• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

এই দুই ভাইয়ের হাত ধরেই বাংলায় আসেন `কাইশ্যা`

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০২০  

জাপানের প্রথম সেলিব্রেটি কমেডিয়ান কেন শিমুরা (৭০) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। যিনি বাংলাদেশে ‘কাইশ্যা’ নামে পরিচিত। দেশের একটি ইউটিউব চ্যানেলের বদৌলতে তাকে এই নামে চেনে সবাই।

এই কৌতুক অভিনেতা বাংলাদেশে জনপ্রিয় হন অন্যভাবে। বাংলাদেশের দুই তরুণ জাপানের ভিডিওচিত্রে  শিমুরার কণ্ঠে বাংলা বাক্য জুড়ে দেন। তার নাম দেন কাইশ্যা। ধীরে ধীরে এদেশের মানুষের নিকট বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের নিকট কাইশ্যা তুমুল জনপ্রিয় হয়ে যায়। কিন্তু এই কাইশ্যার নেপথ্যে কারা ছিলেন?  মনসুর আহমেদ সজিব ও মোর্শেদ আহমেদ সুজন- এই দুই ভাই কাইশ্যার জনক। তাদের হাত ধরেই শিমুরা বাংলায় কাইশ্যা হয়ে আসেন।

মোর্শেদ আহমেদ সুজনের মাথায় আইডিয়াটা প্রথমে আসে। জাপানি একটা ভিডিও খুঁজে পেয়ে সেটায় বাংলা কণ্ঠ প্রদান করান ছোট ভাই  মোর্শেদ আহমেদ সুজনকে দিয়ে। ভিডিওটি একটি ফেসবুক পেইজে আপলোড করেন। এরপর দুই ভাই চাকরি নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। দুইদিন পর দেখেন যে ভিডিওটি ভাইরাল হতে শুরু করেছে, ৩-৪ লাখ ভিউ হয়ে গেছে। কয়েকদিন পর সেটা মিলিয়ন পার হয়ে যায়। এরপর আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে  মনসুর আহমেদ সজিব ও মোর্শেদ আহমেদ সুজন দুজন মিলে নতুনভাবে ভিডিওটি তৈরি শুরু করেন। 

সুজন বলেন, 'প্রথম ভিডিওটি আপলোড করার পর এতো প্রতিক্রিয়া পাবো ভাবিনি। এরপরে কিন শিমুরার ট্রেনের একটা ভিডিও পাই। সেটা বৃদ্ধ বয়সী আমি আমার ছোটভাই সুজনকে বলি এটার ভয়েস আরেকটু পরিবর্তন করতে হবে। ধীরে ধীরে যেখানে ভয়েসটা এসে থামলো, সেটাই চূড়ান্ত করলাম। ওটাই এখনকার কাইশ্যার কণ্ঠ।' 

সজিব বলেন, 'প্রথমে আমরা যখন বাষায় ভয়েস দিতাম তখন আম্মা বলতো এসব কী করি, বিরক্ত হতো। ভাবি বাধা দিতো, বলতো এসব বাদ দাও। এখন ভাবিই আমাদের মেয়েদের চরিত্রে ভয়েস দেন।' 

জাপান টাইমস জানিয়েছে, কেন শিমুরা ২০ মার্চ নিউমোনিয়া সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে ভর্তি হন। পরবর্তীতে পরীক্ষার পর ২৩ তারিখ তার শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়।

১৯৭০ সালের দিকে অভিনয় জগতে প্রবেশ করেন ওই কমেডিয়ান। বিশ্বজুড়েই কমেডিয়ান হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয় কাইশ্যা। বাংলাদেশে তার ডাবিং ভিডিওগুলো সব বয়সীদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। 

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা