• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

করোনার প্রভাবে অর্থনীতিতে সঙ্কটের আশঙ্কা

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ২৭ মার্চ ২০২০  

করোনাভাইরাসের কারণে বাধাগ্রস্ত রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহ। মানবিক বিপর্যয়ের পাশাপাশি অর্থনৈতিক ধস ঠেকানো না গেলে বড় সঙ্কটের আশঙ্কা।

করোনা মহামারিতে অর্থনৈতিক অচলাবস্থার ক্ষত দ্রুত সারিয়ে উঠতে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরুর তাগিদ ব্যবসায়ী ও ব্যাংকারদের। চীনের অভিজ্ঞতা অনুসরণ করে মানবিক বিপর্যয় ঠেকানোর পাশাপাশি অর্থনৈতিক ধস ঠেকানোও জরুরি। আর তা না করতে পারলে করোনা পরবর্তী সময়ে আরও বড় সংকট সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি করোনাভাইরাসের প্রকোপ মহামারি আকার ধারণ করলে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয় বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চীনে। যার প্রভাবে শুধু চীন নয়, থমকে যায় সারা বিশ্বের রপ্তানি ও আমদানি বাণিজ্য। তার ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও। প্রায় তিন মাস পর করোনা সংক্রমণের কারণে এখন সরাসরি বিপাকে বাংলাদেশ।

সংক্রমণ ঠেকাতে সীমিত হয়েছে মানুষের চলাচল। বন্ধ রয়েছে অভ্যন্তরীণ কেনাবেচা, আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য।

বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল মামুন মৃধা বলেন, 'আমরা চীন থেকে প্রধান যে কাঁচামাল আমদানি করে থাকি তার অনেকগুলোই আসা শুরু হয়ে গেছে।'

চীনের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া শুরু করলেও কঠিন সময় পার করছে বাংলাদেশ। ব্যাংকাররা বলছেন, সারা বিশ্বে করোনার সংক্রমণ বাড়ায় এর মাশুল গুণতে হচ্ছে রপ্তানি বাণিজ্য ও রেমিট্যান্স প্রবাহে। এ অবস্থায় করোনা পরবর্তী সময়ে দেশের অর্থনীতিকে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জে পড়তে হবে।

পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল হালিম চৌধুরী বলেন, 'দেশের রেমিট্যান্স খাতে বড় ধরনের ধাক্কা আসছে। আমরা যেখানে রপ্তানি করতাম সেখানেও চাহিদা কমে যাচ্ছে, কারণ তারা লকডাউন হয়ে আছে। অনেক দেশ আমদানি আদেশ বাতিল করে দিচ্ছে। আমরা এখানেই বিপদে পড়ে যাচ্ছি। কতটা বিপদ হবে আমরা ঠিক ভেবে পাচ্ছি না।'

সঙ্কট যেমন আছে তা উত্তরণের উপায়ও আছে। তবে, তার জন্য চাই চীনের মতই আগাম প্রস্তুতি।

বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল মামুন মৃধা জানান, 'চীন বলছে লকডাউন থাকাকালীন যে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে তা ওভারকাম করতে যদি দুই বা তিন শিফটে কাজ করতে হয় বা ২৪ ঘন্টাও কাজ করতে হয় তারা তাই করবে। তারা সম্মিলিতভাবে এই ঘাটতি পুষিয়ে নিয়ে কাজ করছে। তাই এত দ্রুত চায়না এই অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে পেরেছে। যখন করোনাভাইরাসের প্রভাব থাকবে না তখন আমাদেরও একটা সম্মিলিত প্রয়াস দরকার। তবে, তার পরিকল্পনা আগে থেকেই হতে হবে।'

চলমান করোনা সঙ্কটের মধ্যেই অর্থনৈতিক ধস এড়ানোর কৌশল ঠিক না করলে বাংলাদেশের জন্য সামনে আরও কঠিন সময় অপেক্ষা করছে বলে মনে করেন ব্যবসায়ী ও ব্যাংকাররা।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা