• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

বহিরাগতদের ভোটকেন্দ্রে আনতে ইশরাক-তাবিথের মোটা অংকের টাকা বিলি !

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারি ২০২০  

অনুষ্ঠেয় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন বিনা-প্রয়োজনে বহিরাগতরা ঢাকায় থাকতে পারবে না- এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এমনকি যারা ঢাকার স্থানীয় কিন্তু ভোটার নন, তারাও ভোটকেন্দ্রে আসতে পারবে না বলে এই নির্দেশনায় জানানো হয়েছে। ইসির সেই নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের দুই বিএনপির মেয়রপ্রার্থী কেন্দ্রে বহিরাগত এনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছেন বলে একটি বিশেষ সূত্রে জানা গেছে।

সূত্রটি জানায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জনপ্রতি ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকা দৈনিক হাজিরায় তৃণমূল কর্মীদের ঢাকায় আনছেন ইশরাক হোসেন ও তাবিথ আউয়াল। রাতের আঁধারে তাদের নিয়ে নিজে গোপন মিটিংয়েও বসছেন। নির্দেশনা দিচ্ছেন, কিভাবে ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরার নজর এড়িয়ে নির্বাচনের দিন তারা নাশকতা চালাবেন। পাশাপাশি এও বলছেন, হয় মরতে হবে নতুবা মারতে হবে। কর্মীরাও অর্থের বিনিময়ে দিনমজুরদের মতো মনিবের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে বলছেন, নিজেদের সর্বোচ্চ শক্তিটাই তারা নির্বাচনের দিন প্রদর্শন করবেন।

নির্বাচন কমিশন সূত্র বলছে, বহিরাগতরা যারা ঢাকায় আসেন ভোটের দিন অনেকেই তারা ঢাকায় অবস্থান করেন। কিন্তু যারা ঢাকার ভোটার নন, তারা যেন অযথা-অপ্রয়োজনে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে জটলা না পাকান সে লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া ভোটকেন্দ্রে কোনো অপতৎপরতা সৃষ্টি যাতে না হয় এবং এই সুযোগটি যেন চক্রই না নিতে পারেন সে লক্ষ্যেই বহিরাগতদের বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করা হয়েছে।

এমন প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর বলেন, আউয়ালের দুর্নীতির কথা শুধু নগর নয়, পুরো দেশবাসী জানে। এ কারণেই তাবিথ আউয়ালের জনসমর্থন তলানিতে। নির্বাচনে নিজের পরাজয় নিশ্চিত জেনে তিনি বহিরাগতদের দিয়ে এখন কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। যেটা নির্বাচনী আইনের লঙ্ঘনের পাশাপাশি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অবিলম্বে তাকে আইনের আওতায় আনা হোক। যেখানে শৃঙ্খলা রক্ষার চেষ্টায় নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর তখন এমন ষড়যন্ত্র সত্যিই উদ্বেগজনক।

 

 

 

 

 

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা