• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

চলতি মাসে আরও দুটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ, থাকবে বৃষ্টি

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ২ জানুয়ারি ২০২০  

ডিসেম্বরের মাঝামাঝি শুরু হয়েছিল শৈত্যপ্রবাহ। সারা দেশের মানুষকে কাঁপিয়ে ছেড়েছে এই শীত। এখন অবশ্য শীতের তীব্রতা নেই। উল্টো বৃষ্টি ঝরেছে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে। তবে শীত আবার ফিরে আসতে পারে দাপুটে মেজাজে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সে রকম ইঙ্গিতই দেওয়া হয়েছে।

চলতি মাসে সারা দেশে দু’টি তীব্র শৈত্যপ্রবাহে ও একটি মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আসবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আগামী ৩, ৪ ও ৫ জানুয়ারি সারাদেশে বৃষ্টি শুরু হবে এবং তাপমাত্রা কমতে থাকবে। ৬ জানুয়ারি পর থেকে একটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আসবে। ১০ জানুয়ারির পর মাসের মাঝামাঝি একটি মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ শুরু হবে। তাপমাত্র থাকবে ছয় থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস। মাসের শেষদিকে আসবে আরেকটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। তখন তাপমাত্রা ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও নিচে চলে আসতে পারে।

আজ বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে শৈত্যপ্রবাহ ও সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক এ তথ্য জানান। এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান ও সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামাল উপস্থিত ছিলেন।

সামছুদ্দিন আহমদে বলেন, আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস রয়েছে, বছরের প্রথম মাসের প্রথমার্ধেই দেশের অনেক স্থানে বৃষ্টিপাত হবে। গতকাল ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগ ছাড়া দেশের সব স্থানেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামীকাল এ বৃষ্টিপাত আরও বাড়বে।

আগামী ৬ জানুয়ারি থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ও রাতের তাপমাত্রা আরও কমে যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, জানুয়ারি মাসে আরও দুটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এছাড়া একটি মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক বলেন, এসব শৈত্যপ্রবাহ চলাকালীন বিভিন্ন বিভাগের জেলাগুলোতে কনকনে শীত অনুভূত হবে। আগামী ৩, ৪, ও ৫ জানুয়ারি বৃষ্টিপাত হবে। বৃষ্টিপাত হওয়ার পর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে দেশের বিভিন্ন স্থানে নামতে শুরু করবে এবং শৈত্যপ্রবাহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিরাজমান থাকবে।

তাপমাত্রা কমার কারণ কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাপমাত্রা সাধারণত সূর্যের কিরণকাল ও বায়ুপ্রবাহের ওপর নির্ভর করে। পাশাপাশি, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেও এধরনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা