• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

কচুয়ায় বিয়ের দাবিতে ছাত্রী এখন শিক্ষকের বাড়িতে

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

বিয়ের দাবিতে কলেজ ছাত্রী প্রেমিক শিক্ষকের বাড়িতে ২০ দিন অবস্থান করছে।অসুস্থ্যতার ভান করে প্রেমিক কলেজ শিক্ষক আত্মগোপনে রয়েছেন, বিয়ে না করলে ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করবেন বলে জানান। কচুয়া উপজেলার যশোরদি গ্রামে এঘটনা ঘটেছে ।

কচুয়া উপজেলার কলমীবুনিয়া গ্রামের ওই কলেজ ছাত্রীর জানান, তার মেয়ে দৈবজ্ঞহাটি সেলিমাবাদ ডিগ্রী কলেজে বি.কম প্রথম বর্ষের ছাত্রী (১৯)। উপজেলার যশোরদি গ্রামের নুর মোহাম্মাদ শেখ এর ছোট ছেলে দৈবজ্ঞহাটি সেলিমাবাদ ডিগ্রী কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের অস্থায়ী প্রভাষক মনিরুল শেখ(৩২) তিন বছর পূর্বে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হওয়া থেকে তার নিকট প্রাইভেট পড়ত ই ছাত্রীটি। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। এর পর গত বছর ওই শিক্ষক মনিরের মা অসুস্থ্য হয়ে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় বিয়ের আশ্বাসে প্রেমিকা ছাত্রীকে বাড়িতে নিয়ে যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে তাকে বিবাহ করার জন্য চাপ সৃষ্ঠি করলে বিভিন্ন অজুহাত দেখায়। এর পর গত ১৯ শে জানুয়ারী রবিবার বিয়ের দাবিতে মনিরুলের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরের দিন সোমবার ছাত্রী প্রেমিকাকে বাড়িতে রেখে মনির অসুস্থ্যতার ভান করে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।

মনিরুল শেখের পিতা নুর মোহাম্মাদ শেখ বলেন, মেয়েটি এসে আমার বাড়িতে উঠলে আমি তাকে বলি কেন এসেছো, সে বলে আপনার ছেল আমাকে ভালবাসে আমিও তাকে ভালবাসি আপনার ছেলে আমাকে ২০ সালে বিবাহ করার কথা বলেছিলো। তাই আমি চলে আসছি। তবে তাকে আমার মেয়ের মত করে রেখেছি। এর পর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য মেয়েটিকে নিয়ে ৫ফেব্রুয়ারী বুধবার তাদের কলেজের সহপাঠি ছাত্রীদের নিকট গেলে তারা বলে ঘটনাটি সত্য। আমার ছেলে বাড়ি এলে তাদেরকে বিবাহ দিয়ে দেব।


এদিকে ঘটনা জানতে পেরে এক সাংবাদিক নামধারী কথিত দালাল শিক্ষক মনিরুলের বাড়ীতে গিয়ে অনৈতিক কাজটিকে ধামাচাপা দিবে বলে অবৈধ সুবিধা নিয়ে ওই বাড়ীতে দুপুরের খাবার খেয়েও এসেছেন বলে দাবী করেন মনিরুলের মা।

ঐ কলেজ ছাত্রী জানায়,তাকে মনির শেখ ২০২০ সালে বিবাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তাই মনিরুলের বাড়িতে এসেছে। বিবাহ না করলে মনিরের বাড়িতে আত্মহুতি দিবে।

এব্যাপারে মনিরুল শেখের মুঠো ফোনে কথা বলার চেষ্টার করে তাকে পাওয়া যায়নি। স্থানীয় বাধাল ই্উনিয়ন চেয়ারম্যান নকীব ফয়সাল অহিদ বলেন,যশোরদি গ্রামের মনিরুলের বিষয় আমাকে জানানোর পর উভয় পক্ষকে ডেকে মিমাংসার চেষ্ঠাকরে ব্যর্থ হয়েছি।

দৈবজ্ঞহাটি সেলিমাবাদ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ নির্মল কান্তি বিশ্বাষ বলেন, আমাদের শিক্ষক কম থাকায় মনিরুল ইসলাম শেখকে খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে নিয়ে ছিলাম। কয়েকদিন আগে আমাদের কলেজের এক ছাত্রীর সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকার ঘটনা জানতে পেরে তাকে রেজুলেশন করে বাদ দেওয়া হয়েছে।
কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সফিকুর রহমান বলেন, এ.এস আই মাসুদ ডিউটি অবস্থায় সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে থানায় আসতে বলেছিল। এপর্যন্ত কোন পক্ষ অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা