• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

ফকিরহাটের ফলতিতা ১০কি.মি.সড়ক এখন মরণ ফাঁদ

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ফলতিতা বটতলা ভায়া চিতলমারী ১০কিলোমিটার পাকা সড়ক ভেঙ্গেচুরে চলাচলের অযোগ্য হওয়ায় তা এখন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল ফিডার এই সড়কটি মেরামত বা সংস্কার না করায় জনগনের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়কটি দ্রুত মেরামত সহ পুনঃ সংস্কার করার জন্য স্থানীয় এলাকাবাসী উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে জোর দাবী করেছেন।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ফকিরহাট উপজেলার মুলঘর ইউনিয়নের ফলতিতা বটতলা বাজার হয়ে বানিয়াখালী গোদাড়া গেট হয়ে চিতলমারী উপজেলা সিমান্ত হয়ে উপশহরে প্রবেশের একমাত্র রাস্তা হচ্ছে এটি। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার শিক্ষার্থী ব্যাবসায়ী চাকুরীজীবি সহ বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার লোকজন চলাচল করেন। সড়কটির পাশের প্রায় ২০/২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে শিশুশ্রেণী থেকে শুরু করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শির্ক্ষাথী ও চাকুরীজীবিরা এই সড়কের উপর নির্ভরশীল।

তাছাড়া দেশের সর্ববৃহৎ মৎস্য আড়ৎ হিসাবে এই ফলতিতা বাজারের একটি সুনাম রয়েছে। এই জনবহুল ও গুরুত্বর্পূণ সড়কটি বছরের পর বছর ধরে চলাচলের অযোগ্য হওয়ায় চরম দুর্ভোগের মধ্যে চলাচল করতে হচ্ছে স্থানীয় কয়েক হাজার গ্রামবাসিকে। ডাঃ নারায়ন চন্দ্র গোলদার ও তুষার কুমার মন্ডল নামের দুইজন এলাকাবাসি জানান, এই সড়কের পাশের পুটিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পুটিয়া নবলোক শিশু বিদ্যালয়, গুড়গুড়িয়া মধ্যপাড়া শিশু বিদ্যালয়, উত্তরপাড়া নবলোক পাঠশালা, গোয়ালবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোয়ালবাড়ী ধর্মভিত্তিক শিশু বিদ্যালয়, কলকলিয়া ধর্মভিত্তিক শিশু বিদ্যালয়, কলকলিয়া গার্লস স্কুল, কলকলিয়া জিসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রুদ্রগাতী শিশু বিদ্যালয়, কাঠালবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বানিয়াখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফলতিতা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ফলতিতা শশাধর সমাজ কল্যান মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতশত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এই সড়ক দিয়ে চলাচল করেন।

তারা আরো বলেন, ফলতিতা বটতলা ভায়া চিতলমারী প্রায় ১০কিলোমিটার পাকা সড়কের বানিয়াখালী হতে চিতলমারী সিমান্ত পর্যন্ত ভেঙ্গে চুরে এমন অবস্থা হয়েছে যে তা চলাচলের একেবারেই অযোগ্য। কোন কোন স্থানে বড়বড় গর্ত হয়ে এমন অবস্থা হয়েছে যে নছিমুন করিমুন ভটভটি অটোভ্যান ইজিবাইক ও মাহেন্দ্র চলাচল তো দুরের কথা (কোন কোন স্থানে) পায়ে হেটেও চলাচল করা অসম্ভাব ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে।

আকাশ বিশ্বাস নামের একজন সংবাদকর্মী বলেন, রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত বড়বড় মাছের আড়তে যে সমস্ত সাদা ও চিংড়ী মাছ রপ্তানী হয়, তার অর্ধেক মাছ যায় এই ফলতিতা মৎস্য আড়ৎ থেকে। আর যে মাছ গুলি এখানে উঠে তা হচ্ছে মুলঘর ইউনিয়নের গোয়ালবাড়ী পুটিয়া গুড়গুড়িয়া বানিয়াখালী রুদ্রগাতি চিতলমারী ও বাগেরহাট সদর উপজেলার প্রত্যান্ত গ্রাম থেকে আসে। এই মাছ গুলি আড়তে আসার একটি মাত্র রাস্তা হচ্ছে এই সড়কটি। কিন্তু সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অযোগ্য হওয়ায় বাজারে মাছের আমদানী অনেকটা কমেছে।

দ্রুত ফিডার এই সড়কটি পুনঃ সংস্কার করা না হলে ছোট র্দূঘটনা থেকে বড় র্দূঘটনায় প্রাণহানী ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও তাদের দাবী।

এব্যাপারে মুলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডঃ হীটলার গোলদার এর সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন উক্ত রাস্তাটি মেরামতের জন্য আমি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের অবগত করিয়েছি অচিরেই এটি টেন্ডার হবে বলে তিনি আশাবাদী।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা