• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

কেন বাড়িতে অবশ্যই এই পাঁচটি ওষুধি গাছ চাষ করা জরুরি?

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ২০ আগস্ট ২০২০  

আদিকালে চিকিৎসকেরা নিজ বাড়িতেই ছোটখাটো পরিসরে নানারকম ওষুধি গাছের চাষ করতেন। তারা নিজেরাই আবিষ্কার করতেন পরিচিত সব গাছের নানান ওষুধি ক্ষমতাগুলো। যা অনেক রোগ থেকে সহজেই মুক্তি দিত।

বর্তমানে ঘরোয়াভাবে ওষুধি গাছ চাষ করার পরিবেশটা আর নেই। তারপরও ব্যস্ততম জীবনে সুস্থ থাকাটা জরুরি। আর তাই জঞ্জালে ভরা শহরে নিজের বাড়িতেই কিছু ওষুধি গাছের চাষ করুন। যা নিজেকে ও পরিবারকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। চলুন জেনে নেয়া যাক ঘরেই চাষযোগ্য কিছু চমৎকার ও কার্যকরী ওষুধি গাছ সম্পর্কে-

ঘৃতকুমারী

 

ঘৃতকুমারী

ঘৃতকুমারী

গোটা বিশ্ব জুড়ে এই গাছের জুস বা রস ক্যাপসুল বা জেলের আকারে বিক্রি হচ্ছে। এই জেলের ভেতরে আছে বিশটি অ্যামিনো অ্যাসিড যা থেকে বিজ্ঞানীরা বলেন প্রাণের সৃষ্টি। এই ২০ অ্যামিনো অ্যাসিডের আটটি দেহের মাঝে তৈরি হয় না। এটা বাইরে থেকে খাদ্যের আকারে গ্রহণ করতে হয়। এটা আসে ঘৃতকুমারী থেকে। এই জেলের রয়েছে ত্বকের যাবতীয় সমস্যা দূর করার ক্ষমতা। অ্যালোভেরা জেল দেহের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে পরিশোধিত করে, ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরার আশ্চর্য ওষুধি গুণ রক্তে কোলেস্টেরল ও চিনির মাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে সাহায্য করেছে; রক্তচাপও কমিয়ে আনছে। ”অ্যালোভেরা জেল” ব্যবহারকারীদের তাদের যেকোনো চর্মরোগ, মেছতা, ব্রণ দূর করতে দেখা গেছে।

 

টমেটো

 

টমেটো

টমেটো

টমেটোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যেমন- লাইকোপেন। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট দেহের ফ্রি রেডিকেলস দূর করে এবং ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমায়। ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। টমেটোর কারণে ডিএনএ সহজে ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। টমেটোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ ভিটামিন সি। যেটা শরীরের রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। অসুস্থ শরীর থেকে আরোগ্য পেতে টমেটো খেতে পারেন, এটা রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে।

 

ডালিম

 

ডালিম

ডালিম

ডালিম গাছের শেকড়, ছাল, ফলের খোসা আমাশয় ও উদরাময়ের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর ফুল ঋতুস্রাবজনিত সমস্যার ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।  ঠাণ্ডাজনিত রোগ, শ্বাসকষ্ট, কাশি এবং বাতের ব্যথা দূর করতে ডালিমের জুড়ি নেই। ডালিম অরুচি দূর করে ও খিদে বাড়ায়। এর রস বমি বন্ধ করে এবং অনবরত বমির ফলে শরীরে যে ক্লান্তি আসে তা দূর করে। এতে উপস্থিত ভিটামিন সি ও বি দাঁত এবং মুখের রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। এর আয়রন, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম ও ফোলেট দেহে রক্ত তৈরিতে সহায়তা করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। এছাড়া ডালিম বার্ধক্য বিলম্বিত করতেও সহায়তা করে এবং রক্তের তারল্য ঠিক রাখে এবং হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। ডালিমের রস খুবই ভালো ত্বক পরিষ্কারক। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতেও ডালিমের রস কার্যকর।

 

পুদিনা

 

পুদিনা

পুদিনা

পুদিনাকে চেনেনা এমন খুব কম মানুষই আছে আমাদের দেশে। নিত্যনৈমিত্তিক নানা খাবার তৈরি করতে পুদিনাকে ব্যবহার করি আমরা সবাই। তবে বাড়িতে এই পুদিনা পাতা চাষ করলে কেবল খাবারকে আকর্ষণীয় করতেই নয়, নানারকম কাটা-ছেঁড়ার ক্ষেত্রে এবং হারিয়ে যাওয়া খিদেকে ফিরিয়ে আনতেও সাহায্য করবে এটি।

 

পালং

 

পালং

পালং

পালং শাকে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ এবং বিটা কেরোটিন থাকায় তা কোলনের কোষগুলোকে রক্ষা করে। বাতের ব্যথা, অস্টিওপোরোসিস, মাইগ্রেশন, মাথাব্যথা দূর করতে প্রদাহনাশক হিসেবে পালং শাক কাজ করে। এই শাক স্মৃতিশক্তি এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে খুবই কার্যকর। এতে প্রচুর পরিমাণ আয়রন ও ভিটামিন ‘সি’ থাকায় রক্তস্বল্পতা দূর করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে এবং পেট পরিষ্কার রাখতে অপরিহার্য। তাছাড়া রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে, দৃষ্টিশক্তিও বাড়ায়। পালং শাকে ১৩ প্রকার ফ্লাভোনয়েডস আছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও পালং শাক খুব উপকারী। তবে যাদের ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা আছে তাদের পালং শাক খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা