• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলেই মাঠে গড়াবে প্রিমিয়ার লিগ

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ১০ জুলাই ২০২০  

করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ (ডিপিএল) দিয়ে মাঠে ফিরতে পারে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ। আর খেলা মাঠে গড়ালে কোন ভেন্যুতে হবে, তা নিয়েও আলোচনা শুরু করে দিয়েছে সিসিডিএম। ম্যাচের জন্য তাদের প্রস্তাবনায় রয়েছে দুটি ভেন্যু, বিকেএসপি অথবা কক্সবাজার।

করোনার মহামারি ছড়িয়ে পড়ার আগে প্রিমিয়ার লিগের মাত্র দুই রাউন্ড খেলা হয়েছিল। দেশের অধিকাংশ ক্রিকেটারের আয়ের প্রধান উৎস হচ্ছে এই আসর। যে কারণে খেলোয়াড়রা চাইছে আসরটি যেন দ্রুত শুরু হয়। এরই মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সীমিত পরিসরে শুরু হয়েছে ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ড।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও সিসিডিএমও খেলা শুরুর ব্যাপারে ইতিবাচক। তাই ভেন্যু প্রস্তুত করতে শুরু করেছে। সিসিডিএম চেয়ারম্যান কাজী ইনাম আহমেদ বিকেএসপির দুটি ভেন্যু বা কক্সবাজারে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচগুলো আয়োজন করার পক্ষে। কারণ, সেখানেই কেবল কঠোর আইসোলেশনের মধ্যে খেলোয়াড়দের রাখার সুযোগ রয়েছে।

ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের (কোয়াব) একটি বৈঠকে যোগ দেওয়ার পর ইনাম আহমেদ বলেন, 'আমি ছাড়াও দেশের প্রথম শ্রেণির ও জাতীয় দলের বেশ কজন ক্রিকেটার ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ডিপিএল ফের শুরুর সম্ভাবনা নিয়েও আমরা কথা বলেছি। তবে এই মুহূর্তে তারিখ নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। আমরা চাই ক্লাবগুলো অন্তত ভার্চুয়ালি হলেও যেন খেলোয়াড়দের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে। এর মাধ্যমে খেলোয়াড়দের ফিটনেস ধরে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে ১৫ দিনের সংক্ষিপ্ত নোটিশে খেলা শুরুর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে ক্লাবগুলোকে।'

বিসিবির এই পরিচালক আরো বলেন, 'বিকেএসপি বা কক্সবাজারে বর্তমান পরিস্থিতিতে খেলা আয়োজনের উপযুক্ত ভেন্যু। কারণ, এ দুটি জায়গায় কেবল খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের কঠিনভাবে আইসোলেশনসহ আবাসনের সুযোগ আছে।'

করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রিমিয়ার লিগই প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে খেলোয়াড়দের আশ্বস্ত করেন ইনাম আহমেদ, 'আমরা আশা করছি, প্রিমিয়ার লিগ দিয়েই দেশে শুরু হবে ক্রিকেট। বিসিবি সভাপতিও বিভিন্ন বৈঠকে এমনটি জানিয়েছেন।'

কোভিড-১৯-এর মহামারিতে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ১৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ স্থগিত হয়েছে। ছয়টি টেস্ট (তিনটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে, দুটি অস্ট্রেলিয়া ও একটি পাকিস্তানের বিপক্ষে), চারটি ওয়ানডে (তিনটি আয়ারল্যান্ডের ও একটি পাকিস্তানের বিপক্ষে) এবং চারটি টি-টোয়েন্টি (আয়ারল্যান্ড) ম্যাচ।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা