• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

ফিরে দেখা : সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরীতে সরকারের সফলতা

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ৫ জানুয়ারি ২০২০  

বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। রুপকল্প ২০২১ এবং একশ’ বছরের ডেল্টা প্লানকে সামনে রেখে দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। উন্নয়নের মহান রুপকার, গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনার দূরদর্শী চিন্তাধারা ও যুগোপযোগী বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে দেশ থেকে দূর হয়েছে ক্ষুধা-দারিদ্র্য-বেকারত্ব। শিক্ষা, কৃষি, শিল্প, ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ, নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাসহ দেশের প্রতিটি সেক্টরে হয়েছে অভূতপূর্ব উন্নয়ন। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন নিয়ে আমাদের ধারাবাহিক পরিবেশনা ‘উন্নয়নের ১২ বছর’।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সরকারের অন্যতম জাতিগঠনমূলক মন্ত্রণালয়। এ মন্ত্রণালয় দেশের দুঃস্থ, দরিদ্র, অবহেলিত, অনগ্রসর ও সুযোগ সুবিধাবঞ্চিত ও সমস্যাগ্রস্ত পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীকে সেবা প্রদান করছে। লক্ষ্যভুক্ত এ সকল জনগোষ্ঠীকে মানবসম্পদে পরিণত করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় দারিদ্র্য বিমোচন, সামাজিক নিরাপত্তা প্রদানের মাধ্যমে দেশের সার্বিক উন্নয়নে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত সামাজিক কর্মকাÐের ক্ষেত্রে অভ‚তপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। সুশাসনে আইন ও নীতির উন্নয়ন জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল ২০১৫ প্রণয়ন ভবঘুরে ও নিরাশ্রয় ব্যক্তি (পুনর্বাসন) আইন, ২০১১ প্রণয়ন। শিশু আইন, ২০১৩ প্রবর্তন (জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ অনুসরণে)। প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩ (জাতিসংঘ প্রতিবন্ধী অধিকার সনদ অনুসরণে)। পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন, ২০১৩ প্রণয়ন। নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন, ২০১৩ প্রণয়ন করা হয়েছে এবং নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট স্থাপন করা হয়েছে। নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট বিধিমালা ২০১৫ (নতুন আইন অনুযায়ী করা হয়েছে)। প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা বিধিমালা, ২০১৫ (নতুন আইন অনুযায়ী করা হয়েছে)। 

জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা, ২০১৩ প্রণয়ন। প্রবীণ ব্যক্তিদের সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে ঘোষণা প্রদান করা হয়েছে। হিজড়া জনগোষ্ঠীকে ‘তৃতীয় লিঙ্গ’ হিসেবে স্বীকৃতি । সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমসমূহের বাস্তবায়নে উন্নয়ন ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বয়স্কভাতা খাতে জন প্রতি মাসিক ২৫০ টাকা হারে ২০ লক্ষ বয়স্ক ব্যক্তি/ উপকারভোগীর জন্য বাজেট বরাদ্দ ছিল  ৬০০ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা  ৪০ লক্ষ উপকারভোগীর  জন্য জনপ্রতি মাসিক ৫০০ টাকা হারে বাজেট বৃদ্ধি পেয়ে ২৪০০ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে । বিগত ১০ বছরে (২০০৯-১৮) বর্তমান সরকার  বয়স্কভাতা খাতে  ১৪১৯৯.৯ কোটি টাকা বিতরণ করেছেন। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা খাতে জন প্রতি মাসিক ২৫০ টাকা হারে ৯ লক্ষ বিধবা, স্বামী নিগৃহীতা নারীর জন্য বাজেট বরাদ্দ ছিল ২৭০ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জনপ্রতি মাসিক ৫০০ টাকা হারে ১৪ লক্ষ জনের জন্য বরাদ্দ ৮৪০ কোটি টাকা। বিগত ১০ বছরে (২০০৯-১৮)  বিধবা ও  স্বামী নিগৃহীতা ভাতা খাতে  ৫২৬৮.২২ কোটি টাকা বিতরণ  করা হয়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে অস্বচ্ছল  প্রতিবন্ধীভাতা খাতে জন প্রতি মাসিক ২৫০ টাকা হারে ২ লক্ষ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য বাজেট বরাদ্দ ছিল ৬০ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মাথাপিছু মাসিক ৭০০ টাকা হারে ১০ লক্ষ জনের জন্য বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে  ৮৪০ কোটি টাকা। বিগত ১০ বছরে   অস্বচ্ছল  প্রতিবন্ধীভাতা খাতে  ৩২৬৭.৬১  কোটি টাকা  প্রদান করা হয়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি খাতে ১৩ হাজার প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর জন্য বাজেট বরাদ্দ ছিল ৬ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে  ১ লক্ষ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর জন্য বাজেট ৮০ কোটি  ৩৭ লক্ষ টাকা। বিগত ১০ বছরে (২০০৯-১৮) প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি খাতে  ১১৭১.৫৩ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে । বেসরকারি এতিমখানা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়  দীর্ঘদিন যাবত অনুদান (ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ট) প্রদান করে আসছে। ২০০৮-২০০৯ অর্থ বছরে ৩,০২২টি বেসরকারি এতিমখানার ৪৬,৯৫০ জন এতিমের মধ্যে ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ট বাবদ ৩৭ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়। ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে এ খাতে ৮৬ হাজার  ৪০০ শিশুর জন্য মোট বরাদ্দ রয়েছে ১০৩ কোটি ৬৮ লক্ষ টাকা। বিগত ১০ বছরে (২০০৯-১৮)  ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ট বাবদ  ৬৬৫.২০  কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে । ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে  সকল ভাতাসমূহ ভাতাভোগীর নিজস্ব ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে । চবৎংড়হ) পদ্ধতিতে ভাতা প্রদান শুরু হয়েছে। ক্রমান্বয়ে দেশব্যাপী সম্প্রসারণ করা হবে এবং সকল ধরনের ভাতাভোগীকে সময়োপযোগী পদ্ধতিতে ভাতা প্রদানের আওতায় আনার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম এর মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা সুবিধাভোগীদের কেন্দ্রীয় ডাটাবেইজ তৈরি করা হয়েছে, যাতে ৫৬ লক্ষ ভাতাভোগীর তথ্য সন্নিবেশ করা হয়েছে।  দেশব্যাপী ১০৩টি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র স্থাপন এবং প্রতিটি কেন্দ্রে অটিজম রিসোর্স সেন্টার চালু, যা থেকে বছরে প্রায় ৪ লক্ষ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি সরাসরি সেবা পাচ্ছে। ৩২টি মোবাইল থেরাপি ভ্যানের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা