• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

করোনাভাইরাস `মহাকাশ` থেকে এসেছে!

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২০  

কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস নিছক সাধারণ কোন ফ্লু ভাইরাস নয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, জিনের গঠন বদলে প্রতিনিয়ত এই ভাইরাস নিজের চরিত্রই বদলে ফেলছে। এই ভাইরাসের বিশেষ স্ট্রেন সার্স-সিওভি-২-এর স্পাইক প্রোটিন জোড় বাঁধছে মানুষের শরীরের বিশেষ জিনের সঙ্গে। বাহক কোষ বা হোস্ট সেলের সাহায্যেই আরও সংক্রামক হয়ে উঠছে করোনা। এত বেশি নিজেকে বদলাচ্ছে এই ভাইরাস যে এর মতিগতি বোঝাই অসম্ভব হয় পড়ছে বিশ্বের বাঘা বাঘা ভাইরোলজিস্টদের কাছে।

করোনাভাইরাসের জন্য দায়ী কে? এমন প্রশ্নে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করে চলেছে বিশ্বের দুই পরাশক্তি চীন ও আমেরিকা। কখনও আমেরিকা দাবি করছে নোভেল করোনাভাইরাস আসলে রাসায়নিক মারণাস্ত্র, ছড়িয়েছে চীন থেকেই। আবার কখনও চীন সোজাসাপটা আঙুল তুলে বলছে মার্কিন সেনাদের থেকেই উহানে ছড়িয়েছিল ভাইরাস। তবে এবার চ্যাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন নাসার একজন অ্যাস্ট্রোবায়োলজিস্ট। তার দাবি চীন কিংবা যুক্তরাষ্ট্র নয় কোভিড-১৯ ভাইরাস এসেছে মহাকাশ থেকে। একটা ধুমকেতুর সাহায্যে এটা পৃথিবীতে এসেছে।

কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে মহাবিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। এরই মধ্যে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় দুই লাখ মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার। আশ্চর্য ক্ষমতাধর এই ভাইরাসের উৎপত্তি সম্পর্কে বিভ্রান্তিমূলক তথ্যের বন্য বয়ে যাচ্ছে। তবে সর্বশেষ শেষ নাসার বিজ্ঞানী যে দাবি করলে্ন সেটা আসলেই চমকে যাওয়ার মতো। তার দাবি, মহামারি করোনাভাইরাসের সৃষ্টি হয়েছিল মহাকাশে, সেখান থেকেই ধুমকেতুর সাহায্যে এটা পৃথিবীতে এসেছে।

করোনভাইরাসটির উৎপত্তি যে মহাকাশ থেকে, এই ধারণা প্রথম দিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানী চন্দ্র বিক্রমাসিংহে। যিনি জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কিত ধারণাগুলির জন্য বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত।

বিক্রমাসিংহের মতে, করোনাভাইরাস মূলত মহাকাশের একটি ভাইরাস। একটি ধূমকেতুর সাহায্যে এটা পৃথিবীতে এসেছে। গত বছরের অক্টোবরে চীনে আগুনের বলের মতো একটি ধুমকেতু আঘাত হানে। তাতেই ছিল এই কোভিড-১৯ ভাইরাস। যা পরবর্তীতে পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।

বিক্রমাসিংহে আরও বিশ্বাস করেন যে, শুধু করোনাভাইরাস নয়, পৃথিবীতে বিভিন্ন সময়ে ছড়িয়ে পড়া অন্যান্য মহামারির রোগজীবাণুগুলিও মহাকাশ থেকে এসেছে। বছরের পর বছর ধরে তিনি দাবি করে আসছেন যে, সার্স এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো ভাইরাসগুলি মহাকাশ থেকে এসেছে।

তবে বিক্রমাসিংহের এই দাবিকে অন্য বিজ্ঞানীরা সিউডোসায়েন্স বা 'খারাপ বিজ্ঞান' বলে চিহ্নিত করেছেন। তার দাবির সত্যতার বিষয়ে একটি বড় সমস্যা হল, এতে এই ধারণা দেয় যে, ভাইরাসগুলি মহাজাগতিক কঠিন বিকিরণ থেকে বাঁচতে সক্ষম হয়েছিল। ভাইরাসগুলি মহাকাশ জুড়ে তার বিস্তার বাদ দিয়ে কেন কোন বস্তুর উপর ভর করে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করলো সে প্রশ্নের উত্তর নেই।

নাসার অ্যাস্ট্রোবায়োলজি ইনস্টিটিউটের আরেকজন মহাজাগতিক বিশেষজ্ঞ গ্রাহাম লাউ বলেছেন, বিক্রমাসিংহে দাবি করলেও এর স্বপক্ষে তিনি এখনও এমন কোনও প্রমাণ সরবরাহ করেননি যা ভাইরাসগুলি মহাকাশ থেকে এসেছে এমন প্রমাণ পাওয়া যায়। সঠিক তথ্য-প্রমাণ ছাড়া আমরা এটাকে সঠিক বলে মানতে পারি না।

সূত্র- ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইম।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা