• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

খেজুর ও কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ২ জানুয়ারি ২০১৯  

আমাদের কাছে অতি পরিচিত দুটি খাবার খেজুর ও কিসমিস । সেমাই,পায়েস কিংবা ইফতারের প্লেটে কিসমিস ও খেজুর ছাড়া চলেই না। কিন্তু জানেন কি, খেজুর ও কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা?

আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক সুস্বাদু খেজুর ও কিসমিসের কিছু গুণাগুণ :

১. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে :  একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত খেজুর খাওয়া শুরু করলে দেহের ভিতরে পটাশিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যার প্রভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে সময় লাগে না। তাই যাদের পরিবারে এই মারণ রোগের ইতিহাস রয়েছে, তাদের রোজের ডায়েটে এই ফলটি থাকা অত্যাবশ্যকীয়।

২. অ্যাসিডিটির প্রকোপ কমে :  কিসমিসে উপস্থিত পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম শরীরে প্রবেশ করার পর রক্তে অ্যাসিডিটির মাত্রা কমতে সময় লাগে না। এক কথায় সার্বিকভাবে শরীরকে চাঙ্গা রাখতে কিসমিসের কোনো বিকল্প হয় না ।

 ৩. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে : বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, খেজুর খাওয়ার পাশাপাশি যদি নিয়মিত এই ফলটির পাতা খাওয়া যায়, তাহলে শরীরের ভিতরের এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে যে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে । সেই সঙ্গে রাতকানাসহ অন্যান্য চোখের রোগের প্রকোপ কমাতে সাহয্য করে।

 ৪. অ্যানিমিয়ার রোগের প্রকোপ কমে :  কিসমিসে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় আয়রন, যা শরীরে প্রবেশ করার পর লোহিত রক্ত কণিকার উৎপাদনকে বাড়িতে দেয়। ফলে রক্তাল্পতার মতো সমস্যা কমতে সময় লাগে না।  নারীদের মধ্যে যে হারে অ্যানিমিয়ার প্রকোপ বাড়ছে, তাতে প্রত্যেকেরই যে কিসমিস খাওয়ার প্রয়োজন বেড়েছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। 

 ৫. ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়:  খেজুরে ডায়াটারি ফাইবার, পটাশিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং আরও নানাবিধ উপকারি উপাদান উপস্থিত। যার ফলে শরীরে প্রবেশ করার পর মস্তিস্কে কোষের ক্ষমতাকে এতটাই বাড়িয়ে তোলে যে ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়। তাই যদি একটু বেশিই বুদ্ধিমান হয়ে উঠতে চান, তাহলে প্রতিদিন ২-৩টা করে খেজুড় খেতে ভুলবেন না যেন।

 ৬. হার্টের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় :  ডায়াটারি ফাইবারে সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে নিয়মিত খেজুর খেলে শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের আশঙ্কা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে এতে উপস্থিত পটাশিয়াম আরও সব হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমায়।

 ৭. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি দূর হয় :  খেজুরে প্রচুর মাত্রায় প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা একাধিক রোগকে দূরে রাখার পাশাপাশি শরীরের গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এখানেই শেষ নয়, এই ফলটিতে বেশ কিছু অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টিজও রয়েছে, ফলে নিয়মিত খেজুর খেলে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও অনেকাংশে হ্রাস পায়। 

 ৮. হাড় শক্তপোক্ত হয়ে ওঠে :  কিসমিসে উপস্থিত ক্যালসিয়াম ও বোরন নামক উপাদান হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।  অল্প বয়সেই যদি অস্টিওপরোসিস বা অন্য কোনো হাড়ের রোগে আক্রান্ত হতে না চান, তাহলে নিয়মিত এক মুঠো করে কিসমিস খেতে ভুলবেন না যেন।

 ৯. ক্যান্সার দূরে থাকে :  বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন তিনটি করে খেজুর খেলে শরীরে ভিতরের কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। যার প্রভাবে ক্যান্সার কোষের জন্মে নেওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। 

 ১০. ত্বক সুন্দর হয়ে ওঠে :  খেজুরে উপস্থিত ভিটামিন সি ও ডি ত্বক টানাটান রাখতে সহায়তা করে। সেই সঙ্গে বলিরেখাও গায়েব হতে শুরু করে। ফলে ত্বক প্রাণবন্ত ও উজ্জ্বল হয়ে উঠতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, এই ফলটিতে উপস্থিত অ্যান্টি-এজিং প্রপাটিজ, ত্বকের বয়স ধরে রাখতেও নানাভাবে সাহায্য করে থাকে। 

 ১১. নানাবিধ পেটের রোগের প্রকোপ কমায় : খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার কারণে নিয়মিত এই ফলটি খেলে বাওয়েল মুভমেন্টে মারাত্মক উন্নতি ঘটে।  ফলে স্বাভাবিকভাবেই কোনো ধরনের পেটের রোগই আর মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে না। 
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন তিনটি করে খেজুর খেলে শরীরে ভেতরে উপকারি ব্যাকটেরিয়ায় মাত্রা বৃদ্ধি পায়।  ফলে বদ-হজম, কোলাইটিস ও হেমোরয়েডের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা