• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

করোনা ঈদে যা হচ্ছে না

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ২৫ মে ২০২০  

"ঈদ", ঈদ মানেই অনাবিল আনন্দ, ঈদ মানেই খুশি। বাঙালির বাংলাদেশির প্রতিটা ঈদ কাটে একেক বয়সে একেক রকম করে। তবুও যেন আনন্দের কমতি থাকে না। এখানকার আলো বাতাসে পর্যন্ত ঈদ উতসবের আমেজ লেগে যায়। কিন্তু এইবারের ঈদ একটু ব্যতিক্রম। কারণ প্রকৃতির নিষ্ঠুর আচরণে এখন সবাই গৃহবন্দী। আর স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা চিন্তা করে এভাবেই আমাদের ঈদ উদযাপন করতে হবে। আর তাই আমাদের অন্য ঈদগুলোর সাথে এই ঈদের পার্থক্যটা চলুন একটু দেখে নেই, জেনে নেই এবার ঈদে যা যা হচ্ছে না সেই বিষয়ে। 

জামাতে নামাজ

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে অন্যান্যবারের মতো এবার ঈদগাহ মাঠে  জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। সম্প্রতি দেশের সর্ববৃহৎ ঈদগাহ ময়দান কিশোরগঞ্জের শোয়ালাকিয়াও ঈদের জামাতও বাতিল করা হয়েছে। অবশ্য এই বিষয়ে সরকারও দেশের আলেম ওলামাদের নিয়ে এমন নির্দেশনা জারি করে। সবাইকে মসজিদে নামাজ আদায়ের বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়। রাজধানী ঢাকাতে ঈদের নামাজের ক্ষেত্রেও স্বাস্থ্যবিধিসহ ঝুঁকি এড়িয়ে চলতে ১৪টি নির্দেশনা জারি করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।

করমর্দন কোলাকুলি

ঈদ মানেই হাতেহাত মিলানো। ঈদ মানেই কোলাকুলি। কিন্তু এইবারে ঈদে আর তা হচ্ছে না। কারণ ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট চলমান স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে এগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে। সেইসাথে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন বিধিতেও এই বিষয়ে নিষেধ করা হয়েছে। 

ঈদের শুভেচ্ছা

প্রতিটি ঈদে আমাদের মাননীয় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রের সিনিয়র সিটিজেন ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতেন। জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মাধ্যমে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করা হতো। কিন্তু এবারের ঈদে তা হচ্ছে না। 

বাহারি ফ্যাশন

প্রতিটি ঈদে শপিং মল ও বিপনি বিতানগুলোতে নানা ফ্যাশনের বাহারি সব পোশাক বা জামা বিক্রির দুম পড়ে যেত। কিন্তু করোনার এই ঈদে এসব হচ্ছে। কারণ স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা চিন্তা করে দেশের বেশিরভাগ শপিংমল ও বিপনি বিতানই বন্ধ রয়েছে। সেইসাথে দীর্ঘদিন ধরে চলা এই ভাইরাসের কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো জামাও তৈরি করতে পারেনি।     

আত্মীয় বাড়ি

প্রায় সকল ঈদেই আমরা আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় বেরাতে যাওয়া হতো। কিন্তু করোনাকালীন এই ঈদে তা হচ্ছে না। কারণ প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটির জন্য সামাজিক দুরত্ব্ব নিশ্চিতের কথা বারবার বলছেন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা। তাই আমাদের সকলের স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা চিন্তা করেই কারও বাসায় বেরাতে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিরত থাকা উচিত।   

পার্ক বা বিনোদন

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের এই সময়ে পার্ক বা বিনোদন কেন্দ্রগুলো খোলা নেই। কিন্তু যদি আইন বা নৈতিকতা ভুলে কেউ খুলে দেয়ও তারপরও আপনার এই সমস্ত বিনোদন কেন্দ্রে যাওয়া ঠিক হবে না। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে বৃহৎ পরিসরে আপনার যাওয়ার সুযোগও নেই।   

বাইরে ঘুরা

অন্যান্য বৎসর ঈদে আমরা সকলেই দল বেঁধে কক্সবাজার, কুয়াকাটা কিংবা বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যটন স্থানে বেরাতে যেতেন। কিন্তু এবারের ঈদে তা হচ্ছে না, কারণ এখন সবাইকে অদৃশ্য এক শত্রু তাড়া করে বেরাচ্ছে। আর এই শত্রু বিশ্ব মানবতার সবচেয়ে জঘন্য শত্রু। অদৃশ্য শত্রুর কারণেই এবারের ঈদে আমাদের বাইরে ঘুরতে বা বেরাতে যাওয়া হচ্ছে না।   

বিদেশ ভ্রমণ

প্রতি বৎসর ঈদের এই সময়টাতে সমাজের উচ্চবিত্ত কিংবা উচ্চ মধ্যবিত্তের অনেকেই ঈদ উপলক্ষে পাওয়া এই ছুটিকে উপভোগ করতে চলে যেতেন বিদেশ ভ্রমনে। কিন্তু এইবারের ঈদ যেন একেবারেই ভিন্ন এখন চাইলেও কেউ আর যেতে বিদেশে বেরাতে যেতে পারছে না।

আড্ডা মাস্তি

বাংলাদেশে জনসংখ্যার একটি বিশাল অংশ হল তরুণ। প্রতিটি ঈদে তরুণদের কাজই ছিল নিজ এলাকায় কিংবা আশেপাশের এলাকায় গিয়ে আড্ডা দেওয়া কিংবা ফুর্তি করা। কিন্তু এবারের এই ঈদে কষ্ট হলেও এই বিষয়গুলো মানতে হবে যে, এখন আর ঘুরা হচ্ছে। 

বিশেষ অনুষ্ঠান

ঈদুল ফিতর কিংবা ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে প্রতি বৎসর নানাবিধ বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করত বিভিন্ন গণমাধ্যম ও টেলিভিশন চ্যানেলগুলো। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এবার অনেক আয়োজন বাতিল করা হয়েছে। কিংবা প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে আপনা আপনি বাতিল হয়ে গেছে।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা