• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

উপসচিব পদে বহুলপ্রতীক্ষিত পদোন্নতি শিগগির

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

উপসচিব পদে বহুলপ্রতীক্ষিত পদোন্নতির জট খুলছে শিগগির। লাইনপোস্টের পাশাপাশি এ পদে পদোন্নতির এজেন্ডা নিয়ে তিন মাস ধরে থেমে থেমে এসএসবির (সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড) বৈঠক বসছে।

তবে আজ দুপুরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সুপারিশ চূড়ান্ত হতে পারে। এমন আভাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে বৃহস্পতিবার পদোন্নতি দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও সেটি এখন গড়িয়েছে আগামী সপ্তাহে। ধারণা করা হচ্ছে, নতুন কোনো জটিলতার উদ্ভব না হলে পদোন্নতির দেখা মিলবে শিগগিরই।

এর আগে ২৭তম ব্যাচের উপসচিব পদোন্নতি নিয়ে আলোচনার পর্দা উন্মোচন হয় গত ৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত এসএসবির বৈঠকে। তবে অতীতের নজির অনুযায়ী টানা কয়েকদিনের বৈঠকের মধ্য দিয়ে পদোন্নতি পর্বের ইতি টানা হয়নি। নানা কারণে তা বিলম্বিত হয়। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকদিন ধরে চলা ডিসি ফিটলিস্ট পরীক্ষা নেওয়ার কারণেও এসএসবির বৈঠক কয়েক দফা পিছিয়ে যায়।

এছাড়া সব ধরনের প্রস্তুতি থাকলেও ২৭ ব্যাচের পদোন্নতি প্রক্রিয়া মূলত গত বছর ফেব্রুয়ারি থেকেই নানা কারণে বিলম্বিত হচ্ছে। এজন্য পদোন্নতিপ্রত্যাশী কর্মকর্তাদের মধ্যে যথেষ্ট অনুযোগও বিদ্যমান। সিনিয়র স্কেলের বাইরে চাকরিজীবনে পদোন্নতি বলতে এটিই প্রথম পদোন্নতি। এজন্য এই পদোন্নতি নিয়ে ব্যাচটির কর্মকর্তাদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার কোনো কমতি নেই।

কবে এসএসবির সুপারিশ চূড়ান্ত হয়ে তাদের পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন জারি হবে, তা নিয়ে হালনাগাদ সঠিক তথ্য জানতেই তারা বেশি আগ্রহী। অনেকে পদোন্নতি পাওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। কেউ আবার অনিশ্চয়তার দোলাচলে চিন্তিত। তবে বেশি উদ্বেগ লক্ষ করা গেছে অতীতে পদোন্নতিবঞ্চিত লেফটআউট কর্মকর্তাদের মধ্যে।

বিশেষ করে সব যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও যারা পদোন্নতি পাননি বলে দাবি করেন, তাদের ক্ষোভ-আক্ষেপ একটু বেশিই। বঞ্চিতদের মধ্যে ২৪ ও ২৫ ব্যাচের বেশ কয়েকজন সিনিয়র সহকারী সচিব যুগান্তরের কাছে তাদের এমন প্রতিক্রিয়ার কথা জানিয়েছেন।

এদিকে প্রশাসন ক্যাডারের বাইরে বাড়তি চাপ হিসাবে প্রথমবারের মতো যুক্ত হয়েছে বিলুপ্ত ইকোনমিক ক্যাডারের ৩৯ জন কর্মকর্তার নাম। ইতোমধ্যে এই ক্যাডার থেকে ২৫তম ব্যাচ পর্যন্ত ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিয়ে প্রশাসন ক্যাডারে কয়েক শ কর্মকর্তাকে মার্জ করা হয়েছে।

অবশিষ্ট ব্যাচগুলোকে প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে ধাপে ধাপে পদোন্নতি দিয়ে মার্জ পর্বের ইতি টানা হবে। সূত্র জানিয়েছে, বিভাগীয় মামলা ছাড়াও নানা কারণে তাদের সবার পদোন্নতি পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই। এছাড়া প্রতিবারের মতো অন্যান্য ক্যাডার থেকে অপশন দিয়ে যারা প্রশাসন পুলে আসতে চান, তাদের একটা চাপ তো আছেই।

অবশ্য অন্যান্য ক্যাডারের সিনিয়র ব্যাচের যেসব কর্মকর্তা উপসচিব হওয়ার দৌড়ে এখন অনেকটা ক্লান্ত, তাদের ক্ষোভের মাত্রা আরও একটু বেশি। এ সারির বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা শেষবারের মতো এবারও উপসচিব হতে অপশন দিয়েছেন।

তবে প্রতিবারের মতো এবারও একেবারে শূন্যপদের চুলচেরা হিসাব কষে পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে না। যেহেতু পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তাদের চাপ রয়েছে, তাই অতীতের ধারাবাহিকতায় উপসচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে। অবশ্য উপসচিবের জন্য বহু আগে সৃষ্টি করা ৪৩০টি সুপারনিউমারি পদ এখনো ঢাল হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। যদিও তাতেও সামাল দেওয়া ভার। তবু সবার প্রত্যাশা-পদোন্নতি-জট কমে যাক।

যদিও একসময় উপসচিব হতে ১৮ বছর পার করতে হয়েছে, যা এখন ১২ বছরে এসেছে ঠেকেছে। এটিও একটি ইতিাচক দিক। ভবিষ্যতে এ সময়সীমা আরও ২/১ বছর কমে আসতে পারে। সেটি নিশ্চিত হলে একসময় সচিব পদে একজন আমলা দীর্ঘসময় চাকরি করার সুযোগ পাবেন। তবে নিয়োগের সময় ব্যাচ ছোট না হলে সংকট সেই তিমিরেই থেকে যাবে। প্রসঙ্গত, নিয়মিত ব্যাচ হিসাবে এবার বিবেচনায় আসা প্রশাসন ক্যাডারের ২৭তম ব্যাচের দুই শতাধিক কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য বিবেচনায় আসছেন।

২০০৮ সালে এ ব্যাচের ২৭৭ জন কর্মকর্তা নিয়োগ পান। তবে সবাই যোগ দেননি। বর্তমানে ২৪২ জন কর্মরত আছেন। ব্যাচের ১৪০ জন কর্মকর্তা সিনিয়র স্কেল পান ২০১৪ সালের পহেলা জুন। এরপর পর্যায়ক্রমে ২০১৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত অবশিষ্ট ১০২ জন সিনিয়র স্কেল লাভ করেন। পদোন্নতির জন্য ২০১৯ সালে ১৮৬ জন ফিট থাকলেও পরবর্তী সময়ে সংখ্যাটি আরও বাড়ে।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা