• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

খুলনা-মংলা মহাসড়কে বন্ধ থ্রী-হুইলার

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯  

সরকার ঘোষিত মহাসড়কে সকল ধরনের ত্রি-হুইলার জাতীয় যানবাহন বন্ধো হওয়ায় চালকদের পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। জানাগেছে খুলনা-মংলা,খুলনা-বাগেরহাট মহাসড়কে সকল ধরনের ত্রি-হুইলার জাতীয় যানবাহন চলাচল বন্ধো ঘোষনার পর বেশীর ভাগই বন্ধ হয়েছে। আর এই বন্ধের কারনে ওইসব চালকরা বিভিন্ ব্যাংক, এজিও ও মহাজনদের নিকট থেকে নেয়া ঋনের বোঝা মাথায় নিয়ে চরম মানবেতর জীবন যাপনের মধ্যে দিন কাটছে তাদের।

গুরুত্বপুর্ন মহাসড়কের সাথে হালকা যান সহ থ্রী হুইলার চলাচলের জন্য আলাদা লেন নিমার্নের জোর দাবি এবং বিষয়টি মানবিক বিবেচনায় আনার জন্য উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন মনে করছেন বিভিন্ন মানবধিকার সংঘঠন ও সুধীজনেরা।

এই গেল বছরের প্রথম দিকে সড়ক র্দূঘনা রোধ ও সড়কের ঝঞ্জাট নিরসনে উচ্চ আদালতের নির্দেশে বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় আনুষ্ঠানিক ভাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে বাগেরহাট জেলার সকল মহাসড়কে ত্রি হুইলার বিরোধী সাড়াশি অভিযান পরিচালনা শুরু করেন যা অদ্যবধি অব্যাহত রয়েছে। অপরদিকে বাংলাদেশ হাইওয়ে পুলিশ মাদারীপুর রিজিয়নের ফরিদপুর এর আওতাভুক্ত হাইওয়ে থানা বাগেরহাটের কাটাখালীতে হওয়ায় তারাও উচ্চ আদালতের এই নির্দেশনা মোতাবেক খুলনা-মোংলা, খুলনা-বাগেরহাট, খুলনা- মাওয়া মহাসড়কে ত্রি হুইলার বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসছে।

অনুসন্ধানে জানাগেছে হাইকোর্টের নির্দেশায় মহা সড়কে অভিযানের ফলে এই সব চালকরা বিভিন্ন সমস্যার বোঝা মাথায় করে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে, যেমন- এন জিও, গ্রামের সুদখোর মহাজন ও বিভিন্ন ব্যাংক টাকার জন্য চাপ। পরিবারের সদস্যদের দু,বেলা খেতে দিতে পারছেনা পেটভরে। কোন কোন পরিবারের সদস্যর, ভুগছে স্বাস্থ্যহীনতায়, বেশির ভাগপরিবারে পারছে না ছেলে মেয়েদের শিক্ষার জোগাড়দিতে। বন্ধো হওয়া কোন কোন থ্রী-হুইলার চালক আবার জড়িয়ে পড়ছে অপরাধ মুলক কাজে। গুরুত্বপুর্ন মহাসড়কের সাথে হালকা যান সহ থ্রী হুইলার চলাচলের জন্য আলাদা লেন নিমার্নের জোর দাবি ভুক্তোভুগী এই সব চালক ও সুধীজনদের ।

এদিকে আবার অভিযানে আটককৃত সকল থ্রী হুইলার দির্ঘ মেয়াদে থানায় রাখার ফলে থ্রী হুইলারের ব্যাটারীসহ অনেক যন্ত্রাংশ নস্ট হয়ে গেছে ফলে আর এক লোকশান ঘাড়ে চাপ নিচ্ছে চালকদের। এসব থ্রি-হুইলারের প্রতিটি সেটের ব্যাটারীর মূল্য ২০হাজার থেকে শুরু করে ৮০হাজার টাকা পর্যন্ত। একদিকে মহাসড়কে চলাচলে পুলিশের একধিক শাখার ধারাবাহিক বাধা, আটক এর মুখে পড়ে সর্বস্বান্ত হতে বসেছে এ অঞ্চলের থ্রী হুইলার চালকরা। অধিকাংশ চালক কেউ বা শিক্ষিত হয়ে চাকরি না পেয়ে কেউবা বেকারত্ব ঘোচানর জন্য কেউ বা অসহায় পিতা মাতা, স্ত্রী, সন্তান এর মুখের আহারের জন্য বিভিন্ন এন জি ও গ্রামের সুদখোর মহাজন, বিভিন্ন ব্যাংক অথবা নিজের বা পিতার অর্জিত সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে ক্রয় করেছেন থ্রী হুইলার যান, আবার কেউ কেউ গ্রামের মহাজনের কাছ থেকে দৈনিক ৫০০থেকে ১হাজার টাকা হারে ভাড়া নিয়ে যান বাহন চালায়। শ্রমিকরা কঠিন মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

এ ব্যাপারে চুলকাটি এলাকার ইজিবাইক চালক তানভির শেখ কে বলেন এবছরের প্রথম দিকে খুলনা-মংলা মহাসড়কের কাটাখালী থেকে তার গাড়ীটি আটক করে হাইওয়ে থানা পুলিশ। দির্ঘদীন আটক রাখার পর এ ক্ষেত্রে জীবীকার কোন ব্যবস্থা করতে না পেরে ঋনের টাকায় ক্রয়কৃত ইজিবাইকটি মাত্র ৫০হাজার টাকায় বিক্রয় করতে বাধ্য হয় ।

এখন সে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এ অঞ্চলে তানভিরের মত অবস্থা হাজার হাজার চালকদের, চুলকাঠি এলাকার ইজিবাইক চালক সাইদ শেখ আমাদের জানান পুলিশের কারনে মহাসড়কে উঠতে পারছেনা ফলে তারা যাত্রী না পেয়ে কোন টাকা উপার্জন করতে পারছে না। তিনি প্রধানমন্ত্রীর নিকট দেশের এই গুরুত্বপুর্ন মহাসড়কের সাথে হালকা যান সহ থ্রী হুইলার চলাচলের জন্য আলাদা লেন নিমার্নের জোর দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে কাটাখালী হাইওয়ে থানার ওসি মোঃ রবিউল ইসলাম এর নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি কে বলেন, মহামান্য উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক ও তারা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কড়া নজরদারি ও ধারাবাহিক ভাবে ভাবে মহাসড়কে থ্রি-হুইলার বিরোধী অভিযান পরিচালনার করছেন। এছাড়া তিনি অন্যকোন বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নী।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা