• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

ডি ককের চতুরতায় অদ্ভুত রানআউট রেকর্ডম্যান ফাখর

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ৫ এপ্রিল ২০২১  

দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ৩১ রানের, পরেরটি মাত্র ১৯ রানের। মাঝে অবশ্য আছে অতিরক্তি খাত থেকে আসা ১৯ রান। এমন দলের স্কোর কত হতে পারে তা যে কেউ সহজেই অনুমান করে নিতে পারেন। কিন্তু সবসময় যে অনুমান সঠিক হবে, এমনও তো নয়!

যেমনটা দেখা গেলো রোববার দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তানের মধ্যকার দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে। বাবরের আজমের ৩১ ও আসিফ আলির ১৯ এর মাঝে পাকিস্তানের ইনিংসে অতিরিক্ত খাত থেকে এসেছে ২৫ রান। সেই তারাই কি না ম্যাচে আশা জাগিয়েছিল ৩৪১ রান তাড়া করে জেতার।

অবাস্তব মনে হলেও, এটি সম্ভব হয়েছে বাঁহাতি ওপেনার ফাখর জামানের একার লড়াইয়ে। স্রোতের বিপরীতে একাই প্রোটিয়া বোলারদের দেখে নিয়েছেন ফাখর, খেলেছেন রেকর্ডগড়া ১৯৩ রানের ইনিংস। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলকে জেতাতে পারেননি, করতে পারেননি নিজের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরিও।

এর পেছনে অবশ্য রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি ককের চতুরতা কিংবা ফিল্ডার এইডেন মারক্রামের উপস্থিত বুদ্ধি! ততক্ষণে বলা যায় পাকিস্তানের পরাজয় প্রায় নিশ্চিত। ইনিংসের ৪৯ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ৩১১ রান। অর্থাৎ শেষ ওভারে করতে হতো ৩১ রান।

ম্যাচ জেতা প্রায় অসম্ভব হলেও, ফাখরের ডাবল সেঞ্চুরি ছিল দৃষ্টিসীমানায়। কেননা তিনি তখন ব্যাট করছিলেন ১৯২ রানে। লুঙ্গি এনগিডির করা শেষ ওভারের প্রথম বলটি লংঅনের দিকে খেলে দিয়ে সহজেই প্রথম রান নেন ফাখর, দৌড় দেন দ্বিতীয় রানের জন্য।

তখন চতুরতা দেখান প্রোটিয়া উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি কক। লংঅফের ফিল্ডার এইডেন মারক্রামকে তিনি ইশারা করেন নন স্ট্রাইক প্রান্তে থ্রো করার জন্য। কিন্তু মারক্রাম থ্রো’টি করেন স্ট্রাইকিং প্রান্তেই। ডি ককের হাতের ইশারায় ঘুরে দেখেন ফাখর, তাতেই ঘটে সর্বনাশ।

মারক্রামের সরাসরি থ্রো এসে ভেঙে দেয় স্ট্রাইক প্রান্তের স্ট্যাম্প। ফলে ১৯৩ রানে রানআউট হতে হয় ফাখরকে। দলের পরাজয়ের পাশাপাশি নিজের ডাবল সেঞ্চুরিটাও হাতছাড়া হয় ফাখরের। আউট হওয়ার আগে ১৮ চার ও ১০ ছয়ের মারে ১৫৫ বলে ১৯৩ রান করেন ফাখর। যা কি না ওয়ানডে ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের বিশ্বরেকর্ড। ফাখর ভেঙেছেন ২০১১ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে শেন ওয়াটসনের করা ১৮৫ রানের রেকর্ড।

এমন অদ্ভুত আউট হওয়ার পর দায়টা নিজের কাঁধেই নিয়েছেন ফাখর। দলকে জেতাতে না পারলেও রেকর্ডগড়া ইনিংসে ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। ম্যাচ শেষে ফাখর সাফ জানিয়েছেন, এমন আউটের পেছনে ডি ককের কোনো ভুল নেই।

তার ভাষ্য, ‘এখানে ভুলটা আমার। কারণ অপরপ্রান্তে হারিস রউফের দিকে তাকাতে ব্যস্ত ছিলাম আমি। আমার মনে হয়েছিল হারিস একটু পরে দৌড় শুরু করেছে তাই হয়তো সে বিপদে আছে। এখন বাকিটা ম্যাচ রেফারির সিদ্ধান্ত। আমি মনে করি না, এখানে কুইন্টনের কোনো ভুল আছে।’

অন্যদিকে এ ঘটনাকে ডি ককের চতুরতা হিসেবেই উল্লেখ করেছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। ম্যাচ শেষে তার ভাষ্য, ‘এটা কুইনির (কুইন্টন ডি কক) চতুরতা ছিল। অনেকে হয়তো ওকে স্পিরিটের কথা বলে সমালোচনা করবে। কিন্তু আমাদের জন্য উইকেটটা জরুরি ছিল। ফাখর লক্ষ্য কাছাকাছি চলে গিয়েছিল। তাই আউট করা জরুরি ছিল। আমি মনে করি না কুইনি কোনো নিয়ম ভেঙেছে। এটা তার চতুরতা ছিল।’

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা