• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

বঙ্গবন্ধু,বঙ্গমাতা-নিজ মায়ের প্রতি ভালোবাসার অন্যরকম বহিঃপ্রকাশ

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২০  

জয়পুরহাটে এক ব্যতিক্রমী বৃক্ষ প্রেমিকের সন্ধান মিলেছে। যিনি বঙ্গবন্ধু,বঙ্গমাতা ও নিজের মায়ের বেঁচে থাকার দিন হিসাব করে ৯৮ হাজার ৯১৫টি ফলজ ও বনজ গাছের চারা রোপণের কার্যক্রম শুরু করেছেন। তিনি হলেন জয়পুরহাট শিশু উদ্যানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সমাজ সেবক রফিকুল ইসলাম চৌধুরী প্রিন্স।

বঙ্গবন্ধু,বঙ্গমাতা ও নিজের মায়ের বেঁচে থাকার দিনগুলোর সঙ্গে বছরের ৩৬৫ দিন গুণ করে এ সময় বের করেন তিনি। এতে ৯৮ হাজার ৯১৫ দিন আসে। তাতে করে ওই হিসাব অনুসারে ফলজ ও বনজ গাছের চারা রোপণের সিদ্ধান্ত নেন, আর এ কার্যক্রম শুরুও করেছেন তিনি।

এরইমধ্যে সরকারি রাস্তার দুই ধারে, পতিত জমিতে এবং নদী তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে গাছ লাগিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তার এমন কাজের প্রশংসা করেছেন জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ অনেকেই।

এরইমধ্যে এ সমাজসেবক বঙ্গবন্ধু শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ৩৬ হাজার ৫০০টি, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে ৩২ হাজার ৮৫০টি এবং নিজ মা মোতাহারা বানু চৌধুরীর নামে ২৯ হাজার ৫৬৫টি  গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত নেন। আম, জাম, লিচু, মেহগনিসহ বিভিন্ন ফলজ ও বনজ গাছের উন্নত মানের চারা সংগ্রহও করেন তিনি। 

জানা গেছে, দেশে করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কোয়ারেন্টাইন শেষ করে বিদায় নেয়া সুস্থ রোগীদেরও তিনি চারা উপহার দিচ্ছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান চত্বরে চারা লাগানোর আহ্বান জানান তিনি। বলেন, চারা সংগ্রহে আছে, প্রয়োজনে তা সরবরাহ করা যেতে পারে।

এ নিয়ে প্রিন্স চৌধুরী জানান, বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা এবং নিজ মায়ের প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে এমন সিদ্ধান্ত। এছাড়াও দেশে চলমান করোনা পরিস্থিতি পরবর্তী সময়ে পরিবেশের ভারসাম্য যেন ঠিক থাকে সে চিন্তাও মাথায় ছিল।

‘চেতনায় জয়পুরহাট’ এর সভাপতি তিতাস মোস্তফা বলেন, সমাজে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ আছেন। তাদের মধ্যে বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে এ সমাজকে আলোকিত করছেন। তাদের মধ্যে প্রিন্স চৌধুরী একজন। তিনি বছরের পর বছর বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ড করে আসছেন। সবশেষ প্রায় ১ লাখের মতো চারা রোপণ নিঃসন্দেহে একটি মহৎ ও ব্যতিক্রমী কাজ। 

এ ব্যাপারে জয়পুরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান রকেট বলেন, বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা ও নিজ মায়ের বেঁচে থাকার দিন গণনা করে তিনি যে এতগুলো চারা রোপণ কার্যক্রম শুরু করেছেন, অবশ্যই তাকে একজন বড় মনের অধিকারী বলতে হবে।

এ বিষয়ে জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, সমাজসেবী প্রিন্সের ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগে আমরা খুশি। এ ক্ষেত্রে অনেকেই তাকে অনুসরণ করতে পারেন। এদেশটাকে ভালোবেসে গাছে গাছে ভরিয়ে তুলতে এবং পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে তার এ উদ্যোগ।   

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা