• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

জাতীয় দলে কাউকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবা ঠিক না

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ৫ ডিসেম্বর ২০১৮  

এ বছর আর টেস্ট নেই বাংলাদেশের। ‘টেস্ট ব্যাটসম্যান’ তকমা লেগে যাওয়া মুমিনুল হকেরও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর ব্যস্ততা নেই। কদিন পর তিনি ব্যস্ত হয়ে যাবেন বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল) নিয়ে। বিসিএল খেলবেন বলে কাল বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুম থেকে নিয়ে গেলেন খেলার সরঞ্জামাদি। যাওয়ার আগে প্রথম আলোকে বছরটা পর্যালোচনা করলেন এ বছর টেস্টে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান মুমিনুল

৮ টেস্টে ৪ সেঞ্চুরিতে ৪৪.৮৬ গড়ে ৬৭৩ রান করে এ বছর বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবার ওপরে মুমিনুল হক। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে সেঞ্চুরি করে রেকর্ডের একটি অধ্যায়ে তামিম ইকবালকে ছুঁয়েছেন। টেস্ট সেঞ্চুরি সংখ্যায় তিনি এবং তামিম এখন পাশাপাশি। দুজনই করেছেন সর্বোচ্চ ৮ সেঞ্চুরি। কাল বিসিবি একাডেমি মাঠে মুমিনুল ফিরে দেখলেন পুরো বছরটা—

 
* বছরটা কেমন কাটল মুমিনুলের?
মুমিনুল হক: সবকিছু মিলিয়ে খারাপ কাটেনি। ভালো ছিল। দু-একটি টেস্টে রান করতে পারিনি। রান করতে পারলে হয়তো আরও ভালো হতো। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের বিচারে বলব বছরটা খারাপ যায়নি। তবে একটু তো আক্ষেপ থাকেই। আরও কিছু রান করতে পারলে আরও ভালো লাগত। তবে যেহেতু ৪টা সেঞ্চুরি করেছি, এ বছরকে ক্যারিয়ারের সেরা বছর বলা যায়।

 

* সেই আক্ষেপটা কেমন?
মুমিনুল: খুব একটা আক্ষেপ অবশ্য নয়। মাঝে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে রান না পাওয়ায় আরও বেশি সিরিয়াস ছিলাম। টেকনিক-ট্যাকটিক আরও কীভাবে উন্নতি করা যায়। আমার কাছে মনে হয় সব দিক দিয়ে ভালোই হয়েছে।

* ৪টি সেঞ্চুরি করেছেন এ বছর। কোনটি বেশি এগিয়ে রাখবেন?
মুমিনুল: একজন ব্যাটসম্যানের কাছে প্রতিটি সেঞ্চুরিই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে যেটি সিরিজ বাঁচানোর সেঞ্চুরি ছিল (জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে ১৬১), ওটা অনেক ভালো ছিল। কন্ডিশনও কঠিন ছিল। আর (ফেব্রুয়ারিতে) চট্টগ্রাম টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরিটা। প্রথমত, ১৭৬ রান। আর টেস্টটা আমরা পিছিয়ে থেকেও ড্র করি শেষ পর্যন্ত। ওই টেস্টের দুটি সেঞ্চুরিই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।

* অবধারিত প্রশ্ন, চন্ডিকা হাথুরুসিংহের বিপক্ষে খেলেছেন বলেই কি চট্টগ্রাম টেস্টের সেঞ্চুরি দুটি আপনার কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ?
মুমিনুল: ঘুরেফিরে এই প্রশ্নটা করা হয়। কোনো ম্যাচ যদি হারের শঙ্কা থাকে এবং সেখান থেকে ম্যাচটা বাঁচিয়ে ফেলতে পারেন, নিজের কাছে সেটি অনেক তৃপ্তির আর আনন্দের। মনে হয় দলের জন্য কিছু করতে পেরেছি। ব্যক্তিগতভাবেও ওই সময় কিছুটা চাপের মধ্যে যেতে হয়েছে। ওই টেস্টের আগে বাজে সময় গেছে। এটাও মাথায় ছিল।

* দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন। শেষটাও যদি রানে শেষ হতো, বছরের শেষ টেস্ট নিয়ে একটু অতৃপ্তি কি থেকে গেছে?
মুমিনুল: তেমন অতৃপ্তি নেই। তবে একটু রানক্ষুধা তো থেকেই যায়। শেষ টেস্টে রান করতে পারিনি। দল জিতেছে বলে এটা নিয়ে ভাবছি না। তবে ফল আমাদের পক্ষে না হলে তখন হয়তো খারাপ লাগত, মনে হতো আরও যদি ভালো খেলতাম...। ম্যাচটা আমরা জিতেছি। সেটি ভেবে অনেক খুশি। কোনো আফসোসও নেই। চিন্তা করি দিন শেষে দলের জন্য কতটা করতে পারলাম। যদি শূন্য রানে আউট হই এবং দল জেতে, মন খারাপ থাকে না। কিন্তু আমি কিছু করতে পারিনি, দলও হেরেছে, তখন অনেক খারাপ লাগে।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা