অবশেষে ঐতিহাসিক স্থাপনা `আয়া সোফিয়া` হচ্ছে মসজিদ!
ষাট গম্বুজ টাইমস
প্রকাশিত: ৫ জুলাই ২০২০
আয়া সোফিয়া। কেউ বলে হাজিয়া সোফিয়া। তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে অবস্থিত ঐতিহাসিক স্থাপত্য নির্দশন। কখনও গির্জা, কখনও ক্যাথলিক গির্জা আবার কখনও মসজিদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। এটি এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। বর্তমানে এটি জাদুঘর হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। দীর্ঘদিন ধরে শোনা যাচ্ছে এটিকে মসজিদে পরিণত করার পরিকল্পনা করছে তুরস্ক।
সংবাদ মাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি ও ডেইলি পাকিস্তানের তথ্য মতে, তুরস্কের ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন ইস্তাম্বুলের আয়া সোফিয়া জাদুঘর আলোচনার তুঙ্গে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপে এরদোয়ান প্রাচীন এই স্থাপনাটিকে মসজিদে রূপান্তরের আগ্রহের কথা ঘোষণা করেন। এরপরে থেকেই এই আলোচনার সূত্রপাত।
ফিরে দেখা
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে স্থাপিত এ স্থাপনাটি অর্থোডক্স গির্জার জন্য সর্বপ্রথম তৈরি করা হয়। ১২০৪ সাল পর্যন্ত এ স্থাপনাটি গির্জা হিসেবে উপাসনা চলে।
১২০৪ সালের পর এটি ক্যাথলিক গির্জায় রূপান্তরিত হয়। যা প্রায় ৫৭ বছর ক্যাথলিক গির্জা হিসেবে ব্যবহারের পর ১৯৬১ সালে তা আবার অর্থোডক্স গির্জায় রূপান্তরিত হয়। আর তা ১৪৫৩ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৯২ বছর স্থায়ী হয়।
১৪৫৩ সালে (পঞ্চদশ শতাব্দির মাঝামাঝি সময়ে) এ অঞ্চলটি উসমানিয় খলিফাদের দখলে আসে। উসমানিয় শাসকরা এ স্থাপনাটিকে মসজিদে পরিণত করে। যা ৫০০ বছর স্থায়ী হয়। সে সময় এ স্থাপনাটিকে ‘ইম্পেরিয়াল মসজিদ’ নামে ঘোষণা দিয়ে প্রধান মসজিদের মর্যাদা দেয়া হয়।
৪৮২ বছর মসজিদ থাকার পর ১৯৩৫ সালে আধুনিক তুরস্কের স্থপতি ও রাষ্ট্রপতি কামাল আতাতুর্ক এ স্থাপনাটিকে জাদুঘরে পরিণত করেন।
এক পর্যায়ে স্থাপনাটি নিয়ে খ্রিস্টান ও মুসলমানদের দ্বন্দ্বের কারণে নতুন নিয়ম চালু হয়। আর তাহলো- এ স্থাপনার মূল হলরুমটি ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। সেটি মুসলিম কিংবা খ্রিস্টান কেউই ব্যবহার করতে পারবে না।
তবে উভয় ধর্মের অনুসারিদের জন্য এ স্থাপনায়ই রয়েছে আলাদা আলাদা স্থান। আবার জাদুঘরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য আলাদা আলাদা ইবাদতের স্থানও নির্মাণ করা হয়।
২০১৯ সালের মার্চে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, পর্যটকরা হাজিয়া সোফিয়ার ব্লু মসজিদে আসা যাওয়া করতে পারবেন। এজন্য তাদের হাজিয়া সোফিয়া জাদুঘরের সমপরিমাণ অর্থ দিয়ে মসজিদটি পরিদর্শন করতে হবে বলে জানান। পাশাপাশি এটি মসজিদে পরিণত করতে আলোচনা প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখেন।
আয়া সোফিয়াকে ঘিরে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান তুরস্কের বাইরে সমালোচিত হচ্ছেন। তবে এই সমালোচনাকে পাত্তা না দিয়ে উল্টো বহির্বিশ্বকে এ বিষয়ে নাক গলাতে নিষেধ করেছেন মুসলিম বিশ্বের প্রভাবশালী এই নেতা।
তিনি আরও বলেছেন, আমাদের মসজিদ নিয়ে বহির্বিশ্বের কেউ গলাবাজি করলে আমরা সেটিকে তুরস্কের সার্বভৌমত্বের ওপর হামলা মনে করবো।
সম্প্রতি ইস্তাম্বুলের লেভান্ট অঞ্চলে একটি নতুন মসজিদের ভিত্তি প্রস্তর অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি এ সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন।
সমগ্র বিশ্বে বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীদের প্রার্থনাস্থলকে আমরা যেভাবে সম্মানের চোখে দেখি, তাদের থেকেও ঠিক এরকম আচরণই আশা করি। এটি নিয়ে তাদের কোনো মতামত আমাদের জানার আগ্রহ নেই বলেও জানান এরদোয়ান।
এরদোয়ান বলেন, এটি সত্য যে তুরস্কে মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ- এরপরও এখানে বসবাসরত অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও সমান স্বাধীনতা ভোগ করে। তারা নির্বিঘ্নে তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করে। আর তাদের এসব অধিকার রক্ষা করা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
তিনি বলেন, পৃথিবীতে লাখ লাখ মানুষ ধর্মীয় বিশ্বাসের অজুহাতে নিহত হচ্ছে এবং অসংখ্য মানুষ নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। আমাদের উচিত, আগে সেগুলো বন্ধ করা।
উল্লেখ্য কনস্টেন্টিনোপল (ইস্তাম্বুল) বিজয়ের আগে আলোচিত স্থাপনাটি ছিল একটি গির্জা। শহর বিজয়ের পরে উসমানি সুলতান সেনাপতি মুহাম্মাদ আল ফাতিহ এটিকে মসজিদে পরিণত করেন। দীর্ঘ ৪৮২ বছর পর আধুনিক তুরস্কের রূপকার মোস্তফা কামাল পাশা (আতাতুর্ক) ১৯৩৫ সালে আয়া সোফিয়াকে জাদুঘর বানিয়ে ফেলেন।
এখন এ আয়া সোফিয়া কি জাদুঘর হিসেবেই বহাল থাকবে নাকি মসজিদে রূপান্তরিত হবে? - এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তুর্কি কাউন্সিল অফ স্টেট গত বৃহস্পতিবার শুনানি শুরু করেছে। তারা জানিয়েছে, আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যেই আদালত এ ফায়সালা প্রদান করবেন। তখনই জানা যাবে জাদুঘরই থাকছে না মসজিদে পরিণত হবে আয়া সোফিয়া।
- নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, উত্তাল ইসরাইল
- মুক্তির আগেই ইতিহাস গড়ে ১০০০ কোটির ব্যবসা পুষ্পার
- কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনে উৎপাদিত শাক-সবজি উপহার শেখ হাসিনার
- ইসরায়েল হামলা চালালে এবার বৃহত্তর পাল্টা হামলা হবে: ইরান
- শাওয়ালের ৬ রোজার গুরুত্ব
- ‘ও সাকি সাকি’ গান: এখনো ফিজিওথেরাপি নেন নোরা ফাতেহি
- গরম আরও বাড়তে পারে, আগামী সপ্তাহে বৃষ্টিপাত বাড়ার আভাস
- সুপারির খোলের পরিবেশবান্ধব প্লেট, বাটি, ট্রে, ফুড বক্স
- শ্রীলঙ্কার রানপাহাড়, বিশ্বরেকর্ড গড়ে জিততে হবে বাংলাদেশকে
- বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চলবে : হাইকোর্ট
- স্যাটেলাইট ট্যাগ নিয়ে সুন্দরবনের কুমির ঘুরছে বরিশালের নদীতে
- শরীরের ওপর দিয়ে চলে গেল ট্রেন, ভাগ্যক্রমে বাঁচল কিশোরী
- ‘আম্মু, তোমাকে ভালোবাসি’, ডেঙ্গুতে মৃত মাকে ছোট্ট আইয়ানের চিঠি
- বিয়ে করছেন কঙ্গনা, পাত্র কে?
- মেঘনায় ট্রলারডুবির ঘটনায় ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার
- হার্ভার্ডের অধ্যাপক ও বিখ্যাত বিজ্ঞানীর ইসলাম গ্রহণ
- বিগ বস` বিজয়ী এলভিশ গ্রেপ্তার
- মুশতাক দম্পতি টিকটক করলে সমস্যা নেই
- শৈলকুপায় মাটি খুঁড়ে মিলল ১৫ পবিত্র কোরআন শরিফ
- মুক্তিযুদ্ধে বিজয় এনে দেয় ৭ মার্চের ভাষণ: প্রধানমন্ত্রী
- দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অন্যদের নিষেধাজ্ঞা গ্রহণযোগ্য নয়
- চলতি মাসেই কমছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম
- রমজানে ভোক্তাদের যেন হয়রানি না হয়: প্রধানমন্ত্রী
- ভোমরা স্থলবন্দরের কাস্টমস অফিস এখন অনিয়ম, দুর্নীতি ও হয়রানির আখড়া
- ভোমরা স্থলবন্দরে দুর্নীতি, ডেপুটি কমিশনারকে প্রত্যাহারের দাবি
- আগুনে পুড়লো পরিবারের পাঁচ সদস্য, পড়ে রইলো ভিসা-পাসপোর্ট
- সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি আয়োজন না করার নির্দেশ
- আমাদের পুলিশ আরও স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠবে: প্রধানমন্ত্রী
- কমিশনের আশায় অবাস্তব প্রকল্প নেবেন না: প্রধানমন্ত্রী
- বঙ্গবন্ধু অ্যাপ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- গরম আরও বাড়তে পারে, আগামী সপ্তাহে বৃষ্টিপাত বাড়ার আভাস
- স্যাটেলাইট ট্যাগ নিয়ে সুন্দরবনের কুমির ঘুরছে বরিশালের নদীতে
- ‘ও সাকি সাকি’ গান: এখনো ফিজিওথেরাপি নেন নোরা ফাতেহি
- সুপারির খোলের পরিবেশবান্ধব প্লেট, বাটি, ট্রে, ফুড বক্স
- শরীরের ওপর দিয়ে চলে গেল ট্রেন, ভাগ্যক্রমে বাঁচল কিশোরী
- বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চলবে : হাইকোর্ট
- বিয়ে করছেন কঙ্গনা, পাত্র কে?
- শ্রীলঙ্কার রানপাহাড়, বিশ্বরেকর্ড গড়ে জিততে হবে বাংলাদেশকে
- মেঘনায় ট্রলারডুবির ঘটনায় ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার
- ইসরায়েল হামলা চালালে এবার বৃহত্তর পাল্টা হামলা হবে: ইরান
- ‘আম্মু, তোমাকে ভালোবাসি’, ডেঙ্গুতে মৃত মাকে ছোট্ট আইয়ানের চিঠি
- শাওয়ালের ৬ রোজার গুরুত্ব
- কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনে উৎপাদিত শাক-সবজি উপহার শেখ হাসিনার
- মুক্তির আগেই ইতিহাস গড়ে ১০০০ কোটির ব্যবসা পুষ্পার
- নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, উত্তাল ইসরাইল