• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

চরফ্যাশনে নৌকা থেকে ৫ ধর্ষক আটক, ধর্ষিতা উদ্ধার

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

চরফ্যাশন উপজেলায় নদীতে নোঙর করা নৌকা থেকে পাঁচ ধর্ষককে আটক করেছে চর-মানিকা কোস্টগার্ড। গতকাল শনিবার রাত সোয়া ৪টায় উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানাধীন বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে নোঙর করা ওই নৌকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আজ রবিবার সকাল ৯টায় তাদের দক্ষিণ আইচা থানায় সোর্পদ করা হয়েছে। ধর্ষণ কাজে ব্যবহৃত ট্যুরিজম নৌকাটিও জব্দ করা হয়েছে।

ধর্ষিতার অভিযোগ, রাত জেগে চিৎকার করেছি কেউ এগিয়ে আসেনি। রাত যখন সোয়া চারটা বাজে সহ্য করতে না পেরে জোড়ে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকারে কোস্টগার্ড আমাকে উদ্ধার করে। তারা(কোস্টগার্ড) ওই মুহুর্তে না আসলে আমাকে মেরে নদীতে পালিয়ে যেত লম্পটরা।

দক্ষিণ আইচা থানা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিমের বাড়ি চরফ্যাশন উপজেলার আসলামপুর গ্রামে। ভিকটিমের সাথে দক্ষিণ আইচা থানার চরমানিকা গ্রামের কলেজ পড়ুয়া ছাত্র সোহেলের(২০) পূর্ব পরিচয় ছিল। ওই সূত্রপাতে ধর্ষিতা মায়ের চিকিৎসার জন্য গতকাল শনিবার বিকেলে সোহেলের কাছে ৫ হাজার টাকা ধার চায়। সোহেল টাকা দেওয়ার কথা বলে  তাকে(ভিকটিমকে) বিকেল ৪টায় দক্ষিণ আইচায় নিয়ে যায়। এ সময় সোহেল(২০) তার কলেজ পড়ুয়া বন্ধু রিপন(১৯) ও মোঃ ওয়াছেলকে(২০)ও তাদের সাথে নেন। সে মেয়েটিকে সাথে নিয়ে বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে ঘুরতে যান। এ সময় সোহেল স্পিডবোড দিয়ে পর্যটক এলাকা চর-কুকুরি-মুকরি নারিকেল বাড়িয়া নামক স্থানে মেয়েটিকে নিয়ে যায়। সেখানে যাবার পর তিন যুবক পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে। 

এরপর মেয়েটিকে অপর একটি নৌকা উঠানো হয়। নৌকাটি গন্তব্যস্থলে (কচ্ছপিয়া) না এসে নিঝুম এলাকা চর-ফারুকী বরাবর নদীতে নোঙর করা হয়। সেখানে সোহেলসহ পাঁচ যুবক তাকে দ্বিতীয়বার পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এদিকে একই নদীতে অভিযান শেষে নিজেদের গন্তব্যস্থলে ফিরছিল চরফ্যাশন মানিকা কোস্টগার্ড। ফেরার পথে ভিকটিমের বাচাঁও বাচাঁও চিৎকার শুনে  এগিয়ে যায় কোস্টগার্ড সদস্যরা। এরপর তারা মেয়েটিকে উদ্ধার করে ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ ধর্ষক যুবককে আটক করে।

এ ব্যাপারে দক্ষিণ আইচা চর-মানিকা কোস্টগার্ড কন্ডিনজেন্ট কমান্ডার আলমগীর হোসেন বলেন, নদীতে অভিযান শেষে গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর সময় নিঝুমস্থান চর ফারুকী নদী এলাকা নৌকার করা নৌকা থেকে মেয়েটি চিৎকার শুনে দ্রুতবেগে এগিয়ে গিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে ধর্ষকদের আটক করে সকাল ৯টায় দক্ষিণ আইচা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। 

দক্ষিণ আইচা থানার ওসি হারুনুর রশিদ বলেন, ৫ ধর্ষককে আটক করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ ও ৯(৩) ধারা মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। নৌকাটি জব্দ করা হয়েছে।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা