• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

চট্টগ্রামে তিন ডাক্তার ও ২০ নার্স-ওয়ার্ডবয় কোয়ারেন্টাইনে

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ৪ এপ্রিল ২০২০  

চট্টগ্রামে এক ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার প্রেক্ষিতে ন্যাশনাল হাসপাতালের তিনজন ডাক্তার ও ২০ নার্স এবং ওয়ার্ড বয়কে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। শনিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, করোনা শনাক্ত হওয়া ওই ব্যক্তিকে গত ৩০ মার্চ সন্ধ্যায় নগরীর ন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রথমে তাকে ভর্তি করতে অপারগতা জানালে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার সুপারিশে ওই ব্যক্তিকে ভর্তি করাতে বাধ্য হন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ওই রোগী এরপরের দুইদিন ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন।

এদিকে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির বলেন, করোনায় শনাক্ত হওয়া ব্যক্তির মেয়ে ও তার শাশুড়ি ১৩ মার্চ সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে ন্যাশনাল হাসপাতালে ওই রোগীতে দেখতে গিয়েছিলেন। তবে তারা তাকে দেখতে পারেননি। এজন্য ন্যাশনাল হাসপাতাল লকডাউন হবে না।

তিনি বলেন, ওই সময় যে ডাক্তাররা রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছেন তাদের আলাদা করে রাখা হয়েছে। আমরা এটাও জেনেছি ডাক্তাররা রোগী দেখার সময় পিপিই পরেছিলেন। ১ এপ্রিল অবশ্যই তাকে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  প্রায় তিন দিন তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

এ বিষয়ে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দীন জানান, করোনা শনাক্ত হওয়া ব্যক্তি যেদিন ন্যাশনাল হাসপাতালে এসেছে ওইদিনের ডাক্তার, নার্স আর ওয়ার্ডবয়ের তালিকা নেওয়া হয়েছে। আমরা ২৩ জনের তালিকা পেয়েছি। তার মধ্যে তিনজন ডাক্তার আর ২০ জন নার্স ও ওয়ার্ডবয়। তালিকায় দুইজন ডাক্তার আছেন, যারা ন্যাশনাল হাসপাতালের পাশাপাশি অন্য হাসপাতালেও চাকরি করেন। তাদের সবাইকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, কোয়ারেন্টাইন তালিকায় থাকা দুইজন ডাক্তার ন্যাশনাল হাসপাতালের পাশাপাশি নগরীর আগ্রাবাদের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালেও চাকরি করেন। এছাড়া একজন নার্সও রয়েছেন যিনি ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে চাকরি করছেন। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, ন্যাশনাল হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার-নার্সরা যদি করোনয় সংক্রমিত হন, সেক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের ডাক্তার-নার্সরাও তাদের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে ওই রোগীর শরীরে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর দামপাড়া এলাকার ছয়টি ভবন ও সাতকানিয়া এলাকার পুরানগড় গ্রামে রোগীর মেয়ের শ্বশুর বাড়ি লকডাউন করে দেওয়া হয়। 

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা