলেন সোহান

মাহমুদউল্লাহ উইকেট হারানোর চার বল পরই নুরুল হাসান সোহান আউট হলেন। প্রথম বলেই সেসে বাউকে ক্যাচ দেন তিনি।

 

ফিফটি করেই আউট মাহমুদউল্লাহ

মাহমুদউল্লাহ দারুণ গতিতে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ফিফটিও পেয়ে যান তিনি ২৭ বল খেলে। কিন্তু পরের বল খেলেই সোপারকে ক্যাচ দেন অধিনায়ক। কোমরের নো বল যাচাই করতে হয়েছিল আম্পায়ারদের। শেষ পর্যন্ত আউট দেওয়া হয় তাকে। ২৮ বলে তিনটি করে চার ও ছয়ে ৫০ রানে রাভুর শিকার হন মাহমুদউল্লাহ

 

ছয়ের পর চার মেরে মাহমুদউল্লাহর হাফ সেঞ্চুরি

২৭ বলে ৩টি করে চার ও ছয় মেরে হাফ সেঞ্চুরি করলেন মাহমুদউল্লাহ। ১৭তম ওভারের শেষ দুই বলে ছয় ও চার মারেন তিনি। ওই ওভারের শুরুতে ছয় হাঁকান। আফিফ হোসেনের সঙ্গে ১৯ রান করেন ওভারটিতে।

 

৪ রানের আক্ষেপ সাকিবের

মাত্র ৪ রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি করতে পারলেন না সাকিব আল হাসান। ছয় মেরে দলীয় স্কোর একশ করেন তিনি। এর দুই বল পর আসাদ ভালার বলে চার্লস আমিনির দুর্দান্ত ক্যাচ হন তিনি। ৩৭ বলে ৩ ছয়ে ৪৬ রান করেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

প্যাভিলিয়নে মুশফিক

উইকেটে বেশিক্ষণ থাকতে পারলেন মুশফিকুর রহিম। ৮ বলে ৫ রান করে আউট তিনি। ৭২ রানে বাংলাদেশের তৃতীয় উইকেটের পতন। ডিপ স্কয়ারে হিরি হিরি ক্যাচটি ধরেন। তার হাত ফসকে যেতে লাগলেও দ্বিতীয় চেষ্টায় বল ধরেন তিনি। বোলার ছিলেন সিমন আটাই।

দলের হাফ সেঞ্চুরির পর লিটন আউট

দ্বিতীয় বলে মোহাম্মদ নাঈম আউট হলে ৪০ বলে ৫০ রানের জুটি গড়েন লিটন দাস, সঙ্গে ছিলেন সাকিব আল হাসান। দলের হাফ সেঞ্চুরি হওয়ার পরের প্রথম বলে পাপুয়া নিউ গিনি অধিনায়ক আসাদ ভালার বলে সেসে বাউর ক্যাচ হন লিটন। ২৩ বলে একটি করে চার ও ছয়ে ২৯ রান করেন তিনি। 

পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ ৪৫/১

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এই আসরে তিন ম্যাচের মধ্যে পাওয়ার প্লেতে সেরা সংগ্রহ করল বাংলাদেশ। পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে প্রথম ওভারেই উইকেট হারানোর পর সাকিব আল হাসান ও লিটন দাসের ব্যাটে এগিয়ে যাচ্ছে তারা। প্রথম ৬ ওভারে ১ উইকেটে ৪৫ রান করেছে। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ২৫ রান করেছিল ২ উইকেটে। আর গত ম্যাচে ওমানের বিপক্ষে ২ উইকেটে ২৯ রান করেছিল বাধ্যতামূলক পাওয়ার প্লেতে।  

লিটন-সাকিবের ছক্কায় বাংলাদেশের উচ্ছ্বাস

লিটন দাস ও সাকিব আল হাসান ছক্কা মেরে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিলেন। শূন্য রানে মোহাম্মদ নাঈমকে হারানোর ধাক্কা কাটিয়ে উঠছে বাংলাদেশ। তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে স্লগ সুইপে ফাইন লেগ দিয়ে ইনিংসের প্রথম ছক্কা মারেন লিটন। পরের ওভারে লং অন দিয়ে ছয় হাঁকান সাকিব।

দ্বিতীয় বলেই নাঈমের বিদায়

শুরুতেই গত ম্যাচের সেরা পারফর্মার মোহাম্মদ নাঈম বিদায় নিলেন। প্রথম বলটি তার ব্যাট ছুঁয়ে উইকেটকিপার কিপলিন ডোরিগার কয়েক ইঞ্চি সামনে পড়েছিল। তা গ্লাভসবন্দি হয়নি। পরের বলেই সেসে বাউকে ক্যাচ দেন বাংলাদেশি ওপেনার। উইকেটটি নেন কাবুয়া মোরেয়া।

লেগ স্টাম্প হাফ ভলির বল ফ্লিক করেছিলেন নাঈম। পাওয়ার প্লের মধ্যে বৃত্তের বাইরে থাকা দুই ফিল্ডারের একজন বাউ ডিপ স্কয়ার লেগে ছিলেন দাঁড়িয়ে। একটু পিছিয়ে এসে বল মুঠোবন্দি করেন তিনি। ব্যস, ২ বল খেলে শূন্য রানে বিদায় স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৬৪ রান করা নাঈমের। 

টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

বাঁচা-মরার লড়াইয়ে বাংলাদেশ মুখোমুখি হচ্ছে পাপুয়া নিউ গিনির। ওমানের মাসকটে আল আমিরাত স্টেডিয়ামে প্রথম রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।

টস জয়ের পর মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘আমরা প্রথমে ব্যাট করব। ব্যাট করার জন্য ভালো উইকেট মনে হচ্ছে। বোর্ডে ভালো একটা সংগ্রহ আনতে পারলো দারুণ হবে। আমাদের ভালো একটি দল আছে এবং এখন পর্যন্ত আমাদের সেরাটা খেলিনি। একই দল নিয়ে খেলছি আমরা।’

বাংলাদেশ একাদশ: মোহাম্মদ নাঈম, লিটন দাস, মেহেদী হাসান, সাকিব আল হাসান, নুরুল হাসান সোহান (উইকেটকিপার), আফিফ হোসেন, মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান।

পাপুয়া নিউ গিনি একাদশ: লেগা সিয়াকা, আসাদ ভালা (অধিনায়ক), চার্লস আমিনি, সেসে বাউ, সিমন আটাই, হিরি হিরি, নরম্যান ভানুয়া, কিপলিন ডোরিগা (উইকেটকিপার), চ্যাড সোপার, ড্যামিয়েন রাভু, কাবুয়া মোরেয়া।

আরেকটি স্বস্তির জয়ের অপেক্ষায় বাংলাদেশ

সুপার টুয়েলভে যাওয়া যতটা সহজ বাংলাদেশ মনে করেছিল, ঠিক ততটা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্কটল্যান্ডের কাছে হারার পর যে শঙ্কা ঘিরে ধরেছিল, তা তারা দূর করেছে স্বাগতিক ওমানকে হারিয়ে। তাতে স্বস্তি ফিরেছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকালে বাংলাদেশের প্রথম রাউন্ডের শেষ ম্যাচে প্রতিপক্ষ পাপুয়া নিউ গিনি। এই ম্যাচ নির্দিষ্ট ব্যবধানে জিতলেই উঠে যাবে পরের রাউন্ডে। তাই আরেকটি স্বস্তির জয়ের অপেক্ষায় বাংলাদেশ।

চোখ মেললেই দেখা মেলে পাহাড়। চোখ বুজলেও কল্পনায় সেই পাথুরে পাহাড়। ওমানের রাজধানী মাসকটে যে একবার ঘুরেছেন তার ভাবনা এমন না হয়ে কোনো উপায় নেই। এই শহর দাঁড়িয়ে আছে পাহাড়ের ছায়াতলে। আঁকা-বাঁকা রাস্তা হতে শুরু করে দালান-কোঠা সবকিছুই তৈরি পাহাড় কেটে অথবা পাহাড়ের মাঝেই। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-সাকিব আল হাসানদের সামনে এবার পাথুরে পাহাড়ে লাল সবুজের নাম খোদাই করার দিন।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই দিনের ওপরই নির্ভর করছে টিকে থকার পথ। সফল হলেই পাওয়া যাবে বিশ্বকাপের আসল লড়াইয়ে যাওয়ার টিকিট, না হয় কঠিন সমীকরণ না পক্ষে গেলে ব্যাগ-পত্র গুছিয়ে ধরতে হবে দেশের বিমান। দোলাচলে দুলতে থাকা বিশ্বকাপে টিকে থাকার পরীক্ষার দিনে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ এবার পাপুয়া নিউ গিনি। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টায় মাসকটের আল আমিরাত ক্রিকেট গ্রাউন্ডে পাপুয়া নিউ গিনির মুখোমুখি মাহমুদউল্লার রিয়াদের দল।

কত ব্যবধানে জিততে হবে বাংলাদেশকে?

শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ খেলছে টানা দুটি ম্যাচ হারা পাপুয়া নিউ গিনিকে। তারা যদি তিন বা তার বেশি রানে জিতে যায়, তাহলে নিশ্চিতভাবে উঠে যাবে পরের ধাপে। অন্য ম্যাচের ফলের দিকে তাকাতে হবে না।

আর স্কটল্যান্ড জিতলে ওমানকে নিতে হবে বিদায়। কিন্তু ওমান যদি এক রানেও জিতে যায় তাহলে স্কটল্যান্ডকে তাদের নেট রান নিয়ে যাবে গ্রুপের তিন নম্বরে।

যদি ওমান ১০ রানে জিতে যায়, বাংলাদেশকে গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হতে ১৫ বা তার বেশি রানে জিততে হবে।

আর বাংলাদেশ যদি পাপুয়া নিউ গিনির কাছে হেরে যায়, তাদের আশা করতে হবে যেন ওমান স্কটল্যান্ডের কাছে হেরে যায় এবং নেট রান রেটে বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে থাকে। ধরুন যদি বাংলাদেশ ১০ রানে হারে, তাহলে ওমানকে অন্তত ১৩ রানে হারতে হবে, তাহলে বাংলাদেশ নেট রান রেটে এগিয়ে থাকবে।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা